ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের গাড়িতে হামলা, ছোড়া হল জুতো! "চটিচাটা" সম্বোধন করা হয়েছে" কী বললেন ক্ষুব্ধ অভিনেত্রী?

ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের গাড়িতে হামলা, ছোড়া হল জুতো! "‘চটিচাটা’ বলে সম্বোধন করা হয়েছে আমাকে" কী বললেন ক্ষুব্ধ অভিনেত্রী?

আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিহত চিকিৎসকের বিচারের দাবিতে রোজই মিছিল, বিক্ষোভ চলছে রাজ্য জুড়ে। ৪ সেপ্টেম্বর রাতেই শহর তথা রাজ্য জুড়ে দেখা যায় বিক্ষোভ মিুছিল।

এদিন শ্যামবাজারেও ছিল জমায়েত। এই জমায়েতেই সামিল হতে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। আর তারপরেই তাঁকে গো ব্যাক স্লোগান দেন আন্দোনলকারীরা। শুধু তাই নয়, তাঁর গাড়িতে জুতো ছোঁড়া হয়। গাড়ির কাচেও ধাক্কা মারেন বেশ কিছু আন্দোনকারী।

Latest Videos

এই ঘটনায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। এ প্রসঙ্গে তিনি আনন্দবাজারকে জানান, " গো ব্যাক স্লোগান বা উলুধ্বনি বা শঙ্খ বাজিয়ে ব্যাঙ্গ করছিল তাতেও কিছু মনে করিনি কিন্তু

তার পর গাড়িতে জুতো ছোঁড়া হল। তখন আমি দরজা খুলে বলি আপনারা এমন করবেন না। আপনাদের সঙ্গে কথা বলতেই এসেছি, বসতে এসেছি।

কিন্তু কেউ কোনও কথাই শুনলেন না। আসলে আমার মনে হয়, কিছু মানুষ প্রতিবাদের কথা মাথায় না রেখে, হুজুগে চলে গিয়েছিলেন জমায়েতে। বুঝতে পারছি, সকলেই ক্ষুব্ধ। তবে, কলকাতার প্রতিবাদী চেহারার মধ্যে এই চেহারাটা দেখে আমি লজ্জিত, আহত, কম্পিত।

বুধবার রাতে আমার প্রাণটাও চলে যেতে পারত। আমি একজন অরাজনৈতিক, নিরপেক্ষ মানুষ হিসাবে, একজন মহিলা হিসাবে অন্য মহিলার পাশে দাঁড়াতে এসেছিলাম। কিন্তু বিরাট সংখ্যক মত্ত এই ঘটনা ঘটাল। আচমকাই একটা জনস্রোত ধাক্কা দিতে শুরু করল। এত চিৎকার হচ্ছিল যে, কারও কোনও কথা শুনতে পাচ্ছিলাম না।

আমি তো কাল কোনও তারকা হিসাবে নয়, মানুষ হিসাবে গিয়েছিলাম। যেখানে ঘটনাটা ঘটল, সেখানে নিহত চিকিৎসকের বাবা-মাও এসেছিলেন। ভেবেছিলাম, একবার দেখা করব ওঁদের সঙ্গে। বলতাম, ওঁদের লড়াইয়ের সঙ্গে আমিও রয়েছি। কিন্তু তা হল কই? তবে এই ঘটনার পর আমি থেমে যাব, এমন নয়। আমার মনের মধ্যে প্রতিবাদ থাকবে। আমিও একই ভাবে সুবিচার চাইব। সেটা থামবে না।"

অভিনেত্রী আরও বলেন, “ পরিস্থিতি যে এমন হতে পারে, আমি ভাবিনি। এ তো আমার চেনা কলকাতা। আবেগের, প্রতিবাদের জনসমুদ্র। কিন্তু, বাড়ি ফিরে দেখি গাড়িতে শুধুই আঙুলের ছাপ। শুধু হাত দিয়ে মেরে মেরেই তুবড়ে দিয়েছেন গাড়িটা। সত্যি বলছি, আমার তাতে কোনও আক্ষেপ নেই। কিন্তু আমার মনে হয়, যাঁরা এটা করলেন তাঁরা নিজেরাও জানেন না কী করছেন! সবাই চিৎকার করছিলেন, তাঁরাও চিৎকার করেছেন। একটা বর্বরতার সাক্ষী থাকলাম।”

অভিনেত্রী বলেন, " ওই রাতে আমি একা তো নয়, সোহম-শোলাঙ্কিরাও ছিল। গান গাইছিল ওরা। আমি ওদের সঙ্গে মিশে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এমন কিছুর সাক্ষী হব, ভাবতে পারছি না এখনও। বুঝতে পারলাম না কেন এই আক্রোশ। আমি তো রাজনৈতিক ব্যক্তি নই। আমি এই শহরের সকলের সঙ্গে রাত জাগতে গিয়েছিলাম। ওই ভিড়ের মাঝে ‘চটিচাটা’ বলে সম্বোধন করা হয়েছে আমাকে। এমন অসভ্যতা। আসলে যাঁরা এটা করলেন তাঁদের মুখ্য উদ্দেশ্য আন্দোলন করা নয়। একজন তারকাকে হেনস্থা করা। কাউকে পাচ্ছেন না, সামনে ঋতুপর্ণা ছিল ব্যাস, ঝাঁপিয়ে পড়লেন। আমাকে অনেকেই বলেছিলেন জমায়েতে শামিল না হতে। কিন্তু আমি ভেবেছিলাম মানুষ হিসাবে সঙ্গে থাকব। এমন নিকৃষ্ট ঘটনা ঘটল, এখনও ঘোর কাটছে না।

আমি প্রশ্ন করতে চাই আমার সমবেদনা জানানো কি অন্যায়? একটি মেয়ের হয়ে তাঁরা আন্দোলন করছেন আর অন্য একজন নারীকেই হেনস্থার শিকার হতে হল! আসলে হয়তো এই মানসিকতা আমাদের বর্বরতার দিকে ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে।"

Share this article
click me!

Latest Videos

Uluberia News: সব শেষ হয়ে গেল! স্রোতের ধাক্কায় গঙ্গার বুকে উল্টে গেল আস্ত স্পিড বোট
'চোখের সামনে সব শেষ হয়ে গেল, পারলাম না বাঁচাতে!' শোকের ছায়া এলাকায় | Pathar Pratima Blast Update
'অধীর হিন্দু হওয়ার জন্যই হেরে গেছেন', সাম্প্রদায়িক প্রসঙ্গে অধীরকে ধুয়ে যা বললেন শুভেন্দু
Hooghly News: ‘দাঁড়া, মজা দেখাচ্ছি!’ এক মুহূর্তেই বদলে গেল সব! ছুরি হাতে ঝাঁপিয়ে পড়ল শ্যালকেরা
দাসপুরে হিন্দু ধর্মগুরু হিরন্ময় প্রভুর ওপর দুষ্কৃতী হামলা | Hiranyamay Prabhu attack | Bangla News