এবারের যোধপুর পার্কের থিম হলো- 'অযান্ত্রিক'। মূলত মানুষ ও যন্ত্রের অন্তর্নিহিত সম্পর্কের মেলবন্ধন এই 'অযান্ত্রিক' -এর মধ্য দিয়েই ফুটিয়ে তুলছে যোধপুর পার্ক। সমাজে এমন কিছু মানুষ রয়েছে যাদের সারাটা জীবন যন্ত্রের সঙ্গেই কেটে যায়। যেমন রাজমিস্ত্রী থেকে কামার তাদের রুটি রোজগার থেকে পুরো জীবনযাত্রাটাই কেটে যায় যন্ত্রের সঙ্গে। এই যন্ত্রের মধ্যে তারা প্রাণ দেখতে পায়, সেই যন্ত্রের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ককে 'অযান্ত্রিক' অভিনব ভাবনার মাধ্যমে তুলে ধরছে যোধপুর পার্ক শারদীয়া উৎসব কমিটি।
হাতে আর মাত্র কয়েকদিন। সারা শহর আবার সেজে উঠবে আলোয়। পুজো নিয়ে বরাবরই বাঙালির একটা টানটান উত্তেজনা রয়েছে। মহালয়ার দিন থেকেই শুরু হয়ে যায় পুজোর প্রস্তুতি। পিতৃপক্ষের সমাপ্তি এবং দেবীপক্ষের সূচনা দিয়েই দুর্গাপুজোর শুভারম্ভ। ইতিমধ্যেই সাদা কাশফুল জানান দিচ্ছে মা আসছে। সারা কলকাতা আলোতে সেজে উঠছে। এই বছর দুর্গাপুজো যেন বাঙালির কাছে একটু বেশি বাড়তি পাওনা। কারণ বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপুজো ইউনেস্কোর হেরিটেজ তকমা পেয়েছে। তা যেন বড় গর্বের ও আনন্দের বটে। করোনাকালে মহাসঙ্কট কাটিয়ে যেন ফের ছন্দে ফিরেছে আট থেকে অষ্টাদশী। পুজোর আনন্দে খুশির রেশ বাঙালির মনে।
বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বনের মধ্যে শ্রেষ্ঠ উৎসব হল দুর্গাপুজো। ঘরে ফিরছে উমা। গোটা বছর ভর এই দিনটার জন্য মুখিয়ে থাকে বাঙালিরা। ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে পুজোর কাউন্টডাউন। দেবী দুর্গার আগমনে চারিদিকে যেন সাজো সাজো রব। প্যান্ডেল থেকে ঠাকুর, পুজোর থিম থেকে লাইটিং সবকিছুর প্রস্তুতিই এখন তুঙ্গে। কোন পুজোর কী থিম তা জানতেও মুখিয়ে রয়েছেন সকলেই। প্রত্যেক বারের মতোই এবারেও নয়া ভাবনা উপস্থাপন করছে যোধপুর পার্ক শারদীয়া উৎসব কমিটি। এবারের যোধপুর পার্কের থিম হলো- 'অযান্ত্রিক'। মূলত মানুষ ও যন্ত্রের অন্তর্নিহিত সম্পর্কের মেলবন্ধন এই 'অযান্ত্রিক' -এর মধ্য দিয়েই ফুটিয়ে তুলছে যোধপুর পার্ক। সমাজে এমন কিছু মানুষ রয়েছে যাদের সারাটা জীবন যন্ত্রের সঙ্গেই কেটে যায়। যেমন রাজমিস্ত্রী থেকে কামার তাদের রুটি রোজগার থেকে পুরো জীবনযাত্রাটাই কেটে যায় যন্ত্রের সঙ্গে। এই যন্ত্রের মধ্যে তারা প্রাণ দেখতে পায়, সেই যন্ত্রের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ককে 'অযান্ত্রিক' অভিনব ভাবনার মাধ্যমে তুলে ধরছে যোধপুর পার্ক শারদীয়া উৎসব কমিটি। ৬ আগস্ট খুঁটিপুজোর মাধ্যমেই পুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে যোধপুর পার্কে। ইতিমধ্যেই কলকাতর সমস্ত শারদ সম্মান রয়েছে যোধপুর পার্ক শারদীয়া উৎসব কমিটির ঝুলিতে।
কলকাতাতে এখন থিম পুজো নিয়ে রীতিমতো হাড্ডাহাড্ডি টক্কর চলছে। প্রতি বছরই নয়া নয়া থিম নিয়ে হাজির হয় যোধপুর পার্ক, এবারও সেই তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে। হাতুড়ি, কোদাল, কাস্তে, বেলচা সবের মধ্যেই প্রাণ রয়েছে। সেই প্রাণের সঞ্চারই এবার থিম 'অযান্ত্রিক'-এর মধ্যে দেখানো হবে। প্রতিমা সজ্জায় প্রদীপ রুদ্র পাল এবং মন্ডপ সজ্জায় বিমান সাহা ছোঁয়ায় 'অযান্ত্রিক' এর থিম হয়ে উঠবে জীবন্ত। যোধপুর পার্ক শারদীয়া উৎসব কমিটির জেনারেল সেক্রেটারি সুমন্ত রায় জানিয়েছেন, পুজোর বাজেটও গত বছরের তুলনায় বেশ অনেকটাই বেড়েছে। গত দুবছর যেহেতু অতিমারিতে সেভাবে কিছু করা যায়নি তাই এবছরটা আরও বেশি করে অভিনবত্বের ছোঁয়া রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। যোধপুর পার্ক শারদীয়া উৎসব কমিটির পুজো এবছর ৭০-এ পা দিল। পরিবেশ সচেতনতা ও কোভিডের কথা মাথায় রেখেই পুজোর আয়োজন করা হচ্ছে। গত দুবছর ধরে যেভাবে মহামারিতে পুজো হয়েছে সেগুলির সবই ব্যবস্থা করা হবে। তবে ভিড়ের মধ্যে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা সেভাবে রাখা হবে না। তবে দর্শনার্থীদের উদ্দেশ্যে একটাই কথা বলব সকলে যেন মাস্ক পরেই ঠাকুর দর্শন করতে আসেন। তবে যারা মাস্ক পরে আসবেন না তাদের সকলকেই মন্ডপ থেকে মাস্ক দেওয়া হবে। পুজোর এই কটা দিনে বিশেষ কোনও অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়নি। আসলে ভিড়ের কথা মাথায় রেখেই অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা বাতিল করা হয়েছে। যোধপুর পার্কের জেনারেল সেক্রেটারি সুমন্ত রায় সকলের উদ্দেশ্য জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন বাদে সকলেই একটু মুক্ত আকাশ এবং মুক্ত বাতাস পেয়েছে। সকলে মিলে পুজোর আনন্দ উপভোগ করুন। আর যাদের জীবনটার অর্ধেকই কেটে গিয়েছে যন্ত্রের সঙ্গে তারা অবশ্যই আসুন যোধপুর পার্কের পুজো মন্ডপে।
আরও পড়ুন- ৮৩তম গৌরবময় দুর্গোৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত হরি ঘোষ স্ট্রিট সার্বজনীন
আরও পড়ুন-জমজমাট পুজোয় অদেখার যাত্রায় যেতে প্রস্তুতি চলছে সিকদার বাগান সাধারন দুর্গোৎসব কমিটির
আরও পডুন- জগৎ মুখার্জি পার্কের পুজো মণ্ডপে শরতে বর্ষার আমেজ, অন্য পরিবেশ তৈরিতে ব্যস্ত উদ্যোক্তারা