'দুর্গাপুজো মানেই আমার পুরনো জামার দিন! মেয়েরা বেনিয়ম বড্ড ভালোবাসে'- অম্বরীশ

মেয়েদের নজর কাড়তে অম্বরীশের দাওয়াই...চেহারার জন্য সাজ-সাধ কিচ্ছু যেন না আটকায়। গুছিয়ে সাজলে আমরাও দুরন্ত সুন্দর। - আর কি বলছেন অম্বরিশ 
 

Web Desk - ANB | Published : Sep 30, 2022 12:06 AM IST / Updated: Sep 30 2022, 05:50 AM IST

অম্বরীশ ভট্টাচার্যের পায়ের তলায় সর্ষে। এই তিনি ধারাবাহিক ‘ধুলোকণা’র শ্যুটে তালসারিতে। পর ক্ষণেই জয়পুরে। পুজো কি তা হলে বাইরে বাইরেই কাটবে ‘পটকা’র? একেবারেই না। এশিয়ানেট নিউজকে জানিয়েছেন, পুজোয় তিনি নিজের শহরে। নিজের ঘরের কোণে। একেবারেই সাজগোজ না করে! সে কী, কেন?   

নতুন জামা-কাপড় কবে শেষ পড়েছি? তখন বড়জোর ২১ কি ২২। ওই বয়সেই জোর বিদ্রোহ। অনেক পুজোর জামা হয়েছে। আমি বড় হয়ে গিয়েছি। এ বার এ সবে ইতি। তার আগে পর্যন্তও চার দিন মাথাপিছু জামা হত। শার্ট, টি-শার্ট, ট্রাউজার্স, পাঞ্জাবি, পাজামা। সেই পড়ে পাড়ার প্যান্ডেলে চক্করও কাটতাম। কিন্তু একটু মুখচোরা। নিজের মধ্যে থাকতে ভালোবাসি। তাই কিছু ক্ষণ কাটিয়েই সোজা বাড়ি। 

বড় হওয়ার পরে কী হল? নতুন জামা-কাপড় বাদ। প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঢুঁ মারা বাদ। কত বছর পুজোয় রাত জেগে ঠাকুর দেখিনি? নয় নয় করে বছর ১২। মানে, এক যুগ! তা হলে এখন আমার পুজো কাটে কেমন সাজে? কেন, লুঙ্গি আর গেঞ্জি বা ফতুয়া পাঞ্জাবিতে! যা বাড়িতে পরি। 

তা হলে কি আমি কখনওই নতুন জামা পরি না? পরি তো! কাজের সূত্রে সারা বছর। জিন্স থেকে চিনোস হয়ে সব কিছুই। অভিনয়ে একটু আধটু নাম হওয়ার পর থেকেই রাস্তায় আগের মতো বেরনোয় চাপ। তাই সারা বছর কাজের অছিলায় সাজি। কেনাকাটাও সারি। যেমন, আমার বিভিন্ন দোকান ঠিক করা আছে। সেখানে বলা আছে, নতুন কালেকশন এলেই যেন বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ওঁদের পাঠানো পোশাক থেকে পছন্দসই জামা বেছে নিই। না অনলাইন না দোকান— দুটো পদ্ধতির ঠিক একটি উপায় দেখুন কেমন বের করে নিয়েছি! 

অনেকে যদিও এও ভাবেন, আমার প্লাস সাইজ পোশাক বুঝি মেলে না! তাই আমার সাজগোজে এত অনীহা! আসল কারণ পরে বলছি। তার আগে বলি, অনলাইন থেকে দোকান, সর্বত্র আমাদের মাপের অঢেল জামাকাপড়। তাই যিনি যেমন পরতে ভালবাসেন, যিনি যে সাজে স্বচ্ছন্দ সেই সাজেই সাজুন। আমার যেমন চেহারা নিয়ে কোনও আক্ষেপ নেই। আপনারাও রাখবেন না। আমি কিন্তু প্লাস ফিগার হওয়ায় অনেক সুবিধে পাই। চেহারার জন্য সাজ-সাধ কিচ্ছু যেন না আটকায়। গুছিয়ে সাজলে আমরাও দুরন্ত সুন্দর।  

এ বার বলি আসল কথা। বড় হওয়ার পরে বুঝেছি, মেয়েরা বেনিয়ম বড্ড ভালবাসে। এ দিকে পুজো এলেই আমার চোখে সবাই সুন্দরী। এক ঝাঁক ছেলের ভিড়ে তাদের নজর কাড়ার উপায় কী? পুরনো পোশাক পরো। সবাই যখন নতুন সাজে ধোপদুরস্ত আপনি তখন আলুথালু পুরনো বেশে। সবার মধ্যে মূর্তিমান ব্যতিক্রম। ঠিক যেমন আমি। খেয়াল করতাম, মেয়েরা কিন্তু ঘুরেফিরে আমাতেই আটকে যেত! এ বছরের পুজোয় আমার এই টোটকা ট্রাই করে দেখবেন নাকি? 
আরও পড়ুন- 
গঙ্গার ঘাটে বসে ‘আমার দুর্গা’! 'জরাজীর্ণ শরীর নিয়ে শেষ পাড়ানির কড়ি খুঁজছে', আর কি বলছেন বিশ্বনাথ 
'পদ্মাপারেও জমজমাট দুর্গাপুজো, কাশের বন, শিউলি ফুল, সাবেকিয়ানায় মাখামাখি'- আর কি বলছেন গাজি নূর 
'২০০ টাকার রোল, বিরিয়ানি খাবে, ১৫ টাকা খরচ করে গান শুনবে না!', আক্ষেপ বাবুলের

Read more Articles on
Share this article
click me!