মোদী বনাম রাহুল মানে কন্যা বনাম মিথুন! জ্যোতিষী যুদ্ধে এগিয়ে কে

মির্জা গালিব লিখেছিলেন, 'নসিব উনকে ভি হোতে হ্যায় যিনকে হাত নাহি হোতে'। কিন্তু, সেকথা কে শুনছে? পরীক্ষা থেকে শারীরিক অসুস্থতা - সমস্যায় পড়লে অনেকেই হাত বাড়িয়ে ছোটেন তোতা পাখি বা ট্যারো কার্ড নিয়ে বসে থাকা ভবিষ্যত-বক্তাদের কাছে। ভবিষ্যত আগে থেকে জানা থাকলে, তা নিজের মতো নিয়ন্ত্রণ করা যাবে - এই ভাবনা থেকে মুক্ত হওয়া কঠিন। রাজনীতির কারবারিরাও ব্যতিক্রম নন। জ্যোতিষীর কথা মতো প্রত্যেক পা ফেলেন এমন রাজনীতিবিদের অভাব নেই আমাদের দেশে। আর এক্সিট পোলের উপর কোপ পড়লেও নির্বাচন কমিশন কিন্তু জ্যোতিষীদের ভবিষ্যতবাণীর উপর কোনও বিধি নিষেধ আরোপ করেনি। কাজেই ভোটের মরসুমে বিভিন্ন প্রথিতযশা ভবিষ্যত-বক্তাদের গণনালব্ধ ফলাফলের ফুলঝুড়ি ঝড়ছে।

 

amartya lahiri | Published : Apr 29, 2019 11:07 AM IST

রাহুল গান্ধীর দ্বৈত ব্যক্তিত্ব

না কংগ্রেস সভাপতিকে নিয়ে এমন গুরুতর বিষয়ই উঠে এসেছে মোদী-ভক্ত জ্যোতিষীদের গণনায়। আন্তর্জাতিখ্যাতি সম্পন্ন ভবিষ্যত-দ্রষ্টা লারা শাহ-এর ট্যারো কার্ড বলছে রাহুল মিথুন রাশি জাতক হওয়ায় তাঁর মধ্যে সমসময় দুই ব্যক্তিত্বের দ্বন্দ্ব চলে। তাই প্রধানমন্ত্রী হওয়া তাঁর পক্ষে কঠিন।

চন্দ্রের জোর যার

আবার রাহুলের জন্য ভাল সংবাদও এসেছে জ্যোতিষী মহল থেকে। জ্যোতিষী রাজ কুমার শর্মার গণনা বলছে সামনে রাহুলের জন্য খুবই সুসময়। কারণ কংগ্রেস সভাপতির চন্দ্র, নরেন্দ্র মোদীর চন্দ্রের থেকে বেশি শক্তিশালী। তাই রাজ কুমা শর্মা নিশ্চিত ভোটের শেষে হয় হারুল প্রধানমন্ত্রী হবেন, অথবা, তাঁর দলের সমর্থনেই দিল্লির সরকার তৈরি হবে।

মোদীর সাড়ে সাতি দশা

জ্যোতিষ মহল থেকে অবশ্য আরও খারাপ খবর এসেছে নরেন্দ্র মোদীর জন্য। একাংশের জ্যোতিষীরা জানাচ্ছেন মোদী কন্যা লগ্ন জাতক। যে লগ্ন জাতক-জাতিকাদের এখন শনির সাড়ে সাতি দশা চলছে। তাদের দাবি আগামী আড়াই বছর সময়টা ভালো যাবে না তাঁর। কারণ এই সময়কালে সাধারণত পূর্বকর্মের ফল ভোগ করতে হয়।

জ্যোতিষীদের জন্য পুরস্কার

প্রত্যেক নির্বাচনেই জ্যোতিষীরা এই ধরণের ভবিষ্যতবাণী করে থাকেন। কিন্তু গণনা মেলাতে পারলেও কোনও পুরস্কার থাকে না। এইবার কিন্তু তাদের জন্য ২১ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঘোষণা করেছে 'মহারাষ্ট্র অন্ধশ্রদ্ধা নির্মোলন সমিতি'। যাদের প্রতিষ্ঠাতা নরেন্দ্র দাভোলকরকে ২০১৩ সালে খুন হতে হয়েছিল। আঙুল উঠেছে গেরুয়া শিবিরের দিকে। কিন্তু, জোতিষীরা কেউ তাঁদের জ্ঞান বিক্রী করতে রাজি নন।

যাইহোক, দ্বৈত সত্ত্বার দ্বন্দ্বে আটকে যাবেন রাহুল, নাকি সাড়ে সাতি দশায় পূর্ব কর্মের ফল ভুগবেন নরেন্দ্র মোদী, সেটাই এখন দেখার। 

Share this article
click me!