'আগে নয়, বিয়ের পরে প্রেম! আমার সিঁদুরখেলা নির্ভর করছে ‘মা’য়ের উপর, অরুণিমা

অরুণিমার বিয়ে কবে? উত্তরে কি বলছেন অভিনেত্রী! পুজোর জন্য এক গাদা শাড়ি কেনা হলেও। মিলিয়ে একটাও ব্লাউজ কিনতে পারেননি নাকি অরুণিমা!

Web Desk - ANB | Published : Sep 30, 2022 12:54 AM IST / Updated: Sep 30 2022, 06:40 AM IST

পুজোয় তিনি নিশ্চিন্তে ভূরিভোজ সারেন। ২ কেজি ওজন বাড়ান। চুটিয়ে আড্ডা মারেন। পছন্দের ছবি দেখেন। আর? প্যান্ডেলে ঘুরতে ঘুরতে প্রেমে পড়েন? এশিয়ানেট নিউজের কাছে ফাঁস করলেন অরুণিমা ঘোষ

গত দু’বছর যা গিয়েছে! করোনার দাপটে গড়িয়াহাটের মতো রাস্তা খাঁ খাঁ। বিক্রিবাটা নেই। হকারদের হইচই নেই। রাস্তায় এক কিলোমিটার লম্বা জ্যাম নেই! শারদীয়ায় প্রাণের কোনও সাড়াই নেই। সারা ক্ষণ ভয়ে ভয়ে থাকা। এই বুঝি সংক্রমণ ছড়ালো। আর বোধহয় আগের মতো সব স্বাভাবিক হবে না। মাস্ক ছাড়া বেরনো যাবে না। বাইরের খাবার খাওয়া যাবে না। দমবন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। ২০২২ আবার আগের মতো। সবার মুখে হাসি। মন ভরে যাচ্ছে। 

ভীষণ আলসে আমি। সারা বছরের বিশ্রাম পুজোর চারটে দিনের জন্য তুলে রাখি। মা ডেকে ডেকে সাড়া। আমি ‘উঠছি উঠব’-র দলে। তার পরেও সারা দিন প্রায় শুয়ে বসেই কাটিয়ে দিই। বাড়ি ভর্তি আত্মীয়। সন্ধেয় বন্ধুদের আনাগোণা। তখন আমি নড়েচড়ে বসি। কোনও দিন ঘরে বসে আড্ডা। কোনও দিন প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঘোরা। রাতে কব্জি ডুবিয়ে বাইরে খাওয়া। অষ্টমীতে সেজেগুজে অঞ্জলি। প্রতি দিন ভোগ খাওয়া। এ বছর কিচ্ছু বাদ দেব না।  

আমার বাড়ি গড়িয়াহাটে। জ্যামজমাট এলাকা। গত এক মাস ধরে সেই চেনা ছবি। হকারদের মুখে হাসি। গলা ফাটিয়ে খদ্দের ডাকছেন। দরাদরি করছেন। পুরোদমে বিকিকিনি। তাঁদের বিক্রিবাটার চোটে রাস্তায় গাড়ির সারি। যার জেরে শ্যুটিংয়ে যেতে দেরি। গাড়িতে বসে গলা ফাটিয়ে চেঁচাচ্ছি। তার সঙ্গে মিশে অদ্ভুত আনন্দ। মুক্তির স্বাদ। এই তো প্রতি বছর চেতনে-অবচেতনে চাই। এটাই গত দু’বছর ধরে চেয়েছিলাম দেবী দুর্গার কাছে। এ বছর দেবী মা বরাদ্দে ‘ফাউ’ও দিয়েছেন। বেশ কিছু সময় আমার ব্যস্ততা কমে গিয়েছিল। মনে মনে খারাপ লাগা ছিলই। উপরওয়ালা বোধহয় শুনতে পেয়েছেন। তাই এ বছর, আগামি বছর মিলিয়ে আমার হাত ভর্তি কাজ। সিনেমা, সিরিজ মিলিয়ে এক মুঠো চরিত্রে অভিনয় করছি। এই ব্যস্ততার চোটে পুজোর জন্য এক গাদা শাড়ি কেনা হয়েছে। মিলিয়ে একটাও ব্লাউজ কেনার সময় হয়নি! 

তা হোক। পুরনো ব্লাউজ দিয়েই না হয় সামলে নেব। আর সালোয়ার-কুর্তি তো রয়েইছে। এই চারটে দিন আমি পুরোদস্তুর বাঙালিনী। কোনও পাশ্চাত্য পোশাক গায়ে তুলি না। পোলাও-মাংস, মিষ্টি, আইসক্রিম ছাড়া মুখে রোচে না। তাতে আমার কম করে দু’কিলো ওজন তো বাড়বেই। তাই নিয়ে বিন্দুমাত্র মাথাব্যথা নেই। ঠিক জিম করে ঝরিয়ে নেব। কিন্তু পুজোর আনন্দ উপভোগে কোনও ফাঁক থাকবে না। গত দু’বছর যখনই ফাঁক পেয়েছি ওয়েব প্ল্যাটফর্মে ছবি দেখেছি। এ বছর অনেকগুলো বাংলা ছবি মুক্তি পাচ্ছে। আমি প্রেক্ষাগৃহে দেখার অপেক্ষায়। আর একটা প্রশ্ন প্রত্যেক বছর সংবাদমাধ্যম জানতে চায়, কবে বিয়ে করছি? নিদেনপক্ষে একটা প্রেম! এ বছর এশিয়ানেট নিউজের মাধ্যমে সবাইকে বলছি, আমার বিয়ে, সিঁদুরখেলা মা দুর্গার উপরে নির্ভর করছে। আর, প্রেম করতে চাই না। ঠিক করেছি বিয়ের পর প্রেম করব। সব মিলিয়ে বেশ অন্য রকম হবে না ব্যাপারটা? 

আরও পড়ুন- 
'দুর্গাপুজো মানেই আমার পুরনো জামার দিন! মেয়েরা বেনিয়ম বড্ড ভালোবাসে'- অম্বরীশ 
গঙ্গার ঘাটে বসে ‘আমার দুর্গা’! 'জরাজীর্ণ শরীর নিয়ে শেষ পাড়ানির কড়ি খুঁজছে', আর কি বলছেন বিশ্বনাথ 
'৬ বছর বয়সে ৬ মাসের বোনকে প্রথম দুধ গুলে খাইয়েছি, এখন সে আমায় সামলায়!'- সৌরভ 

Read more Articles on
Share this article
click me!