অনিন্দ্যর পোস্ট নজরে আসতেই কারওর দাবি, ‘কথা বলে সংগ্রহ করা হোক।’ কারওর মতে, ‘বহু মানুষ এগিয়েই আছে ওঁদের পাশে দাঁড়াতে। ওঁদের মতো ফাইটারদের পাশে দাঁড়ানোটাও একটা গর্বের বিষয়।’
ঐন্দ্রিলা শর্মাকে বাঁচাতে শুধুই প্রার্থনার প্রয়োজন? নাকি, অর্থকরী দিকটাও দেখা জরুরি? প্রশ্ন তুলেছিলেন অনিন্দ্যপুলক বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ তিনি অনুভব করেছিলেন, ১৭ দিন টানা ব্যয়বহুল চিকিৎসা করাতে গিয়ে উচ্চবিত্ত পরিবারও ফতুর হয়ে যায়। প্রথম সারির বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যয়ভার। অত্যাধুনিক চিকিৎসার সরঞ্জাম। মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার। এবং চিকিৎসকদের পারিশ্রমিক। সব মিলিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা। অনিন্দ্যর তাই বক্তব্য, ‘আমাদের এক জন অভিনেত্রীকে সুস্থ করে ফেরত আনার জন্য ভগবানের কাছে প্রার্থনার থেকে অর্থের সাহায্য জরুরি কি না, সেটা ভেবে দেখা দরকার।’ সঙ্গে সঙ্গে সাধুবাদে উপচে পড়ে মন্তব্য বিভাগ। শঙ্কর দেবনাথ-সহ বহু বিশিষ্ট জন এবং সাধারণ মানুষ পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেন। তখনই অনিন্দ্য জানান, তিনি বিষয়টি নিয়ে সব্যসাচী চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলবেন। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি কথা বলেছেন। এশিয়ানেট নিউজ বাংলা যোগাযোগ করলে তিনি জানান, অনিন্দ্য অর্থ সাহায্যের কথা জানিয়েছিলেন। সব্যসাচীর বক্তব্য, এক্ষুণি এর প্রয়োজন নেই। প্রয়োজন পড়লে অবশ্যই যোগাযোগ করবেন।
বুধবার সকাল থেকে ফেসবুকে প্রার্থনা নিয়ে হট্টগোল। কাঠগড়ায় ঋত্বিক চক্রবর্তী। তিনিই এ দিন পোস্টে জিজ্ঞাসা করেন, ‘যাঁর কাছে প্রার্থনা তিনি কি ফেসবুক দেখেন?’ এর পরেই নানা মুনির নানা মত। টলিউডের বেশ কিছু জনপ্রিয় মুখ ঋত্বিককে সমর্থন করেন। তাঁদের দাবি, অভিনেতা ভুল কিছু বলেননি। অন্য দিকে, সাধারণ মানুষেরা রীতিমতো ক্ষিপ্ত তাঁর প্রতি। তাঁদের অনুযোগ, ঋত্বিক কি ঘুরিয়ে সব্যসাচী-ঐন্দ্রিলাকেই কটাক্ষ করলেন? তখনই বহু জনের নজর টানে অনিন্দ্যর পোস্টটি। ব্যক্তিগত ভাবেও তাঁর অভিমত, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বা সমাজের মাথাদের হয়তো প্রচুর ধনসম্পদ। নইলে বিত্তশালীদেরও জলের মতো টাকা খরচ হয়ে গেলে এক সময় ভাঁড়ারে টান পরে! মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে হয়তো সে দিকটা ভাবার মতো সুযোগই পাননি ঐন্দ্রিলার বাবা। কিছু দিন আগেই দ্বিতীয় বার ক্যান্সার থেকে বেঁচে ফিরেছেন অভিনেত্রী। তাই মানবিকতার খাতিরেই তিনি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে চান।
অনিন্দ্যর পোস্ট নজরে আসতেই কারওর দাবি, ‘কথা বলে সংগ্রহ করা হোক।’ কারওর মতে, ‘বহু মানুষ এগিয়েই আছে ওঁদের পাশে দাঁড়াতে। ওঁদের মতো ফাইটারদের পাশে দাঁড়ানোটাও একটা গর্বের বিষয়।’ কারওর কটাক্ষ, ‘বড় বড় অভিনেতা-অভিনেত্রীদের দেখে যাচ্ছি, ফেসবুকে জানান দিয়ে প্রার্থনা করে যাচ্ছেন। একটু পাশে তো দাঁড়ানো যায়! ভেন্টিলেশনে এক দিনের খরচ কেমন, তা সকলেরই কমবেশি জানা।’
আরও পড়ুন
‘শাড়ি পরা ‘আমি’কে কেউ দেখছে! বেশ লাগত’, এশিয়ানেট নিউজ বাংলায় ফাঁস করেছিলেন ঐন্দ্রিলা
‘ভেন্টিলেশনেও লড়াই জারি, মাটি কামড়ে পড়ে ঐন্দ্রিলা’, হাসপাতাল থেকে দেখে এসে আর কী জানালেন রিমঝিম?
‘চিকু’র ১০ বছরের জন্মদিন, ছেলের বন্ধুদের সঙ্গে মজা, হুল্লোড়ে মাতলেন মিমি চক্রবর্তী