প্রথম চাকরিতে কত টাকা মাইনে পেতেন উত্তম কুমার? মহানায়কের ছেলেবেলার এই গল্প আজও অজানা
আজ মহানায়কের মৃত্যুদিন। ২৪ জুলাই ১৯৮০ সালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন এই কিংবদন্তী নায়ক। অসুস্থ হয়েছিলেন সিনেমার সেটেই। তারপর আর সুস্থ হওয়া হয়নি। চোখের জলের বন্য বয়ে গিয়েছিল সেদিন রাজ্যের কোণায় কোণায়।
আজও বাঙালির প্রিয় নায়ক উত্তম কুমার। মহানায়কও তিনি। যুগের পর যুগ চলে গেলেও আজন্মকাল ধরে মর্চে পড়বে না তাঁর স্মৃতিতে। সিনেমা জীবন সম্পর্কে অল্প আধটু জানলেও উত্তম কুমারের ছেলেবেলার সম্পর্কে অজানা অনেকের কাছেই।
ছেলেবেলায় কেমন ছিলেন মহানায়?
৩রা সেপ্টেম্বর ১৯২৬ সালে মামার বাড়িতে জন্ম হয়েছিল তাঁর। কলকাতার ভবানীপুরে ছিল বাবার বাড়ি। উত্তম কুমার নামে পরিচিত হলেও তাঁর আসল নাম ছিল অরুণ কুমার চট্টোপাধ্যায়। পিতার নাম সাতকড়ি চট্টোপাধ্যায় ও মায়ের নাম চপলা দেবী। দুই ভাই হলেন বরুণ কুমার ও তরুণ কুমার। ছোটবেলা থেকেই নাটকের উপরে ঝোঁক ছিল তাঁর স্কুলের এক অনুষ্ঠানে গয়াসুরের ভূমিকায় অভিনয় করে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন শিশু উত্তম।
প্রথমে সাউথ সাবার্বান স্কুলে পড়াশুনো শুরু করেন মহানায়ক। তারপর গোয়েঙ্কা কলেজ থেকে বিজনেস ও কমার্স নিয়ে পড়াশুনো করেন তিনি। কিন্তু বেশ কিছু কারণে পড়াশুনো সম্পূর্ণ করতে পারেননি মহানায়ক । পরে তিনি পোস্ট ট্রাস্টে ক্লার্কের চাকরিতে যোগ দেন। শোনা যায় এই চাকরিতে তাঁর ২৭৫ টাকা মাইনে ছিল।
চাকরির পাশাপাশি নাটক করতে ভীষণ ভালবাসতেন তিনি। সুহৃদ সমাজ নাট্যগোষ্ঠীতে অভিয় করতেন তিনি। এটি তাঁদের পারিবারিক নাটকের দল। এরপর ১৯৪৮ সালে প্রথম স্ক্রিনে দেখা যায় এই জ্লন্ত নক্ষত্রকে।