আত্মপ্রত্যয়ের স্ফুরণ ছড়িয়ে দিতে চোরবাগান সার্বজনীনের থিম ‘অন্তর্শক্তি’, সম্মান জানাল স্বয়ং ইউনেস্কো

সেপ্টেম্বরের ২০ তারিখের মধ্যেই ইউনেস্কোর বিচারকদের দর্শনের জন্য মণ্ডপের কাজ সম্পূর্ণ করে ফেলার তাগিদ রেখেছে চোরবাগান সার্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতি।

Sahely Sen | Published : Sep 7, 2022 10:43 AM IST / Updated: Sep 07 2022, 05:01 PM IST

২০২২-এর দুর্গাপুজোয় ‘সিটি অফ জয়’-এর মুকুটে নয়া পালক ইউনেস্কোর হেরিটেজ উৎসবের সম্মান। এই সম্মান পেয়ে উদ্ভাসিত সারা বাংলা। বঙ্গের বহু দুর্গাপুজোর মধ্যে বিশেষ বাইশের ভেতর জায়গা করে নিয়েছে উত্তর কলকাতার চোরবাগান সার্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতি। মহালয়ার পর পরই দর্শনার্থীদের জন্য খুলে যাবে এই মণ্ডপের প্রবেশদ্বার।

টানা ২ বছরের মহামারীর আকাল পেরিয়ে মানুষের ভেতরের শক্তিকে ফের উজ্জীবিত করে তুলতে চোরবাগান সার্বজনীনের এবছরের থিম অন্তর্শক্তি, অর্থাৎ মানুষের মনের পরাক্রমতা এবং তা জাগিয়ে তোলা। ২০২২ সালে ২৭ বছরে পা দিল চোরবাগানের এই পুজো। আত্মশক্তির বিচ্ছুরণ ঘটাতে এবছর মাতৃমণ্ডপের প্রধান উপকরণ কাচ। কাচের বিভিন্ন আকারের উপকরণ ব্যবহার করে দর্শনার্থীদের আত্মায় মনঃশক্তির স্ফুরণ ছড়িয়ে দিতে চলেছেন শিল্পী বিমল সামন্ত, তাঁর কারিগরিতে আলো দিয়ে প্রাণ সঞ্চার করছেন পরিচালক প্রেমেন্দু বিকাশ চাকি।


 

প্রতিমা শিল্পী সুব্রত মৃধার সঙ্গে মণ্ডপশিল্পী বিমল সামন্তর সহযোগিতায় দেবী দুর্গার রূপে ফুটে উঠবে আত্মপ্রত্যয়, অর্থাৎ, অন্তরশক্তির উদ্ভাবন। শিল্পীদের সমস্ত ভাবনায় উদ্দীপনা ঢেলে সাজিয়ে দিতে চলেছেন স্বয়ং চোরবাগান এলাকার মানুষজন। মণ্ডপের পরিসর ছোট হলেও তা যে আনন্দের উদ্যোগে একেবারেই বাধ সাধে না, তা প্রমাণ করে দিতে এলাকার অভিজ্ঞ গুণীজনেরা এবং কচিকাঁচারা নিজেরাই আয়োজন করে রেখেছেন পুজোর ক’দিনের বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, যা উপস্থাপন করবেন তাঁরা নিজেরাই। 

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত পুজোর কোনও কোভিড গাইডলাইন প্রকাশিত না হলেও চোরবাগান সার্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতি অবশ্যই করোনা সতর্কতা মেনে তৈরি রেখেছে মণ্ডপের বড় প্রবেশদ্বার, প্রস্থানের গেটটিও অনেক মানুষ বেরনোর জন্য যথাযথ, এছাড়াও মণ্ডপের ভেতরে থাকছে যথেষ্ট স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থা, দর্শকদের মধ্যে যাতে ধাক্কাধাক্কি বা অতিরিক্ত ভিড় না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্য প্রস্তুত থাকবেন ক্লাবের ভলান্টিয়াররা। 

ইউনেস্কোর হেরিটেজ দুর্গাপুজোর সম্মানের তালিকায় সংযোজিত হতে পেরে উদ্ভাসিত এই ক্লাবের পুজো কর্তারা, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে সুবিশাল বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন তাঁরা। সেপ্টেম্বরের ২০ তারিখের মধ্যেই ইউনেস্কোর বিচারকদের দর্শনের জন্য মণ্ডপের কাজ সম্পূর্ণ করে ফেলার তাগিদ রেখেছে চোরবাগান সার্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতি। 

আরও পড়ুন-
ফের তৃণমূল ভবনে মুকুল রায়, ইডি সিবিআই প্রসঙ্গে শাসকদলকে দিলেন আত্মবিশ্বাসের বার্তা
মাসের পর মাস সহবাস, বাড়ি ফিরে গ্রামের মেয়েকে বিয়ে, সুদূর জয়পুর থেকে মালদহে প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধর্নায় যুবতী
ছোটবেলার স্মৃতি উসকে শিলাদ্রিজার থিমে চমক দিতে তৈরি কালীঘাট নেপাল ভট্টাচার্য স্ট্রিট ক্লাব

Read more Articles on
Share this article
click me!