
৪৫ বছর হয়ে গিয়েছে তিনি নেই। তবে, আজও তিনি রয়ে গিয়েছেন মানুষের মনে। বাঙালির কাছে আজও তিনি মহানায়ক। আজও তাঁর জনপ্রিয়তার ধারেকাছে ঘেঁষতে পারেি কেউ। বাঙালির ভালাবাসার শিকলে হৃদয়বন্দি মহানায়ক। আজ তাঁর মৃত্যুবার্ষিকী।
১৯৮০ সালে ২৪ জুলাই তাঁর জীবনের অবসনা ঘটেছিল। হঠাৎ করে প্রয়াত হন মহানায়ক। জানা গিয়েছিল, মৃত্যুর আগে কয়েক বছর শ্বাসের সমস্যাজনিত কারণে ভুগছিলেন। হাসপাতালে প্রায়ই চিকিৎসার জন্য যেতেন। ডা. সুনীল সেন-কে বারবার বলতেন, আমাকে বাঁচান। জানা যায়, তিনি নিয়মিত ওষুধও খেলেন। তা সত্ত্বেও অসময় চলে যেতে হয় তাঁকে। এটাই ছিল বিধির বিধান।
মহানায়কের মৃত্যু বার্ষিকীতে তাঁকে শ্রদ্ধা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় বিশেষ পোস্ট করেন। সেখানে লেখেন,
'মহানায়ক উত্তমকুমার-র মৃত্যু বার্ষিকীতে তাঁকে জানাই আমার অন্তরের শ্রদ্ধা।
আমাদের সবার মনের মণিকোঠায় আজও উত্তমকুমার বাঙালির চিরন্তন ম্যাটিনি আইডল। তাই তাঁর মৃত্যুর পর ৪৫ বছর কেটে গেলেও, তাঁর প্রতি অনুরাগ আমাদের কিন্তু এতটুকুও কমেনি।
আমি গর্বিত, সিনেমায় ও বাঙালি মননে উত্তমকুমারের অনন্য অবদানকে শ্রদ্ধা জানিয়ে আমাদের সরকারই ২০১২ সাল থেকে বিশিষ্ট অভিনেতা-অভিনেত্রীদের স্বীকৃতি জানানোর জন্য মহানায়ক সম্মান পুরস্কার চালু করেছে। আমি রেলমন্ত্রী থাকাক সময়ই টালিগঞ্জ মেট্রো রেলস্টেশনের নাম পাল্টে রাখা হয় ‘মহানায়ক উত্তমকুমার’। তাঁর নামাঙ্কিত উত্তম মঞ্চ-কেও নতুন করে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে।
উত্তমকুমার বাঙালির স্বপ্নের মহানায়ক- চিরকালীন ভালোবাসা। তাঁর মৃত্যুদিন আমি আর একবার তাঁকে আমার প্রণাম জানাই।'
সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে এভাবে মহানায়ককে শ্রদ্ধা জানান মুখ্যমন্ত্রী। বাঙালির কাছে তাঁর গুরুত্ব যে আজও অপরিসীম তা তুলে ধরেন। তেমনই মহানায়ককে সম্মান জানাতে মমতা সরকার কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে তাও জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুহূর্তে ভাইরাল হয় মুখ্যমন্ত্রীর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট। যা নজর কাড়ে সকলে। আজ এই বিশেষ দিনে সেলেব থেকে সাধারণ মানুষ সকলেই শ্রদ্ধা জানান মহালায়ককে।