সংক্ষিপ্ত

জয়পুর থেকে ছুটে এসে ১ সেপ্টেম্বর থেকে হন্যে হয়ে খুঁজেও প্রেমিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। বাধ্য হয়ে স্ত্রীর মর্যাদা পেতে এখন রামশিমূল গ্রামে প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসেছেন সরবানু। 

স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে সূদূর জয়পুর থেকে ছুটে এসে প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসলেন যুবতী। দীর্ঘ দিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর মতো সংসার করে অবশেষে নিজের মায়ের ফোন পেয়ে প্রেমিকার ঘর ছেড়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে ট্রেন ধরেছিলেন মালদহের রুকতার। জানা গিয়েছে, দিদার শারীরিক অসুস্থতার কথা বলে তাঁকে ফোন করে বাড়িতে ডেকেছিলেন তাঁর মা। কিন্তু, জয়পুর থেকে বারবার তাঁকে ফোনে না পেয়ে অবশেষে মালদহে এসে প্রেমিকা যা শুনলেন, তাতে হতভম্ব হয়ে গেলেন এলাকার পুলিশ কর্মীরাও।

জয়পুর থেকে প্রেমিক রুকতারকে বিয়ে করার আশায় মালদহে এসেছিলেন বাইশ বছর বয়সী সরবানু খাতুন।  মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নং ব্লকের রামশিমূল গ্রামে বাড়ি তাঁর প্রেমিকের। এলাকায় এসে তিনি জানতে পারেন, গ্রামেরই এক মেয়েকে বিয়ে করে নিয়েছেন রুকতার। এরপর স্ত্রীর মর্যাদা পাওয়ার দাবিতে প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসলেন সেই প্রেমিকা। ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। প্রেমিকা ধর্নায় বসেন এবং স্থানীয় থানাতেও অভিযোগ জানান। সেই খবর পেয়েই ওই যুবক ও তঁর পরিবারের লোকেরা বাড়ির দরজায় তালা দিয়ে চম্পট দেন। যুবতী প্রেমিকের নামে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।


স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, যুবতীর নাম সরবানু খাতুন। বাড়ি উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহার থানার রায়গঞ্জ এলাকায়। দীর্ঘ তিন বছর ধরে জয়পুরে এক এনজিওতে কাজ করেন এবং সেখানেই থাকেন তিনি। অভিযুক্ত প্রেমিকের নাম রুকতার আলি। বাড়ি মালদহ জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নং ব্লকের রামশিমূল গ্রামে। সে জয়পুরে টোটো চালকের কাজ করে বলে জানান যুবতী। জয়পুরে প্রথম দেখাতেই ওই যুবকের সঙ্গে সরবানুর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
যুবতীর অভিযোগ,গত তিন বছর ধরে ওই যুবকের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। তাঁদের মধ্যে অবাধ মেলামেশাও হয়েছে। এমনকি বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রেমিক একাধিকবার তাঁর সঙ্গে শারিরীক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছে বলে দাবি। এখন বিয়ে করতে অস্বীকার করছে প্রেমিক। অভিযোগ, তাঁর পরিবারের লোকেরাও তাঁদের সম্পর্কের কথা সব জানেন। প্রেমিকের সঙ্গে একাধিক ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ছবি ও ভিডিও তাঁর কাছে প্রমাণ স্বরূপ রয়েছে। এখন রুকতার তাঁর সঙ্গে ফোনে আর যোগাযোগ রাখছেন না। বাড়িতে এসে যৌতুকের লোভে অন্যত্র বিয়ে করে নিয়েছেন তিনি। সরবানু আরও জানান, তাঁর কাছ থেকে বিভিন্ন বাহানায় গত ছয় মাসে ৭০-৮০ হাজার টাকা নিয়েছেন ওই যুবক। তিনি নাকি কথা দিয়েছিলেন, কয়েকদিনের জন্য বাড়ি যাচ্ছেন, এরপরে তাঁকে বিয়ে করে বাড়িতে নিয়ে যাবেন। কিন্তু, বাড়ি ফিরতেই দুজনের যোগাযোগ বন্ধ। জয়পুর থেকে ছুটে এসে ১ সেপ্টেম্বর থেকে হন্যে হয়ে খুঁজেও প্রেমিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। বাধ্য হয়ে স্ত্রীর মর্যাদা পেতে এখন রামশিমূল গ্রামে প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসেছেন সরবানু।

আরও পড়ুন-
“বিরাট কত রান করল, সেটা দেখছি না”, স্পষ্ট বার্তা কোচ দ্রাবিড়ের
বঙ্গে চিটফান্ড সংস্থায় ফের জড়াল শাসকদলের নাম, বর্ধমানে সিবিআইয়ের নজরে তৃণমূল নেতা প্রণব চট্টোপাধ্যায়
“আগামী দিনে পিসি-ভাইপোকেও হয়তো কেষ্টর মতো মাটিতেই শুতে হবে”, নিউটাউনে প্রাতঃভ্রমণে বিরোধীদের দিলীপ-বাণ