১ নভেম্বর প্রথম স্ট্রোক হয় ঐন্দ্রিলার। প্রথম থেকেই সংকটজনক ছিল অভিনেত্রীর অবস্থা। জানা যায় মাথার বাঁ দিকে প্রচুর পরিমাণে রক্তপাত হয়েছে অভিনেত্রীর। ফলত জরুরী ভিত্তিতে অস্ত্রপচারও করতে হয়।
দু'বার ক্যানসার জয় করলেও তৃতীবার ‘ইউয়িংস সারকোমা’র কাছে হার মানল ঐন্দ্রিলার জীবনীশক্তি। দু'বার নিরাময়ের পরও আবার ফিরে এসেছিল ক্যানসার। চিকিৎকদের বক্তব্য নীরবে মাথায় ছড়িয়ে পড়েছিল ক্যানসার। তার থেকেই একাধিকবার স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছিলেন অভিনেত্রী। হাসপাতাল সূত্রে খবর ‘ইউয়িংস সারকোমা’ রোগে ভুগছিলেন ঐন্দ্রিলা। এটি হাড় ও হাড়সংলগ্ন নরম টিস্যুর ক্যানসার। চিকিৎসক মহল জানাচ্ছে এই ধরনের ক্যানসার নিরাময়ের পরও ফের ফিরে আসার সম্ভাবনা থেকে যায়। আর একবার ফিরে এলে নিরাময় হওয়া অত্যন্ত কঠিন। ঐন্দ্রিলার ক্ষেত্রও দু'বার নিরাময়ের পরও তৃতীয়বার ফিরে এসেছিল ক্যানসার। এবারে একেবারে মস্তিষ্কে ছড়িয়ে পড়েছিল ক্যানসার। ডাক্তারি ভাষায় যাকে বলে ‘মেটাস্টেসিস’।
১ নভেম্বর প্রথম স্ট্রোক হয় ঐন্দ্রিলার। প্রথম থেকেই সংকটজনক ছিল অভিনেত্রীর অবস্থা। জানা যায় মাথার বাঁ দিকে প্রচুর পরিমাণে রক্তপাত হয়েছে অভিনেত্রীর। ফলত জরুরী ভিত্তিতে অস্ত্রপচারও করতে হয়। টানা ভেন্টিলেশনে ছিলেন ঐন্দ্রিলা। চিকিৎসরা জানান বায়পসিতে দেখা গিয়েছে ‘ইউয়িংস সারকোমা’ এবার মস্তিষ্কে দেখা দিয়েছে। এর ফলেই স্ট্রোক হয়েছিল ঐন্দ্রিলার বলেও জানান তাঁরা। তবু ঐন্দ্রিলার অদম্য জেদ আর অফুরাণ জীবনীশক্তির উপর ভরসা করেই আশায় বুক বেঁধেছিল চিকিৎসক মহল। স্নায়ু চিকিৎসক থেকে রেডিয়েশন অঙ্কোলজিস্ট-সহ চিকিৎসকদের একটি গোটা দল মিলে প্রচেষ্টা চালায় ঐন্দ্রিলাকে সুস্থ করার। তবে এত চেষ্টা সত্ত্বেও শেষ রক্ষা হয়নি। অস্ত্রপচারের পর আবারও মস্তিষ্কের বাঁ দিকে স্ট্রোক হয় অভিনেত্রীর। পরে মাথার ডান দিকেও স্ট্রোক হয় তাঁর। অবস্থার ক্রমাগত অবনতি হতে থাকে। কমে আসে চেতনাও। বারবার হৃদরোগে আক্রান্ত হতে থাকেন তিনি। অবশেষে রবিবার দুপুরে ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’ হয় তাঁর। আর যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারেননি তিনি। ১২টা ৫৯-এ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তৃতীবার আর ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করতে পারেননি ঐন্দ্রিলা। ডাক্তারদের বক্তব্য এই ধরণের ক্যানসার একবার ফিরে এলে তা নিরামূল করা খুবই কঠিন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নিরাময়ের পাঁচ বছরের মাথায় এই ক্যানসারের ফিরে আসার সম্ভাবনা থাকে।
আরও পড়ুন -
কবে, কী ভাবে, শেষকৃত্য ঐন্দ্রিলা শর্মার, হাসপাতাল থেকে মরদেহ কোথায় নিয়ে যাওয়া হবে
ঐন্দ্রিলার লড়াইকে কুর্নিশ, তবু ভয়ে কোনও দিন হাসপাতালে দেখতে যেতে পারিনি: অনির্বাণ চক্রবর্তী