সংক্ষিপ্ত
নীললোহিত ছিল তার কাছে একটা জাদুর টান ।কুণাল ঘোষের কাছে পুজোর আকর্ষণ ছিল পূজাবার্ষিকীর নীললোহিতের লেখা, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা ও সমরেশ মজুমদারের লেখা। এশিয়ানেট নিউজ বাংলার প্রতিনিধি ভাস্বতী মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে টেলিফোনিক পুজোর আড্ডায় সাংবাদিক কুণাল ঘোষ।
নম্বর ডায়াল করার পর ট্রু- কলারে নাম উঠেছিল " কুন্তল ঘোষ "! আমি যার ইন্টারভিউ নিতে চাই তার নামের সঙ্গে এই নামটির আংশিক মিল থাকলেও পুরো মিল কিন্তু একেবারেই ছিল না। আর যেহেতু আমি কলিযুগের বাসিন্দা তাই টেকনোলজিকে একটু বেশি বিশ্বাস করাটাই আমার সহজাত ধর্ম। একারণেই ওপাশ থেকে ফোনটি যখন রিসিভ হলো আমি যাচাই করার জন্য প্রথমেই
অকপটে জিজ্ঞাসা করলাম " আমি কি কুণাল ঘোষের সঙ্গে কথা বলছি ?" ওপাশ থেকে সংক্ষিপ্ত উত্তর এলো " হুম, বলুন " বুঝতে পারছিলাম না ইনি আমার সেই অভিপ্রেত মানুষটিই কিনা । আর পূর্ববর্তী প্রশ্নের উত্তর অতি-সংক্ষিপ্ত হওয়ায় , গলার আওয়াজটা শুনেও ঠিক ঠাওর করতে পারলাম না । মনে মনে ভাবলাম হয়তো ইনি , আমি যার ইন্টারভিউ নিতে চাই, তার পিএ হবেন। তাই কথা না
বাড়িয়ে প্রথমেই দিলাম নিজের পরিচয় আর তারপর, দিলাম প্রস্তাব।আমার বক্তব্য শোনার পর ওপাশ থেকে উত্তর এলো " কাল ১০ টায় ফোন করুন ".
পরের দিন যথারীতি ১০টায় আবার ডায়েল করলাম নম্বরটি। ফোনটা ধরতেই আমি বললাম "হ্যালো , কুণালবাবু ?" এবারের উত্তরটা আগের বারের মতো অতিসংক্ষিপ্ত হলেও এবারের উত্তরে আমি নিশ্চিত হলাম যে ইনিই রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র সাংবাদিক কুণাল ঘোষ। কারণ ওপাশ থেকে সেই চিরাচরিত সাবলীল ভঙ্গিতে উত্তর এলো ,"বলছি , বলুন ?' আমি একটুও দেরি না করে গতকাল আমাদের হওয়া কথোপকথন মনে করিয়ে দিলাম তাকে। তিনি বললেন," দেখুন এই দুদিন আমার শ্বাস নেওয়ারও ফুরসৎটুকুও নেই। আপনি দুই দিন বাদে ফোন করলে আমি বেশ ঠান্ডা মাথায় বসে আপনাকে ইন্টারভিউ দিতে পারবো।' শুনে বেশ হতাশ হয়ে ফোনটা ছাড়তেই যাচ্ছিলাম , হঠাৎ কি মনে হলো বললাম , " দাদা ১০ মিনিটেরই ব্যাপার ,১০ মিনিটও সময় হবে না ?" উনি আমার করুন আকুতি শুনে আমার প্রতি খানিক সহৃদয় হয়েই বললেন " গাড়িতে আছি এখন , এইভাবেই যদি ইন্টারভিউ নিতে চান তো এখুনি বলুন এখুনি ইন্টারভিউ দিচ্ছি " শুনে আমার আনন্দ আর দেখে কে ? . আমার মতো এক আনকোরার অন্যায় আবদার উনি মেনে নিয়েছেন এটা বেশ দারুন ব্যাপার। শুরু হলো অকপট আলাপচারিতা।
ভাস্বতী মুখোপাধ্যায়, প্রতিনিধি, এশিয়ানেট নিউজ বাংলা- পুজোর কটা দিন কি রাজনীতিকে ভুলে থাকা যায়?
কুণাল ঘোষ, রাজ্য মুখপাত্র, তৃণমূল কংগ্রেস- রাজনীতিকে পুরোপুরি জীবন থেকে বাদ রাখাটা কিন্তু আমাদের কারুর পক্ষে সম্ভব নয়। এই উৎসবের মুহূর্তে দলের কর্মীরা প্রতক্ষ্য বা পরোক্ষভাবে হয়তো মিটিং মিছিল করে না কিন্তু জনসংযোগের কর্মসূচিগুলি থাকে। ধরুন যদি তৃণমূল কংগ্রেসের কথাই বলেন উৎসবের মধ্যেও আপদে বিপদে মানুষের সঙ্গে থাকা , ছুটে যাওয়া , পেশেন্ট ভর্তি করা এইসব কাজ তো থাকেই। আবার যদি উল্টো দিক থেকে দেখেন তাহলে সারাবছর এইরকম অনুরোধ প্রচুর থাকে যে আমাদের পুজোটা একটু ঘুরে যাবেন দাদা ।তাই কখনো উদ্বোধন আবার কখনও পুজোর দিনে ভিসিট- ব্যস্ততা তো থাকেই। এবছর অনেকগুলি জাগো বাংলা স্টল থেকে আমন্ত্রণ এসেছে সেই স্টলগুলিতে যাওয়া বা তাদের সঙ্গে অন্তত এক কাপ চা খাওয়া তো থাকবেই কাজেই রাজনীতিটা পুরোপুরি বাদ দেওয়া যায় না। আবার পুজোর এই চারটে দিন পুরোপুরি রাজনীতির মধ্যেও থাকা যায় না। যেমন ধরুন নিখাদ পাড়ায় বসে আড্ডা দেওয়া, আমার পছন্দের কিছু পূজাবার্ষিকী বইগুলো কেনা তারপর সেগুলিকে পড়া । পুরোনো কিছু বই পড়া, গান শোনা, এগুলোও থাকে।
ভাস্বতী মুখোপাধ্যায়, প্রতিনিধি, এশিয়ানেট নিউজ বাংলা- পুজোর সময় কখনও ঘুরতে গিয়েছেন?
কুণাল ঘোষ, রাজ্য মুখপাত্র, তৃণমূল কংগ্রেস- কখনও না। পুজো ছেড়ে বাইরে কেন যাবো ?বাইরে যাবার জন্য তো অন্য দিনগুলো রয়েছে। আর তাছাড়া যারা আমরা একটু ক্লাব করি অর্থাৎ পাড়ায় মিশি ,পুজোর অর্গানাইজ করি তারা কিকরে এসব ছেড়ে রেখে দিয়ে বাইরে যাবো ?দুর্গাপুজোর সময়ই কলকাতার আসল বিউটি চোখে পরে। তাই আমি তো চাইবো বাইরের লোক এখানে আসুক আমি কেন বাইরে যাবো ?বাইরে গেলেও সেটা কলকাতার বাইরে অন্য জেলায় আমন্ত্রণ রক্ষার জন্য হতে পারে কিন্তু এই যে ঘুরতে যাওয়া সেটা পুজোর ছুটিতে যাওয়া যেতে পারে কিন্তু পুজোর চার পাঁচদিন
কলকাতা বা বাংলা ছেড়ে খুব একটা পক্ষে নোই আমি। তার দুটো কারণ আছে প্রথমটা হল যেখানে আছি সেখানে থেকেই তার পুরোনো আস্বাদটা গ্রহণ করা। আর দ্বিতীয়টা হলো এই সময়টা আমরা যারা ক্লাব সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত আছি এবং কিছু না কিছু অর্গানাইজ করছি তারা এসব ছেড়ে কিকরে যাব ? যাওয়াটা অসম্ভব। আর আমি যেহেতু পুরোদস্তুর সাংবাদিকতায় আছি আমি নিয়মিত লেখালিখি করি। খবরের কাগজে লেখালিখি বা অন্য লেখালিখি। এবার সময় পাইনি বলে এটা আমার আফসোস যে আমি এবার উপন্যাস নামাতে পারিনি কিন্তু সংবাদ প্রতিদিনে আমার বড়ো গল্প ও জাগো বাংলায় আমার গল্প বেরিয়েছে। কাজেই সবমিলিয়ে লেখালিখি তার সঙ্গে ক্লাব তার সঙ্গে পাড়া তার সঙ্গে সোশ্যাল ওয়ার্ক মিলেমিশে একটা ঠাসা কর্মসূচি এসেই যায়।
ভাস্বতী মুখোপাধ্যায়, প্রতিনিধি, এশিয়ানেট নিউজ বাংলা- এমন একটা পুজো যেখানে নিশ্চিন্তে ভুরিভোজ আর ঘুম দিয়েই দিন কেটে গিয়েছে?
কুণাল ঘোষ, রাজ্য মুখপাত্র, তৃণমূল কংগ্রেস- সেটা খুব একটা মনে পড়ছে না। সেটা একেবারেই মনে পড়ছে না কারণ সেটা খুব একটা হয়না। খানিকটা শৈশবের অংশটা বাদ দিলে যেখানে একেবারে বড়োদের উপর ডিপেন্ড করতে হতো। খানিকটা শুকতারা বা আনন্দমেলা ধরিয়ে দিয়ে বলা হতো আপাতত পড়ো বিকালে ঠাকুর দেখতে নিয়ে যাবো। সেই সময় তা ছাড়া এরকম কোনোদিন হয়েছে বলে খুব একটা মনে পড়ছে না । তা ছাড়া কর্মজীবনে দীর্ঘদিন ধরে যেহেতু আমি মিডিয়া লাইনের সাথে যুক্ত। তাই শুধু ভুরিভোজ আর ঘুম দিয়ে আমার পুজো কখনোই কাটেনি । ১৯৯৬ সালে বাংলায়
যখন কোনো প্রাইভেট নিউজ ম্যাগাজিন হতে পারে বলে কেউ ভাবেনি তখন দূরদর্শন থেকে স্লট কিনে প্রাইভেট নিউস ম্যাগাজিনে করেছিলাম। তারপরেই এতো বেসরকারি সব জিনসপত্র এসেছে। তখন থেকেই পুজো খুব ব্যাস্ততাতেই কাটত। একটা সময় এলো যখন সুভাষ তালুকদার , টুটু বসু উদ্যোগ নিলেন যে পুজোয় কাগজ খোলা থাকবে। প্রতিদিন ও খোলা থাকতে শুরু করল। আর অডিও ভিসুয়াল ক্ষেত্রে তো সর্বক্ষণই কাজ করতে হতো। তাই এসব মিলিয়েই পুজো যে একেবারে বাড়িতে বসে বিশ্রামে কেটেছে সেটা কোনোদিনই হয়নি। পুজোর একটা সময় আকর্ষণ ছিল নীললোহিতের লেখা, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা, সমরেশ মজুমদারের কিছু লেখা বেশ ভালো লাগতো। নীললোহিত তা আমার কাছে একটা জাদুর টান ছিল। নীললোহিত বইটা হাতে পাওয়ার পর থেকে ওটা আগে শেষ করেছি সময় বার করে। পুজোর চারটে দিন সংবাদ মাধ্যম বন্ধ থাকে। আগে যেমন আমরা কোথায় কত ভিড় হলো তার খবর সকালে খবরের কাগজে পড়তাম এখন আর তার অবকাশ নেই।
ভাস্বতী মুখোপাধ্যায়, প্রতিনিধি, এশিয়ানেট নিউজ বাংলা- এই নস্টালজিয়ার জায়গাটায় কি কোথাও শুন্যস্থান তৈরী হয়েছে ? আপনার কি মনে হয় ?
কুণাল ঘোষ, রাজ্য মুখপাত্র, তৃণমূল কংগ্রেস- খবরের কাগজ পড়া একটা অভ্যাস। যেমন দাঁত মাজাটা একটা অভ্যাস, শ্বাস -প্রস্বাস নেওয়াটা একটা অভ্যাস , তেমন খবরের কাগজ ব্যাপারটাও একটা অভ্যাস। ফলে অডিও ভিজ্যুয়াল বা ডিজিটাল যতই আসুক খবরের কাগজ থেকে আমরা কোথাও এখনো বেরোতে পারিনি আর কোনওদিন পারবোও না। এবং যে পাঁচটা দিন খবরের কাগজ সকালে পাওয়া যায় না নিশ্চিত ভাবে সকালে একটা শুন্যতা থাকে তবে হ্যাঁ এখন যেহেতু ই - পেপার বা পিডিএফ টা এসে গেছে ফলে সেই কাগজটায় অন্তত কোথায় কি খবর তা দেখতে পারছি বা পড়তে পারছি তাই দুধের
স্বাদ ঘোলে মেটানোর একটা বিষয় থাকে। কিন্তু সকাল বেলা বাড়ির চায়ের টেবিল এ নিউজ প্রিন্টের গন্ধ ওটা না থাকলে নিশ্চিত ভাবে একটা শুন্যতা অনুভব হয় , হতে পারে সেটা ব্যাকডেটেডকে মানসিকতা,কিন্তু হয়।
ভাস্বতী মুখোপাধ্যায়, প্রতিনিধি, এশিয়ানেট নিউজ বাংলা- মণ্ডপে মণ্ডপে যান প্রতিমা দেখতে ?
কুণাল ঘোষ, রাজ্য মুখপাত্র, তৃণমূল কংগ্রেস- না ওই ব্যাপারটায় আমার খুব একটা শখ নেই। কৈশোরে খুব বেশি হলে একদিন দুদিন হয়তো বন্ধুদের সঙ্গে বেড়িয়েছি। কারুর একটা পাড়ায় বসে আড্ডা মারাটাই বেশী ভালো লাগার। পুজোতে টুকটাক সিনেমাও দেখতে গেছি। চাকরিজীবনে পুজোর সেরা সম্মান যখন অর্গানাইজ করতাম তখন টিমের সঙ্গে ঘুরতে হতো কিন্তু আমি ওই ভিড়ের মধ্যে ঘুরে ঘুরে ঠাকুর দেখা বিষয়টার একদমই পক্ষে নই। ওটা আসে না। কিন্তু যারা দেখেন তাদের আমি দোষও দিই না। তারা দেখুন এই উৎসবের আমেজ তারা ঠাকুর দেখুক কিন্তু আমার সেটা
দূর থেকে দেখতেই ভালো লাগে।
ভাস্বতী মুখোপাধ্যায়, প্রতিনিধি, এশিয়ানেট নিউজ বাংলা- পুজোর দিনগুলো কোন রুটিনে দিনটা শুরু করেন?
কুণাল ঘোষ, রাজ্য মুখপাত্র, তৃণমূল কংগ্রেস- পুজোয় বেরিয়ে প্রথমে পুজো গুলো ভিসিট করা দিয়েই শুরু হয় সকাল । কোনো পূজাবার্ষিকী যেটা আগেরদিন রাত অব্দি পড়েছিলাম সেটার আর একটা গপ্পো পড়েনি সকালে উঠে তারপর নিজের কিছু লেখালিখি থাকলে সেগুলো করি। তারপর এডিটোরিআল মিটিং এর একটা ফোন সেরে যতটা পারি পুজো দেখতে বেরিয়ে পড়ি। মাঝে কোথাও বসে একটু খেয়ে দিয়ে নেওয়া হয় তারপর একটু অফিসেতে যাই কারণ অফিস এখন খোলা থাকে পুজোর দিন গুলোতে। কাগজ বন্ধ থাকলেও ই - পেপার তো থাকেই তাই অফিসেতেও একটু ঢুঁ মেরেনি। এগুলো খানিক আমার অভ্যাসের মধ্যেই পরে গেছে এখন। তারপর সন্ধ্যে সাড়ে সাতটা আটটার পর পাড়ার দাদা বন্ধু ভাইয়েদের সাথে বসে পুরোপুরি আড্ডা মেরে কাটাই।
ভাস্বতী মুখোপাধ্যায়, প্রতিনিধি, এশিয়ানেট নিউজ বাংলা- পুজোর দিনে পুরনো দিনের বন্ধুদের সঙ্গে কি আড্ডাটা আজও হয়?
কুণাল ঘোষ, রাজ্য মুখপাত্র, তৃণমূল কংগ্রেস- মজাটা কি জানেন ? আমাকে যে সপ্তমী অষ্টমী নবমীর সন্ধ্যেবেলা পাওয়া যাবে পাড়ায় এটা আমার সার্কলের সবাই জানেন ফলে এমন হয়েছে যে অনেকে দেখা করতে আসে যাদের সাথে আমার হয়তো বছরে ওই একটা দিনই দেখা হয়। একবার তো আমার এক ফেইসবুক বন্ধু দেখা করতে চেয়েছিলো তাই টাইম দিয়ে মিট করেছিলাম পুজোর মধ্যে। সেইবার আমার সব ফেসবুক বন্ধুরা এসেছিলো মিট করতে। দারুন গপ্পো হলো। আলাপ হলো সামনাসামনি। ভার্চুয়াল ফ্রেন্ডদের রক্তমাংসের শরীরে দেখলাম।
ভাস্বতী মুখোপাধ্যায়, প্রতিনিধি, এশিয়ানেট নিউজ বাংলা- এবারের পুজো প্ল্যান কেমন?
কুণাল ঘোষ, রাজ্য মুখপাত্র, তৃণমূল কংগ্রেস- সেই অর্থে কোনও প্ল্যান নেই। বা অন্যদিকে থেকে বলতে গেলে একই প্ল্যান থাকছে বলতে। পারেন পুজোর প্রথম কটা দিন পুজোর উদ্বোধন করতে করতেই কেটে যাবে আর পুজোয় ভিসিট করার আমন্ত্রণ আছে এবার সেগুলো এটেন্ড করবো । অনেকগুলি জাগো বাংলা স্টলের বসার অনুরোধও রয়েছে আর অফিসেতেও একবার যেতে হবে কারণ ই-পেপার খোলা একবার কিছুক্ষনের জন্য অফিস ঢুকে বাকি সন্ধ্যেবেলা বাড়ির পাড়ার চারপাশের ঐতিহ্যশালী পাড়ার পুজোগুলি যেগুলো আছে, যেগুলো ছোটবেলায় বার বার যেতাম মায়ের সঙ্গে দাদুর সঙ্গে সেই পুজোগুলির গোটা এলাকার একবার পরিক্রমা করবোই করবো কারণ অনেক পাড়ার দাদা দিদি মাসিমার সঙ্গে দেখা হয় ভালো লাগে।
ভাস্বতী মুখোপাধ্যায়, প্রতিনিধি, এশিয়ানেট নিউজ বাংলা-- এক কথায় যদি জানতে চাই পুজো মানে আপনার জীবনে কি?
কুণাল ঘোষ, রাজ্য মুখপাত্র, তৃণমূল কংগ্রেস- এটা জীবনের প্রতিটা স্টেজের সাথে চেঞ্জ হতে থাকে একটা সময় পুজোর ছুটি ছিল বিরাট ব্যাপার। অত পড়া থাকবে না চারিদিকে শুধু আলো আর আলো পুজোবার্ষিকীর বই পাবো শুকতারা পাবো বাঁটুল দি গ্রেট আনন্দমেলা এইসব করে বেড়াবো মামার বাড়ি যাবো এটাই বিরাট ব্যাপার ছিল আমার কাছের এখন মনে হয় পুজোটা এমন একটা আলোর বিষয় যে আলোটা শুধু এই বাইরের আলোর ঝলমল দেখে বোঝা যায় না। এটা আসলে অনেককে ভালো রাখার আলো। ভাবুন একটা পাড়ার পুজোকে ঘিরেই কত লোক তাহলে আরও সব পুজো মিলে কত পরিবার এই পুজোটার দিকে তাকিয়ে থাকে । ফলে শুধু আনন্দ উৎসব নয় পুজো মানেই সবাই মিলে ভালো থাকা। তাই পুজোর আলোটা এখানে জাকজমকের আলো নয় এটা ভালো থাকার আলো একেবারে দরিদ্র গ্রামীণ ফুলচাষির পরিবারেরও যেন পর্যাপ্ত পরিমানে আয় থাকে এইসময় এবং তারা হাসি মুখে থাকতে পারেন।
ভাস্বতী মুখোপাধ্যায়, প্রতিনিধি, এশিয়ানেট নিউজ বাংলা-- থিম পুজো নাকি সাবেক পুজো ?
কুণাল ঘোষ, রাজ্য মুখপাত্র, তৃণমূল কংগ্রেস- থিমকে আমি এতটুকু ছোট করছি না বরং থিমে অনেক গবেষণার বিষয় থাকে কিন্তু আমি মাতৃমূর্তির ক্ষেত্রে সাবেকিয়ানার পক্ষে। থিমে মণ্ডপ
ভাবনায় অনেক নতুনত্ব থাকে সেক্ষেত্রে কোনো আপত্তি নেই আমার । কিন্তু মাতৃমূর্তিটি হতে হবে সাবেক ধাঁচের যাতে অঞ্জলি দেবার সময় মন থেকে মায়ের পায়ে ফুল দিতে ইচ্ছে করে।
ভাস্বতী মুখোপাধ্যায়, প্রতিনিধি, এশিয়ানেট নিউজ বাংলা- বাঙালিরা কি কোথাও নিজের শিকড় থেকে সরে যাচ্ছে ?
কুণাল ঘোষ, রাজ্য মুখপাত্র, তৃণমূল কংগ্রেস- সেটা কিন্তু নয় বিশ্বায়নের গতির সাথে কোথাও সবাইকে পাল্লা দিয়ে ছুটতে হয়। এই পাঁচদিন আরো বেশি করে বাঙালীয়ানাকে আঁকড়ে ধরে থাকে বাঙালি। ,পাড়া কালচার ,একসাথে ভোগ খাওয়া, পুরোনো গল্প এগুলো থেকেই গেছে। আর দেখেবন পুজোর দিনে একটু ধুতি পাঞ্জাবি একটু টিপিকাল বাঙালি খাওয়া এগুলি কিন্তু থাকেই। পুজোর মাধ্যমে বাঙালিরা আবার আঁকড়ে ধরে বাঙালীয়ানাকে ।
আরও পড়ুন পুজোর ভিড়ে নেই দিলীপ ঘোষ, চললেন নৈনিতাল, পুজোর আড্ডায় অকপট বিজেপি নেতা