পাকিস্তান ও জিম্বাবোয়ের ২২ গজের লড়াই এবার পৌঁছে গেল সরকারি স্তরে। পাকিস্তানকে ব্যঙ্গ করলেন জিম্বাবোয়ের প্রেসিডেন্ট। পাল্টা আক্রমণ করলেন পাক প্রধানমন্ত্রী।
টি-২০ বিশ্বকাপে বৃহস্পতিবার পাকিস্তানকে হারিয়ে সুপার ১২ গ্রুপ ২-এর লড়াই জমিয়ে দিয়েছে জিম্বাবোয়ে। ভারতের পর জিম্বাবোয়ের কাছেও হেরে বিদায় নেওয়ার মুখে পাকিস্তান। অন্যদিকে, ২ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে ভাল জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে জিম্বাবোয়ে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে উত্তেজক ম্যাচে ১ রানে জয় পাওয়ার পর উচ্ছ্বাস চেপে রাখতে পারেননি জিম্বাবোয়ের প্রেসিডেন্ট এমার্সন ডাম্বুডো নানগাগওয়া। তিনি ট্যুইট করে নিজেদের দলকে অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি পাকিস্তানকে খোঁচাও দেন। জিম্বাবোয়ের প্রেসিডেন্ট ট্যুইটে লেখেন, “জিম্বাবোয়ে অসাধারণ জয় পেল। দলের সবাইকে অভিনন্দন। পরেরবার আসল মিস্টার বিনকে পাঠাবেন।” পাল্টা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ট্যুইটে লিখেছেন, “আমাদের কাছে হয়তো আসল মিস্টার বিন নেই, কিন্তু আমাদের সত্যিকারের ক্রিকেটীয় স্পিরিট আছে। আর আমাদের পাকিস্তানিদের প্রত্যাবর্তন ঘটানোর মজার অভ্যাস আছে। মিস্টার প্রেসিডেন্ট, অভিনন্দন। আপনার দল খুব ভাল খেলেছে।” দুই রাষ্ট্রপ্রধানের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় পাকিস্তান ও জিম্বাবোয়ের সমর্থকরাও একে অপরকে আক্রমণ করছেন।
২০১৬ সালে জিম্বাবোয়ের রাজধানী হারারেতে একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন পাকিস্তানের কৌতূকশিল্পী আসিফ। যিনি “মিস্টার বিন” সেজে দর্শকদের আনন্দ দেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ৬ বছরের পুরনো সেই ছবি শেয়ার করেছেন জিম্বাবোয়ের এক ক্রিকেটপ্রেমী। তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, “কমেডি নাইট” নামে সেই অনুষ্ঠান একেবারেই জমেনি। হারারের মানুষের সেই অনুষ্ঠান ভাল লাগেনি। তাঁরা হতাশ হন। পাক শিল্পীকে বিপুল অর্থ দিয়ে নিয়ে গিয়েও আনন্দ না পাওয়ায় জিম্বাবোয়ে বদলা নেবে বলে হুঁশিয়ারি দেন ওই ক্রিকেটপ্রেমী। এরপর সত্যিই জিম্বাবোয়ে পাকিস্তানকে হারিয়ে দেওয়ায় আফ্রিকার এই দেশটির ক্রিকেটপ্রেমীরা উল্লসিত। ভারতের ক্রিকেটপ্রেমীরাও পাকিস্তানের হারে খুশি। তাঁরা জিম্বাবোয়েকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার টি-২০ বিশ্বকাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় জিম্বাবোয়ে। তাদের ব্যাটিং অবশ্য খুব একটা ভাল হয়নি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩০ রান করে জিম্বাবোয়ে। সর্বোচ্চ ৩১ রান করেন শন উইলিয়ামস। অধিনায়ক ক্রেগ আরভিন করেন ১৯ রান। পাকিস্তানের হয়ে ২৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন মহম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র। ২৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন শাদাব খান। ১২ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন হ্যারিস রউফ।
১৩১ রানের টার্গেট বড় কিছু নয়। কিন্তু পাকিস্তান সেই রানই তুলতে পারেনি। ৮ উইকেটে ১২৯ রানেই থেমে যায় পাকিস্তান। শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ১১ রান। কিন্তু মহম্মদ নওয়াজ, ওয়াসিম, শাহিন আফ্রিদিরা সেই রান তুলতে পারেনি। শেষ বলে রান আউট হয়ে যান শাহিন। ফলে ১ রানে জয় পায় জিম্বাবোয়ে। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন শান মাসুদ। জিম্বাবোয়ের হয়ে ২৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন সিকন্দর রাজা। ২৫ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন ব্র্য়াড ইভানস।
আরও পড়ুন-