ছবিতে মুখ্যভূমিকায় রয়েছেন কবীর সিং খ্যাত অভিনেতা রাহুল মজুমদার। তাঁর সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন টলিউড অভিনেত্রী মধুমিতা সরকার।দেখা যাবে নতুন জুটি উজান চট্টোপাধ্যায় ও ঐন্দ্রিলা সেনকে।
কিছু সম্পর্কের কোনও নাম হয় না...কিন্তু সেগুলো দিলখুশ করে দেয়। এই ওম বুকে জড়িয়ে পথ চলা শুরু করছে দিলখুশ। যেখানে চার অসম বয়েসী কাপল এক অসম সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে, স্রেফ ভালবাসা আর ভাললাগার টানে। এদের কেউ ঝাঁ চকচকে ফ্ল্যাটের মালকিন, কেউ উঠে এসেছে দিন আনা দিন খাওয়া ঘর থেকে। যাঁদের কাছে প্রেম বাহুল্য, অথচ ভাললাগার রেশটুকু অস্বীকার করতে পারেন না। কেউ সদ্য তারুণ্যে পা রেখেছেন, কেউ আবার প্রৌঢ়ত্বের বিকেলে বয়সের নাছোড়বান্দা জেদে গা ভাসাচ্ছেন। কিন্তু দিনের শেষে সেই মানুষগুলো কোনও না কোনও ভাবে একই সুতোয় বন্দি, আর তা হল ভালবাসা।
ছবিতে মুখ্যভূমিকায় রয়েছেন কবীর সিং খ্যাত অভিনেতা রাহুল মজুমদার। তাঁর সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন টলিউড অভিনেত্রী মধুমিতা সরকার।দেখা যাবে নতুন জুটি উজান চট্টোপাধ্যায় ও ঐন্দ্রিলা সেনকে। বেলাশুরু-র পর দিলখুশ ছবিতেও দেখা যাবে খরাজ মুখোপাধ্যায় ও অপরাজিতা আঢ্যকে। এছাড়াও রোম্যান্সের জাদু দেখাবেন পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও অনাসূয়া মজুমদার। গতবছর দেব-রুক্মিণী জুটির ছবি কিশমিশ-এর সাফল্যের পর নতুন বছরে নতুন স্বাদের প্রেমের গল্প নিয়ে রূপোলি পর্দায় পরিচালক রাহুল মুখোপাধ্যায়ের ছবি দিলখুশ। ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে দিলখুশ ছবির ট্রেলার। চার কাপলের চারটি প্রেমের গল্প নিয়ে এই ছবি তৈরি করেছেন পরিচালক। ২০ জানুয়ারি মুক্তি পাবে নতুন বাংলা ছবি দিলখুশ।
পরিচালক রাহুলের কথায়,‘‘শুরু থেকেই আমার ইচ্ছে ছিল, এমন মিষ্টি ভালবাসার ছবি তৈরি করি। সেই স্বপ্ন যে সত্যি হয়েছে তাতেই খুশি।’’ তিন প্রজন্মের বন্ধুত্বের গল্প ছবিতে তুলে ধরেছেন পরিচালক। তবে শুধুই কি প্রেমের ছোঁয়ায় জড়িয়ে রয়েছে দিলখুশ? একেবারেই না। প্রেম ভাঙার শব্দ স্পষ্ট শোনা যায় সেখানে, দেখা যায় চোখের জলের রেখা। আর ট্রেলার শেষে রয়েছে চমক। কারণ সেখানে পিকচার অভি বাকি হ্যায় স্টাইলে ছক্কা মেরেছেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য। অবাক হলেন! এই সিনেমাতে শুধু অনির্বাণই নয়, এক দৃশ্যে দেখা যাবে সৃজিতকেও। তাই বাকি চমকের কথা আর নাই বা বললাম।
তাই ভালোবাসার বাহুডোর যখন দৃঢ় হয়ে ওঠে তখন সম্পর্কের ভিতগুলো কেমন করে নড়ে ওঠে- সেই কাহিনি মেলে ধরেছে দিলখুশ। ভালোবাসার পূর্ণতার লগ্নে আচমকাই যেন হাজির হয়ে সম্পর্কের এক কঠিন পরিণতি, কেউ নিজেকে কলঙ্কিত করেও ভালোবাসাকে জয়ী করতে উদ্যত হয়ে ওঠেন, কেউ আবার রাগ-ক্রোধের বশে নিজেকে হারিয়ে ফেলেন। বলতে গেলে দিলখুশ ভালোবাসার চার কাহিনিকে এক অন্য আঙ্গিকে সকলের সামনে মেলে ধরেছে।