সংক্ষিপ্ত
পুজো ছাড়াও এই দুর্গোৎসব সমিতি নানা সামাজিক দায়িত্ব পালন করে- যেমন রক্তদান শিবির, কোভিড-১৯, ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া নিয়ে সামাজিক সচেতনতামূলক কর্মসূচি, দরিদ্রদের আর্থিক সাহায্য, ওষুধ বিতরণ ইত্যাদি। এই দুর্গা পুজার প্রেক্ষাপটে হরি ঘোষ স্ট্রিট সার্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতি এই ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
শরতের নীল আকাশ আর মাঠে ঘাটে কাশ ফুল জানান দিচ্ছে ঘরে মেয়ের আসার সময় হয়েছে। সেই আনন্দ মেতে উঠেছে শহর কলকাতা সহ গোটা বাংলা। সেই মতে শুরু হয়ে গিয়েছে পুজোর প্রস্তুতিও। কলকাতার অলিতে গলিতে চলছে পুজোর থিম, প্য়ান্ডেল, আলোর রোশনাই দিয়ে সাজানোর প্রস্তুতিপর্ব। বছর পরে মেয়ে বাড়ি আসছে বলে কথা। তাই এই মুহূর্তে প্রস্তুতিতে ব্যস্ত হরি ঘোষ স্ট্রিট সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি।
দেশব্যাপী আন্দোলনের পটভূমিতে ১৯৪০-এর প্রত্যন্ত দিনগুলিতে শুরু করে, হরি ঘোষ স্ট্রিট সার্বজনীন তাদের গৌরবময় উদযাপনের ৮৩ বছরে পৌঁছানোর জন্য অনেক দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েছে। উত্তর কলকাতার প্রাচীন ঐতিহ্যকে মূর্ত করে তোলা এই পুজো সেই এলাকার একটি মুকুট ও গৌরব। এটি পুজো কমিটি কেবল একটি ঐতিহ্য নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে না, সেই সঙ্গে নতুন কিছু উদ্ধাবনের বিষয়েও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পুজো ছাড়াও এই দুর্গোৎসব সমিতি নানা সামাজিক দায়িত্ব পালন করে- যেমন রক্তদান শিবির, কোভিড-১৯, ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া নিয়ে সামাজিক সচেতনতামূলক কর্মসূচি, দরিদ্রদের আর্থিক সাহায্য, ওষুধ বিতরণ ইত্যাদি। এই দুর্গা পুজার প্রেক্ষাপটে হরি ঘোষ স্ট্রিট সার্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতি এই ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
শুধু দুর্গা পুজো নয় গোটা বছর জুড়ে এই পুজো কমিটি ব্যস্ত থাকে মানব কল্যান মূলক কাজে। আর মানব কল্যান মূলক কাজে মানেই ঈশ্বরের সাধনা। তাই এই পুজো কমিটি সারা বছরের পুজোর কাজের সঙ্গে যুক্ত। হরি ঘোষ স্ট্রিট সার্বজনীন ৮৩তম দুর্গোৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিটে "চতুর্থীর" শুভ মুহূর্তে। দুর্গা দালানের থিমে এই বছরে সেজে উঠবে মন্ডপ। প্রতিমা সজ্জায় মিন্টু পাল ও মন্ডপ সজ্জায় মিলবে গৌতম দাসে ছোঁয়া। এখন শুধু মূর্তি আসার অপেক্ষা-