বিয়ে করলেও তা টেকেনি, স্ত্রী হিসেবে কেমন রচনা, জানালেন নিজেই, ফাঁস হল ডিভোর্সের অজানা তথ্য

নিজেকে মা হিসেবে কত নম্বর দেবেন দিদি। যার উত্তরে রচনা বলেন, মা হিসেবে আমি দশে সাত দেব। তবে আরও একটু কম হলেও ক্ষতি নেই। তবে স্ত্রী হিসেবে নিজেকে কত দেবেন, তার উত্তরে অভিনেত্রী বলেন আমি নিজেকে শূন্য দেব।

Web Desk - ANB | Published : Dec 22, 2022 6:48 AM IST

জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শো 'দিদি নম্বর ওয়ান'-এর পর থেকে টলিউড অভিনেত্রী হিসেবে নয়, বরং রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় 'দিদি নম্বর ওয়ান' হিসেবেই সকলের কাছে বেশি পরিচিত। বিতর্ক থেকে শত যোজন দূরে থাকতেই পছন্দ করেন রচনা ব্যানার্জি। অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত জীবন জানার জন্য মুখিয়ে রয়েছে অনুরাগীরা।এই মুহূর্তে রচনা রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস কী, তা জানতে চাইছেন অনেকেই। কিন্তু দিদি খুব একটা নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলতে পছন্দ করেন না।

নিজের জীবনেও যতটা স্ট্রাগল করেছেন তা রূপোলি পর্দার কাহিনিকেও হার মানাবে। বিয়ে করলেও তা টেকেনি। প্রায় একা হাতেই ছেলেকে মানুষ করেছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি এক পুরোনো ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যেখান বছরকয়েক আগে জনপ্রিয় শো অপুর সংসার-এ অতিথি হয়ে এসেছিলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই শাশ্বতর প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় অভিনেত্রীকে। অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে প্রশ্ন করা হয় এবং জানতে চাওয়া হয় নিজেকে মা হিসেবে কত নম্বর দেবেন দিদি। যার উত্তরে রচনা বলেন, মা হিসেবে আমি দশে সাত দেব। তবে আরও একটু কম হলেও ক্ষতি নেই। তবে স্ত্রী হিসেবে নিজেকে কত দেবেন, তার উত্তরে অভিনেত্রী বলেন আমি নিজেকে শূন্য দেব।

রচনা স্ত্রী হিসেবে কেন নিজেকে শূন্য দেবেন তা জানতে চাওয়া হলে অভিনেত্রী বলেন, আমার মনে হয় বউ হওয়ার জন্য, সংসার করার জন্য, গৃহিণী হওয়ার জন্য যে গুণগুলো প্রয়োজন তার কোনওটাই আমার নেই। আসলে আমরা যারা অভিনয় করি তাদের অভিনয় জগতের কারোর সঙ্গেই ঘর বাঁধা উচিত বা এমন কোনও মানুষের সঙ্গে সংসার করা উচিত যে অভিনয় পেশাটাকে বুঝবে। কারণ এটা কাজটা একদমই ভিন্ন। অনেক বেশি মানিয়ে গুছিয়ে চলতে হয়। এর আগেও সাক্ষাৎকারে রচনা বলেছিলেন তার সঙ্গে হ্যাপিলি ম্যারেড তকমাটা মোটেই যায় না। নিজের মতো করেই থাকতে পছন্দ করেন রচনা ব্যানার্জি। রিয়্যালিটি শো 'দিদি নম্বর ওয়ান'-এ একাধিকবার ছেলের কথা বললেও স্বামী প্রবালকে নিয়ে স্পিকটি নট দিদি। তাই তার সম্পর্কের সমীকরণটা সকলেরই অজানা। রচনা ব্যানার্জি আরও জানিয়েছিলেন,ছেলের জন্যই আমরা এখনও পর্যন্ত ডিভোর্স নিইনি। কারণ আমি চাই না যে আমার ছেলেকে এই ট্যাগটা দেওয়া হোক যে তার বাবা ও মা ডিভোর্সড। এবং এটা আমার ও আমার স্বামী প্রবালের মিলিত সিদ্ধান্ত। স্বামী প্রবালের সঙ্গে একসঙ্গে না থাকলেও তাদের সম্পর্ক বন্ধুর মতো। এখনও ছেলেকে নিয়ে একসঙ্গে খেতে যান তিনজনে। এমনকী ছেলের পরীক্ষা থাকলেও স্বামী বাড়িতে এসে থাকে এবং ছেলেকে পড়ায়। তিনজনে মিলে একসঙ্গে গল্প, হাসি-মজাও করেন। উল্লেখ্য,২০০৭ সালেই প্রবাল বসুকে বিয়ে করেন অভিনেত্রী রচনা ব্য়ানার্জি। তারপরই ছেলে প্রণিল হয়। তবে নিজের বাবা ও ছেলের সঙ্গেই থাকতেন রচনা ব্যানার্জি। গত ১৫ নভেম্বর বাবাকে হারিয়ে পিতৃহারা হয়েছিলেন টলি অভিনেত্রী তথা সকলের প্রিয় দিদি রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় ।

 

Share this article
click me!