ঐন্দ্রিলার শারীরিক অবস্থা জানার উদ্বেগকেই কাজে লাগিয়ে নিজেদের ফেসবুক প্রোফাইলের ‘রিচ’ বাড়ানোর খেলায় মেতে উঠলেন একদল সোশ্যাল মিডিয়া ‘রটনাকারী’।
বারবার কঠিন শারীরিক ব্যধি জয় করে চলেছেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। ভয়ঙ্কর কর্কট রোগকে জয় করে আসার পর তাঁকে আক্রমণ করে স্ট্রোক, দু’দিন আগে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকলেও বর্তমানে তাঁর অবস্থা আবার ফিরে এসেছে স্থিতিশীল জায়গায়। কঠোর নিয়মের মধ্যে দিয়ে তাঁকে জীবনে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে চলেছেন চিকিৎসকরা। কিন্তু, তাঁর শুভাকাঙ্ক্ষীদের ‘উত্তেজনাবশত’ দেওয়া ফেসবুক পোস্ট দেখে চূড়ান্ত ব্যথিত অভিনেত্রীর প্রিয়জনেরা। ভারাক্রান্ত মন নিয়ে রাত ২টোয় নেটিজেনদের কাছে কাতর আবেদন জানালেন বন্ধু সব্যসাচী চৌধুরী।
এর আগে ১৪ নভেম্বর সব্যসাচী নিজের ফেসবুক ওয়ালে লিখেছিলেন, ‘কোনওদিন এটা এখানে লিখব ভাবিনি, আজ লিখলাম। ঐন্দ্রিলার জন্য মন থেকে প্রার্থনা করুন।’ সেদিন ঐন্দ্রিলার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে আশঙ্কা প্রকাশ করেই একথা লিখেছিলেন অভিনেতা। ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হবার পর হৃদরোগ আক্রমণ করেছিল ক্যান্সারজয়ী ঐন্দ্রিলাকে। তারপর থেকে গত ২ দিন ধরে তাঁর শারীরিক অবস্থা জানার জন্য উদগ্রীব হয়ে রয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। এই উদ্বেগকেই কাজে লাগিয়ে নিজেদের ফেসবুক প্রোফাইলের ‘রিচ’ বাড়ানোর খেলায় মেতে উঠলেন একদল সোশ্যাল মিডিয়া ‘রটনাকারী’ ব্যক্তি। ফেসবুক জুড়ে তাঁরা ছড়িয়ে দিলেন অভিনেত্রীর সম্পর্কে চূড়ান্ত আশঙ্কার খবর।
এতও ভুয়ো খবরে শেষমেশ ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যায় সব্যসাচী চৌধুরীর। রাত ২ টোয় তিনি লেখেন, ‘আর একটু থাকতে দাও ওকে... এ সব লেখার অনেক সময় পাবে।’ সেই পোস্টের নিচে ভুয়ো খবরিদের তুলোধোনা করেন শুভাকাঙ্ক্ষীরা। তারই মধ্যে ভুল খবর ছড়িয়ে দেওয়া জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন কমেডিয়ান স্যান্ডি সাহা। এরপর তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন অভিনেতা অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়। তিনি লেখেন, ‘সত্যতা যাচাই করতে শিখুন, খালি এর ওর স্ট্যাটাস দেখে স্ট্যাটাস দিলেই হল?’ সব্যসাচী চৌধুরীর নিত্যদিনের হাসপাতালের সঙ্গী অভিনেতা সৌরভ দাস লিখেছেন, ‘বেঁচে আছে এখনও। মেরে ফেলো না ওকে। পায়ে পড়ছি।’
বুধবার সকালে চিকিৎসকদের অধীনে থাকাকালীন আচমকাই একাধিকবার হৃদরোগে আক্রান্ত হন অভিনেত্রী। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছিল, ‘সিপিআর’ দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। সিপিআর দেওয়ার পর পরিস্থিতি সামাল দিতে পেরেছেন চিকিৎসকেরা। তার পরেই কিছুটা স্থিতিশীল হয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা। যদিও সঙ্কট কাটেনি। গায়ে জ্বরও রয়েছে। বাড়তি চিন্তা রয়েছে নতুন করে দেহে বাসা বাঁধা সংক্রমণ নিয়ে। এই পরিস্থিতিতে তাঁর মঙ্গলকামনার সাথে সাথে মারাত্মক দুশ্চিন্তার বশবর্তী হয়ে ভুল কাজও করে ফেলছেন একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া আসক্ত নেটিজেন।
আরও পড়ুন-
১০ দিন ধরে বাতিল থাকবে একাধিক লোকাল ট্রেন, রুট বদল হচ্ছে দূরপাল্লার ট্রেনেরও
লিগামেন্ট সারাতে সরকারি হাসপাতালে বিপজ্জনক অস্ত্রোপচার, প্রাণটাই চলে গেল তামিলনাড়ুর কিশোরী ফুটবলারের