Kanchan Mallick: হাসপাতালে ডাক্তারের সঙ্গে 'দাদাগিরি', অভিযোগ অস্বীকার করলেন বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক

Published : Jul 10, 2025, 10:20 AM IST
Kanchan Mallick

সংক্ষিপ্ত

উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিকের বিরুদ্ধে স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনে দাদাগিরির অভিযোগ উঠেছে। চিকিৎসকদের সাথে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিধায়ক।

ফের বিতর্কে উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক। দাদাগিরির অভিযোগ উঠল তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে। স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিন গিয়ে তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে উঠল অভিযোগ। বিভাগীয় প্রধানের সঙ্গে তিনি দুর্ব্যবহার করেছেন কাঞ্চন বলে দাবি করেন চিকিৎসক। তারপর রোগীরা প্রতিবাদ করায় বেরিয়ে যেতে বাধ্য হন কাঞ্চন।

জানা গিয়েছে, বুধবার দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে ঘটেছে ঘটনাটি। এদিন শাশুড়িকে চিকিৎসা করাতে ট্রপিক্যালে যান কাঞ্চন। বিধায়কের দাবি ছিল, তাঁর শাশুড়িকে আগে দেখে দিতে হবে। ডাক্তার জানিয়েছিলেন, একটি শিশুকে তিনি দেখছেন। তাঁকে দেখে কাঞ্চনের শাশুড়িকে দেখে দেবেন। অভিযোগ, এতেই চটে যান বিধায়ক। ডাক্তারের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। এই ঘটনা দেখে আউটডোরে থাকা অন্য রোগীরা রেগে যায়। তারা প্রতিবাদ জানান। রোগীদের পরিজনদের প্রতিবাদ দেখে ট্রপিক্যাল ছাড়েন কাঞ্চন।

সিনিয়র রেসিডেন্ট স্কুল অব ট্রপিক্যালের প্রণিত রায় বলেন, ওরা স্যারকে চাপ দেন। এক্ষুণি দেখে দিতে হবে বারবার বলতে থাকেন। তারপর স্যার না শুনলে তাঁকে বলেন আপনার নাম কী? রেজিস্ট্রেশন নম্বর কী? আপনাকে ট্রান্সফার করে দেব বলে হুমকি দেন। এই ঘটনায় স্যার দুঃখ পেয়েছেন।

ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডাক্তার অ্যাসোশিয়েশনের সদস্য দেবার্ঘ্য মুখোপাধ্যায় বলেন, কাঞ্চন মল্লিক এলেন ডাক্তার দেখালেন। উনি তো জনপ্রতিনিধি। এসে উল্টোপাল্টা কথা বলা শুরু করে দিলেন। গালিগালাজ করলেন HOD-কে আমরা সমর্থন করি না।

সদ্য এই নিয়ে মুখ খুলেছেন কাঞ্চন। তিনি বলেন, ‘শ্রীময়ীর দিদা আসানসোলে থাকেন। ছিয়াশি বছর বয়স। ওঁকে ট্রপিক্যাল মেডিসিনে ভর্তি করা হয়। তারপর উনি সুস্থ হয়ে ওঠেন। মে মাসে ওঁকে ছেলে দেওয়া হয়। আজ আসানসোল থেকে এসেছিলেন দেখাতে। আমি ওপিডি-তে যাই শাশুড়ি ম্যাডামকে দেখাই। এরপর মেডিসিন ডিপার্টমেন্ট যাই। টিকিট করে দেখাই। তখন চিকিৎসক বললেন, অপেক্ষা করুন। আমরা অপেক্ষা করলাম। এরপর ডাক্তারবাবুকে আমি বললাম, ওঁর প্রসেরা চেক করে দেবেন? উনি বলেন আপনি ঠিক করবেন? আমি কী দেখব না দেখব? আমার স্ত্রী জিজ্ঞাসা করে যে দিদার ওষুধ চলবে না বন্ধ করব। সঙ্গে সঙ্গে উনিও চিৎকার করেন। আমিও স্বাভাবিক প্রশ্ন করি। আমি শুনলাম যে, বলা হচ্ছে হাতাহাতি হয়েছে। এগুলো সব ভিত্তিহীন অভিযোগ। পাশে বসা ডক্টর মিশ্র আবার আমায় বললেন থেমে যান যান…’

কাঞ্চন আরও বলেন, ‘আমি কোনও দুর্ব্যবহার করিনি। এই ঘটনায় খারাপ লেগেছ। আমি লিখিত অভিযোগ করেছি। উনি কেন রেগেছেন আমি বুঝিনি। তবে ওঁর ব্যবহার খারাপ লেগেছে। ওঁর রোগী এসেছিলেন… আমি বুঝলাম না কেন রেগে গিয়েছে। একজন চিকিৎসকের সঙ্গে এমন কথা বলা যায় না।’

 

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

NOC দিয়ে সিরিয়াল ছাড়ার পথে দিতিপ্রিয়া, জিতু সেটে ফিরতেই মহিলা কমিশনের দ্বারস্থ নায়িকা
টিভি দেখতে দেখতে ব্রেন স্ট্রোক অভিনেত্রী সায়ন্তনী মল্লিকের, এখন কেমন আছেন টেলি তারকা?