রান্নাঘর থেকে বাদ পড়লেন সুদীপা! পুরান দিন মনে করে কী বললেন অভিনেত্রী?
বিকেল হলেই আর জি বাংলার পর্দায় দেখা যায় না সুদীপাকে। বহু বছর ধরে জি বাংলার রান্নাঘরের দায়িত্বে ছিলেন এই অভিনেত্রী। বেশ কিছু মাস হয়েছে এখন বন্ধ 'রান্নাঘর'।
সুদীপা এখন ব্যস্ত তাঁর কুকারি শো 'সুদীপার সংসার' নিয়ে। অন্যদিকে জি বাংলায় চলছিল অন্য একটি রান্নার অনুষ্ঠান। কিন্তু তার মাঝেই এবার এল নতুন খবর। এবার ফের 'রান্নাঘর' শুরু হবে জি বাংলার পর্দায়। তবে এই অনুষ্ঠানে সঞ্চালিকা হিসাবে থাকছেন না সুদীপা।
এই জনপ্রিয় শোয়ে এবার সঞ্চালিকা হিসাবে দেখা যাবে কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ঘটনাচক্রেই তিনি সুদীপার ভাল বন্ধু। এই সব নিয়ে ঠিক কী প্রতিক্রিয়া সুদীপার?
এ প্রসঙ্গে একটি সংবাদ মাধ্যমকে অভিনেত্রী জানান, " সত্যি কথা বলতে কি, খুব মন খারাপ লেগেছিল। আসলে আমার পরিচয়ই তো ওই রান্নাঘর দিয়েই। আমি আরও অনেক কাজ করেছি। কিন্তু লোকে মনে রাখেনি। হয়তো মনে রাখার মতো কিছু করিনি বলেই রাখেনি। আমাকে দেখলেই লোকে বলে, ওই যে সুদীপা যে ওই রান্নাঘর করত। এরপর যখন 'রন্ধনে বন্ধন'-এর প্রোমো দেখেছিলাম তখন বাচ্চাদের মতো কেঁদে ফেলেছিলাম। আর এ ক্ষেত্রেও যখন দেখলাম আমারই বান্ধবী কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায় হোস্ট করছে তখনও খুব দুঃখ লেগেছে। শুধু মনে হয়েছে রান্নাঘর হচ্ছে অথচ আমি নেই! আসলে এই শো'টার সঙ্গে তো টাকাপয়সার সম্পর্ক নেই শুধু, বাড়ির থেকে জিনিসপত্র নিয়ে এই শো শুরু করেছি। নিজে বাসন মেজেছি। শুধু মনে হয়েছে ওটা তো আমারই রান্নাঘর।
তবে অগ্নিদেব আমাকে বুঝিয়েছেন যা শুরু হয় তার তো শেষ হবেই। তুমি বরং দুঃখ কোরো না, ওদের শুভেচ্ছা জানাও। আমারও তখন মনে হল, হ্যাঁ ঠিকই তো, কনি তো আমার বন্ধু, সুগৃহিণীও। হয়তো ও করলে অন্যরকম একটা স্বাদ আসবে। আসলে আমি বা অপাদি (অপরাজিতা আঢ্য) অনেকটা একই রকম, তাই আমি আবারও এলে হয়তো মানুষের মধ্যেও একঘেয়েমি চলে আসত। ওঁরাও হয়তো বিরক্ত হতেন, বলতেন- ওই সুদীপার এক কথা, এক শাড়ি… তার চেয়ে হয়তো এই ভাল। কনি এলে নতুন কিছু হবে। স্বাদবদল হবে।"
অন্যদিকে অভিনেত্রী জানান সঞ্চালিকা নির্বাচিত হওয়ার পরেও তাঁর কাছে একবারও কনীনিকার কোনও ফোন আসেনি। এই বিষয়টা নিয়ে খুবই খারাপ লেগেছে তাঁর। এ প্রসঙ্গে সুদীপা জানান “ও আমাকে ফোন করেনি বলে সত্যিই অভিমান হয়েছিল, মনে হচ্ছিল, কেন অন্যের কাছ থেকে শুনতে হল? এত ভাল বন্ধু, কেন আমাকে বলেনি? পরে যদিও ওর জায়গায় নিজেকে রেখে ভাবলাম, সত্যিই তো ফোন করে কী বা বলত ও আমায়? যদি ওটা শুনে আমিও ভ্যা করে কেঁদে দিতাম, তখন? আরও বাজে পরিস্থিতি হত।”