যত দোষ সব মিডিয়ার। মিডিয়াই সিপিআইএম-কে লড়াইয়ের ময়দান থেকে ভ্যানিশ করে দিয়েছে। শুধু দেখানো হচ্ছে বিজেপি বনাম তৃণমূল, তৃণমূল বনাম বিজেপি। কিন্তু আসল চিত্রটা আলাদা। লড়ছেন মানুষ। আর তাদের আটকাতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়েছে তৃণমূল-বিজেপি। আর লড়াকু মানুষের একমাত্র ভরসা বামপন্থীরা - এমনটাই দাবি সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর।
বুধবার ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে প্রচার শুরু করলেন বামফ্রন্ট মনোনীত সিপিআইএম প্রার্থী ডা. ফুয়াদ হালিম। তাঁর হয়ে প্রচারে অংশ নেন সুজন চক্রবর্তী। কয়েকশো কর্মী সমর্থককে বর্ণাঢ্য রোড শো শুরু হয় বজবজ-এর হালদার পাড়া থেকে। তারপর পূজালী হয়ে রোড বিড়লাপুরে এসে শেষ হয়। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন সিপিআইএম দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা সম্পাদক।
সুজনের দাবি, প্রচারে বেরিয়ে তাঁরা মানুষের অসম্ভব ভালো সাড়া পাচ্ছেন। শাসকের ভয়ে মানুষ সামনে এসে মুখ খুলতে পারছেন না। কিন্তু চোখের ইশারায়, আকারে ইঙ্গিতে যা বলার বলে দিচ্ছেন বলেই দাবি তাঁর। তবে মানুষ নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারবে কি না, তাই নিয়ে এখন থেকেই তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তাঁর মতে মানুষ নিজের ভোটটা নিজে দিতে তৃণমূলের কপালে দুঃখ আছে।
তাঁর মতে যে পাঁচ দফার ভোট হয়ে গিয়েছে তাতেই তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি-র হাল যে খারাপ তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। ইভিএম ভাঙা, ভোটারদের তাড়া করাোর করে বুথে ঢুকে পড়া - সবের মধ্য দিয়েই তাদের মরিয়াভাব, হতাশা প্রকাশ পাচ্ছে। মিডিয়ায় এমনভাবে প্রচার করা হচ্ছে যাতে মনে হয় বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়া লড়াইতে আর কোনও দল নেই। কিন্তু মানুষ সবই দেখছেন, সবই বুঝছেন। আর সেই মানুষের উপর আস্থাই আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে ফুয়াদ হালিম, সুজন চক্রবর্তীদের।