নিজের সবচেয়ে কাছের মানুষ ঐন্দ্রিলাকে হারানোর পর নিজেকে কীভাবে সামলাচ্ছেন সব্যসাচী তা জানতেই মুখিয়ে রয়েছেন ভক্তরা। প্রথমসারির সংবাদমাধ্যমে অভিনেতা জানিয়েছেন. আমি কিছুটা ঠিক আছি। তবে এর চেয়ে আর বেশি কিছু বলতে রাজি নন অভিনেতা।
দেখতে দেখতে কেটে গেল একমাস। ৩০ দিন পার হয়ে গেল চোখের নিমেষে। গত মাসের ২০ নভেম্বর দুপুর ১২ টা ৫৯ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। দীর্ঘদিন ধরে হাওড়ার হাসপাতালে লড়াই চালিয়ে গেছেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। ঐন্দ্রিলা শর্মা আর নেই। এটা যেন এক মুহূর্তের জন্য বিশ্বাস হচ্ছে না কারোর। এত যে কিসের তাড়া ছিল যাওয়ার, এই প্রশ্নই এখন কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে সব্যসাচীকে। ভালবাসার মানুষ চিরদিনের জন্য ছেড়ে চলে গেছে। আর ডাকলেও সে সাড়া দেবে না। তবে তাদের রূপকথার ভালবাসার সাক্ষী রয়েছে গোটা শহর, গোটা সমাজ। ঐন্দ্রিলা চলে গেলেও সে রয়ে গেছে সকলের মনে, সকলের হৃদয়ে।
নিজের সবচেয়ে কাছের মানুষ ঐন্দ্রিলাকে হারানোর পর নিজেকে কীভাবে সামলাচ্ছেন সব্যসাচী তা জানতেই মুখিয়ে রয়েছেন ভক্তরা। যদিও ঐন্দ্রিলার মা শিখা শর্মা মেয়েকে হারানোর দুঃখ সকলের সঙ্গে শেয়ার করে নিয়েছিলেন কিন্তু সব্যসাচী একটি বারের জন্যও মুখ খোলেননি। একমাসের মধ্যে কি নিজেকে একটু হলেও সামলাতে পেরেছেন। প্রথমসারির সংবাদমাধ্যমে অভিনেতা জানিয়েছেন. আমি কিছুটা ঠিক আছি। তবে এই ঠিক আছির মধ্যেও যেন লুকিয়ে ছিল হারানোর যন্ত্রণা। তবে এর চেয়ে আর বেশি কিছু বলতে রাজি নন অভিনেতা। তবে অভিনেতা বলেন, আমি এই বিষয়ে সত্যিই কিছু বলতে চাই না। ধন্যবাদ।
ঐন্দ্রিলা শর্মার মৃত্যুর পর থেকে নিজের মতো করেই রয়েছেন অভিনেতা। এখনও পর্যন্ত কাজে ফেরেননি। তবে অভিনেত্রীর মা শিখা শর্মা কিছুদিন আগে একটি ছোট্ট ভিডিও ভাগ করে নিয়েছিলেন, যেখানে লেখা ছিল আমার ঐন্দ্রিলার সব্যসাচী। এন্দ্রিলার ছেড়ে যাওয়াটা মানতে পারছে না অভিনেত্রীর পরিবার। কোনওভাবেই ঐন্দ্রিলার মৃত্যুশোক কাটিয়ে উঠতে পারছেন না তার মা- বাবা , দিদি, ও প্রেমিক সব্যসাচী। ঐন্দ্রিলাকে হারানোর পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে চলে গেছেন সব্যসাচী চৌধুরী। তারপর থেকে নানা ধরনের গুজবে ভরে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। সব্যসাচী নাকি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি, শরীর খুব খারাপ এমন খবরে আচমকাই তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া। আর এই খবর বন্ধু সৌরভ দাসের কানে পৌঁছতেও খুব বেশি সময় লাগেনি। তার আর দেরি না করে দিনকয়েক আগেই মধ্যরাতে ক্ষোভপ্রকাশ করে ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন অভিনেতা সৌরভ দাস। সৌরভ পোস্টে লিখেছিলেন, সব্যসাচী একদম সুস্থ আছে। সঙ্গে আছি আমি এবং থাকব। এর পাশাপাশি তিনি এও জানিয়েছেন, যাঁরা ভুয়ো খবর রটাচ্ছেন তারাই অসুস্থ। এবং বাকিরা যেন এই গুজবে কান না দেন তারও অনুরোধ করেছিলেন সৌরভ। ঐন্দ্রিলার শোক এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি কেউই, তার মধ্যে এমন বিভ্রান্তিকর পোস্টে রীতিমতো রেগে আগুন হয়েছেন অভিনেতা। আসলে নেটদুনিয়া থেকে সব্যসাচীর সরে যাওয়ার পর থেকে এই ধরনের গুঞ্জন শুরু হয়েছে। এবং যা রটানো খুব সহজ বলে জানিয়েছেন সৌরভ দাস। এখানেই শেষে পোস্টের শেষ সতর্কবার্তাও দিয়েছেন অভিনেতা। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। সব্যসাচীকে নিয়ে ভুয়ো খবর রটানো হলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তিনি অনুরোধ করে সকলকে বলেছেন, দয়া করে ঐন্দ্রিলার পরিবারকে এই মুহূর্তে শান্তিতে থাকতে দিন। সূত্রের খবর, আপাতত নিজের বাড়িতেই রয়েছেন সব্যসাচী চৌধুরী। এবং তিনি পুরোপুরি সুস্থ রয়েছেন। এবং নিয়মিত ঐন্দ্রিলার পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছেন অভিনেতা।
আরও পড়ুন-
অন্তরের স্মৃতিতে থাকুক ঐন্দ্রিলা, ফেসবুকের পর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট ডিঅ্যাক্টিভেট করলেন সব্যসাচী
'হাতের উপর হাত রাখা সহজ নয়', ২০২১ সালের পোস্টে সব্যসাচীকে ভালবাসায় ভরিয়ে দিয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা
'জিন্দেগি বড়ি হোনি চাহিয়ে, লম্বি নেহি', মাত্র পাঁচ বছরেই টলিপাড়ায় ছাপ ফেলে গিয়েছেন ঐন্দ্রিলা