সংক্ষিপ্ত

ধারাবাহিকে মা-মেয়ের জীবন সংগ্রামের গল্প দেখানো হয়েছিল। ঐন্দ্রিলাই রিমঝিমকে প্রথম বলেছিলেন, ‘তুমি তো নায়িকা! মায়ের চরিত্র কেন করছ?’

লড়াই জারি ঐন্দ্রিলা শর্মার। হাসপাতাল থেকে দেখে এসে এশিয়ানেট নিউজ বাংলাকে এমনটাই জানালেন অভিনেত্রী রিমঝিম গুপ্ত। বুধবার তিনি হাওড়া আন্দুলের বেসরকারি হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন তাঁর ‘পর্দার মেয়ে’কে। কেমন দেখলেন তাঁকে? প্রশ্ন ছিল অভিনেত্রীর কাছে। রিমঝিম শ্যুটিংয়ে বেরনোর জন্য তৈরি হচ্ছিলেন। ব্যস্ততার ফাঁকেই জানালেন, ‘এক ইঞ্চি জমি ছাড়ছে না আমার মেয়ে। সমানে লড়ে যাচ্ছে। বিছানায় শুয়ে। নানা রকম যন্ত্রপাতি আটকানো তার গায়ে। ও যেন মাটি কামড়ে পড়ে রয়েছে।’ পাশে সব্যসাচী বসে। ঐন্দ্রিলার একটা হাত ধরে রয়েছেন। এ ভাবেই ১ নভেম্বর থেকে হাসপাতালের ওয়ার্ডে নীরব যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন সব্যসাচী-ঐন্দ্রিলা। এক টানা ১৭ দিন ধরে।

ভেন্টিলেশন রুমে ঢোকার অনুমতি কারও নেই। একমাত্র সব্যসাচী ছাড়া। রিমঝিমও ‘মেয়ে’কে বাইরে থেকেই দেখেছেন। যত দেখেছেন ততই তাঁর চোখ ভিজেছে। ঐন্দ্রিলাকে দেখতে যাওয়ার দিন তিনেক আগেই সুস্থতা চেয়ে খোলা চিঠিও লিখেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে তাঁর বক্তব্য, ‘ঐন্দ্রিলা, অনেক বছর বসে থাকার পরে ‘জিয়ন কাঠি’ ধারাাবাহিক দিয়ে ছোট পর্দায় আমার প্রত্যাবর্তন ছিল। তখন আমার ওজন বেড়ে ৭৫ কিলো। লীনাদি, অর্কদা বলল, নায়িকার মায়ের চরিত্র। একটু অস্বস্তি হয়েছিল। সেখানেই তোর সঙ্গে দেখা।’ ধারাবাহিকে মা-মেয়ের জীবন সংগ্রামের গল্প দেখানো হয়েছিল। ঐন্দ্রিলাই রিমঝিমকে প্রথম বলেছিলেন, ‘তুমি তো নায়িকা! মায়ের চরিত্র কেন করছ?’

 

View post on Instagram
 

 

রিমঝিমের দাবি, সেটে এক মাত্র ঐন্দ্রিলাই সবার খোঁজ নিতেন। দরকারে সবার পাশে দাঁড়াতেন। ‘জিয়ন কাঠি’ শেষ হয়ে গিয়েছে অনেক দিন। পর্দার ‘মা-মেয়ে’র সম্পর্ক আজও অটুট। তাঁর মনে আছে, ঐন্দ্রিলার হাসিতেই পুরো ফ্লোর ডুবে থাকত। ওই হাসির টানে ফের তিনি দেখতে আসবেন তাঁর মেয়েকে। কিন্তু তার জন্য ঐন্দ্রিলাকে তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরতে হবে। একা নায়িকা নন, তিনি নায়িকার দুই পোষ্য সারমেয় বোজো, তোজোর সঙ্গেও খেলবেন। কথা দিয়েছেন তাঁর ‘মেয়ে’কে। রিমঝিমের মনে পড়ছে, তিনি সেটে ঐন্দ্রিলাকে নিজের মেয়ের মতোই ভালবাসতেন। পর্দার মেয়ে, তাই সারা ক্ষণ তাঁকে ‘মা’ সম্বোধন করতেন! সবাই যে তাঁর ‘পর্দার মেয়ে’র বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় সে কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন। প্রার্থনা জানিয়েছেন ঈশ্বরের কাছে। আর মেয়ের কানে লড়াইয়ের মন্ত্র জপতেও ভোলেননি, ‘ফাইট ঐন্দ্রিলা ফাইট’।

আরও পড়ুন

‘ক্রমশ অতলে তলিয়ে যাচ্ছে ঐন্দ্রিলা’, ব্যাংকক থেকে এশিয়ানেট নিউজ বাংলাকে জানালেন সৌরভ

‘যার কাছে প্রার্থনা তিনি ফেসবুক করেন?’ সব্যসাচী-ঐন্দ্রিলাকে বিঁধলেন ঋত্বিক!

কখনও ভাল কখনও মন্দ ঐন্দ্রিলা, পরপর হৃদরোগের ধাক্কা কিছুটা সামলেছেন অভিনেত্রী?