সংক্ষিপ্ত
বিকেল ৫টায় ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে যাওয়া হবে টেকনিশিয়ান স্টুডিয়োতে। সন্ধে ৬টায় সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হবে কেওড়াতলা মহাশ্মশানে। সেখানেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
ঐন্দ্রিলা শর্মার শেষকৃত্য রবিবারেই। এ খবর এশিয়ানেট নিউজ বাংলাকে জানিয়েছেন সৌরভ দাস। যেখানে যেখানে ঐন্দ্রিলার অস্তিত্ত্ব ছিল সেই সব জায়গা ছুঁয়ে যাবেন তিনি। সেই অনুযায়ী তাঁর দেহ হাওড়া, আন্দুলের প্রথম সারির হাসপাতাল থেকে বের করে নিয়ে আসা হয়েছে। সেই হাসপাতাল, যেখানে ১ নভেম্বর ভর্তি হয়েছিলেন মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন অভিনেত্রী। তার পরে টানা ১৯ দিন ধরে যমে-মানুষে টানাটানি।
হাসপাতাল থেকে ঐন্দ্রিলা শেষবারের মতো যাবেন তাঁর বাসভবনে। কুঁদঘাটের আইভরি টাওয়ারে থাকতেন অভিনেত্রী। সেখানে শেষ বারের মতো তাঁকে দেখতে আসবেন ঘনিষ্ঠ জনেরা। খবর, ঐন্দ্রিলার কুঁদঘাটের আইভরি টাওয়ারের বাড়িতে যাবেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। বিকেল ৫টা নাগাদ ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে যাওয়া হবে টেকনিশিয়ান স্টুডিয়োতে। এই স্টুডিয়োতেই তাঁর অভিনয় জীবন শুরু। ঐন্দ্রিলাকে এখানে শেষশ্রদ্ধা জানাবেন তাঁর সহ-অভিনেতারা। স্টুডিয়ো চত্বরে দেহ শায়িত থাকবে কিছু ক্ষণের জন্য। সন্ধে ৬টায় সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হবে কেওড়াতলা মহাশ্মশানে। সেখানেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
রবিবার ঘড়ির কাঁটায় দুপুর ১২টা ৫৯ মিনিট। ঐন্দ্রিলার সব লড়াই শেষ। হাসপাতালের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হতেই স্তব্ধ সবাই। শোকবার্তা আছড়ে পড়তে থাকে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে সে সব আর কিছুই স্পর্শ করেনি সব্যসাচী চৌধুরীকে। তিনি শনিবার রাতে ঐন্দ্রিলা সম্পর্কিত যাবতীয় পোস্ট মুছে ফেলেছেন। তাই দেখেই খটকা জাগে সকলের মনে। হাওয়ার বেগে খবর ছড়াতেই ছোটপর্দার ‘বামাখ্যাপা’ এ বার মুছে দেন তাঁর ফেসবুক পেজ। বন্ধু সৌরভ দাসের কাছে তাঁর আক্ষেপ, ঐন্দ্রিলার জন্যই ওঁর খুঁটিনাটি নিয়ে কলম ধরতেন। বই আকারে লেখা প্রকাশের পিছনেও তিনিই ছিলেন। সেই মানুষটাই আর নেই। কার জন্য কলম ধরবেন তিনি?
সব্যসাচীর মতোই শনিবার রাত থেকে আশ্চর্যজনক ভাবে উধাও জীতু কমলের ফেসবুক ডিপি-র ছবিও। সেখানে এত দিন ধরে তারা মাকে জড়িয়ে রয়েছেন সব্যসাচী— ধারাবাহিক 'মহাপীঠ তারাপীঠ’-এর এই ছবি জ্বলজ্বল করছিল। এই দুইয়ের চাপে নতুন করে উদ্বিগ্ন সব্যসাচী-ঐন্দ্রিলার অনুরাগী মহল। তা হলে কি নতুন করে অবস্থার অবনতি ঘটল? নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক টলিউডের এক অভিনেতা এশিয়ানেট নিউজ বাংলাকে জানিয়েছেন, শনিবার ভোরে সব্যসাচীর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছিল। তখনই তিনি জানতে পারেন, ভাল নেই অভিনেত্রী। এর পর তাঁর সঙ্গে আর কোনও কথা হয়নি। আর জীতুর ডিপি কালো করে দেওয়া? ওই অভিনেতার বক্তব্য, জীতুর কোনও ঘনিষ্ঠ আত্মীয় ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন। সেই খবর পেয়েই নাকি ডিপি কালো করে দিয়েছেন বড় পর্দার ‘সত্যজিৎ রায়’। পরে জানা যায়, ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর কালো ছায়া তখনই গ্রাস করেছিল তাঁর ডিপিকে। ইতিমধ্যেই ঐন্দ্রিলার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, ঐন্দ্রিলার পুরনো সহ-অভিনেতা জয় মুখোপাধ্যায়, গৌরব রায়চৌধুরী, দেবলীনা দত্ত-সহ গোটা টলিউড।