উত্তর কলকাতার শোভাবাজার রাজবাড়িতে অষ্টমীর সকালে দুর্গা পুজোর অঞ্জলি দিলেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস। পুজো দেওয়ার পাশাপাশি তিনি রাজবাড়ির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। ঘুরে দেখেন রাজবাড়ি।
উত্তর কলকাতার শোভাবাজার রাজবাড়িতে অষ্টমীর সকালে দুর্গা পুজোর অঞ্জলি দিলেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস। পুজো দেওয়ার পাশাপাশি তিনি রাজবাড়ির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। ঘুরে দেখেন রাজবাড়ি। অপু জানিয়েছেন, চলতি বছর শুধুমাত্র দুর্গা পুজোর উৎসব দেখার জন্যই তিনি বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসেছেন।
শোভাবাজার রাজবাড়ির দুর্গাপুজো এমনিতেই যথেষ্ট পুরনো পুজো। পরিবারের সদস্যদের দাবি এটি কলকাতার প্রাচীনতম পুজো। অন্যতম এই দুর্গাপুজো দেখতে পেরে তাঁর খুব ভাল লাগছে বলেও জানিয়েছেন বাংলাদেশের অভিনেত্রী। পাশাপাশি রাজপরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে অনেক কিছু জানতে পেরেছেন। তিনি আরও বলেছেন দুর্গাপুজো বলতেই কলকাতা। বাংলাদেশের পুজোর সঙ্গে কলকাতার পুজোর অনেক পার্থক্য রয়েছে। বাংলাদেশের পুজো মানে মন্দিরে গিয়ে পুজো দিলেই পুজো শেষ হয়ে যায়। কিন্তু কলকাতায় ঘরে বসে থাকলেও পুজো অনুভব করা যায়। বাড়ির বাইরে বার হলেই একটি পুজোর অনুভূতি হয়। এটাই তাঁর দারুন লেগেছে বলেও জানিয়েছে। আর শোভাবাজার রাজবাড়ির মতো ঐতিহ্যবাহী বাড়িতে এসে দুর্গা অষ্ঠমীর অঞ্জলি দিতে পেরেও তিনি খুশি হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন।
অপু বিশ্বাস আরও জানিয়েছেন, শুধুমাত্র দুর্গা পুজোর উৎসবের টানেই তিনি কলকাতা এসেছেন। এই সময় তাঁর অন্য কোনও কাজ বা সিনেমা নিয়ে কোনও কথা হয়নি। পুজো দেখতেই তিনি কলকাতা এসেছেন বলেও জানিয়েছেন। তবে তিনি জানিয়েছেন তাঁর প্রযোজিত প্রথম ছবি 'লাল শাড়ি ' খুব তাড়াতাড়ি রিলিজ হবে। আর সেই কারণেই তিনি লাল শাড়ি পরেই পুজো দিলেন। গরজের লাল পাড় শাড়ি পরেই এসেছিলেন পুজোদিতে। সঙ্গে লাল লিপস্টিক আর লাল টিপ- যা তাঁকে আরও অনবদ্য করে তুলেছিল।
শোভাবাজার রাজবাড়ির সদস্য দেবরাজ মিত্র জানিয়েছেন অপু বিশ্বাস বিদেশী অতিথি নন। তিনি বাংলার মেয়ে। অতিথি হয়ে পুজো দিতে এসেছে। বাংলাদেশের অভিবনেত্রীকে রাজপরিবারের সদস্যরা স্বাগত জানান।
বাগবাজারের দূর্গা, স্বাধীনতা আন্দোলন আর স্বদেশী আন্দোলনের প্রতিমা
'পুজোর আড্ডা ,পুজোর সংখ্যাতেই দিন কাটতো আমার' - পুজোর কথায় কুণাল ঘোষ