সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বারুইপুরের সীতাকুণ্ডতে অমিত শাহর নির্বাচনী প্রচারের জন্য জনসভা করার কথা রয়েছে। সেই প্রচার সভার জন্য একটি একটি ব্যক্তিগত জমি চিহ্নিত করেছিল বিজেপি শেষ মুহূর্তে সেই জমিতে জনসভা নিয়েও জটিলতা তৈরি হল। জমিরই একটি অংশে অমিত শাহর হেলিকপ্টার নামার কথা ছিল । প্রয়োজনীয় অনুমতিও দেন মালিক । কিন্তু, গতরাতে বেঁকে বসেন তিনি । সেই জট কাটাতে দফায় দফায় বৈঠক করছেন বিজেপি নেতারা।
১৯ মে সপ্তম ও শেষ দফার ভোটের আগে বারুইপুর, রাজারহাট ও ক্যানিংয়ে সোমবার প্রচার সভায় আসার কথা অমিত শাহের। কোন জমিতে সভা হবে , সে সমস্ত ঠিক হয়ে গেলেও শেষ মুহূর্তে সেই জমি নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। রবিবার রাতে থানায় গিয়ে সভার ও হেলিপ্যাড তৈরির অনুমতি প্রত্যাহার করে নেন সেই জমির মালিক।
ওই জমির মালিক কেন অনুমতি প্রত্যাহার করলেন, তাএ এখনও স্পষ্ট নয়। বিজেপির দাবি, পুরো বিষয়টির মধ্যে তৃণমূলের ষড়যন্ত্র রয়েছে। বিজেপির অভিযোগ, রাজ্যে বিজেপির উত্থানে ভীত শাসকদল। আর তাই ওই জমির মালিককে ভয় দেখিয়ে অনুমতি প্রত্যাহার করিয়েছে তৃণমূল।
এই জটিলতার ফলে আপাতত বাতিল করা হয়েছে অমিত শাহের জনসভা। জানিয়েছেন বিজেপি দক্ষিণ ২৪ পরগনা সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুনীত দাস। তিনি জানিয়েছেন, বারুইপুরে সভাস্থল ও হেলিপ্যাডের অনুমতি মেলেনি। ফলে সেখানে অমিত শাহের সভা না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। হেলিপ্যাডেরও অনুমতি নেই। তাই ওখানে অমিত শাহকে নিয়ে গিয়ে রোড-শো করানো যাবেনা। পার্টির তরফে আলোচনা চলছে বিকল্প উপায় বের করার।
জানা গিয়েছে রবিবার রাতেই বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ কলকাতায় এসে গিয়েছেন। তাঁর কলকাতায় তিনটে সভা করার কথা রয়েছে-ক্যানিং, বারুইপুর ও রাজারহাট। এর মধ্য়ে বারুইপুরের সভা বাতিল হয়েছে। এ বিষয়ে যাদবপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অনুপম হাজরা জানান, এভাবে বিজেপিকে রোখা যাবে না৷ জনসভা না হলেও, দল যাদবপুরের কর্মীদের হতাশ করবে না। প্রয়োজনে এই এলাকার কর্মীদের সঙ্গে অমিত শাহ বৈঠক করবেন বলে জানা গিয়েছে। তবে প্রচার সভা করা নিয়ে শাসকদলের সঙ্গে বিজেপির এই সমস্যা নতুন কিছুই নয়।