'আমার পাওয়া জাতীয় পুরস্কার আদৌ কেউ মনে রেখেছে?' বাংলার জাতীয় গৌরব অনুষ্ঠানের আগে বিস্ফোরক রূপা গঙ্গোপাধ্যায়

আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ক্ষোভ প্রকাশ করে অভিনেত্রী বলেন আমার নিজেরই মনে ছিল না যে আমি জাতীয় পুরস্কার পেয়েছি। তা নতুন করে ভাবানো হল।

Parna Sengupta | Published : Feb 7, 2024 9:47 PM IST / Updated: Feb 08 2024, 11:07 AM IST

মহৎ উদ্যোগ, সন্দেহ নেই। বাংলার মাটি থেকে উঠে আসা শিল্পীরা , জাতীয় মঞ্চে সম্মান পেয়ে বাংলার মুখ উজ্জল করেছেন তাঁদের সম্মানিত করতে চাইছে এক বেসরকারি সংস্থা। জাতীয় পুরস্কার পাওয়া বাঙালি শিল্পীরা সম্মানিত হবেন এই অনন্য মঞ্চে। এই অনুষ্ঠানের আয়োজন বেসরকারি সংস্থা অ্যাঞ্জেলস ক্রিয়েশন। অনুষ্ঠানের ভাবনা সঙ্গীতা সিনহার। আগামী ২৬শে ফেব্রুয়ারি শহরের পাঁচতারা হোটেলে বসবে এই সম্মাননা অনুষ্ঠান।

কারা থাকবেন সেই অনুষ্ঠানে! সেই তালিকা দেখা গেলে বাংলার জাতীয় গৌরব শীর্ষক অনুষ্ঠানে থাকবে চাঁদের হাট। দেশে এমন উদ্যোগ এই প্রথম বলে দাবি আয়োজকদের। তারকাদের মধ্যে থাকছেন জাতীয় পুরস্কার জয়ী পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, রামকমল মুখোপাধ্যায়, চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়, মিঠুন চক্রবর্তী, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, ইমন চক্রবর্তী প্রমুখ।

তবে এরই মধ্যে সামান্য বিতর্ক উসকে যায় অভিনেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের কথায়। আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ক্ষোভ প্রকাশ করে অভিনেত্রী বলেন আমার নিজেরই মনে ছিল না যে আমি জাতীয় পুরস্কার পেয়েছি। তা নতুন করে ভাবানো হল। সুন্দর উদ্যোগ এটা। তবে যে কোনও রাজ্যেই জাতীয় পুরস্কার নিয়ে ফিরলে রাজ্য সরকারের তরফে সম্মান জানানো হয়। এ রাজ্যে তা হয় না। এটা দুর্ভাগ্যের।

আয়োজক সঙ্গীতা সিনহা বলেন "আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি"- কবিগুরুর লেখা এই গান প্রত্যেকটি বাঙালির নিজের মনের কথা। বাংলা আসলে আমাদের বড় অভিমানের জায়গা। কত প্রবাসী বাঙালি যারা বাইরের দেশে থাকেন, কিন্তু নিজেদের মধ্যে কোথাও ঠিক বাঁচিয়ে রেখেছেন একটা বাংলাকে। এমনই মায়া এই বাংলার মাটির। আর আমাদের এই প্রিয় বাংলাকে যারা শুধু ভারতবর্ষে নয়, সারা বিশ্বের মাঝে এক অন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছেন, তাদের আমরা কুর্নিশ জানাই। সেইসব মানুষ যারা নিজেদের প্রতিভা এবং নিরলস পরিশ্রমের দ্বারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাকে নক্ষত্রের মতন উজ্জল করে তুলেছেন সারা পৃথিবীর আকাশে, তারা প্রত্যেকটি বাঙালির গর্ব। তারা আমাদের জাতীয় গর্ব। বাঙালি হিসাবে আমরা যেন তাদের এই অবদানের প্রাপ্য সম্মান তাদের দিতে পারি। প্রত্যেকটি বাঙালির মনে যেন তাদের নাম চিরস্মরণীয় হয়ে থাকে এই আমাদের উদ্দেশ্য।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

Share this article
click me!