
ফের খবরে শ্রীলেখা মিত্র। প্রায়শই নানান বিতর্কীত বিষয় নিয়ে খবরে আসেন তিনি। এবারও হল না তার অন্যথা। ফেডারেশন-পরিচালক কাজিয়ায় কাজ হারাচ্ছেন অনেকেই। তালিকায় আছেন একাধিক পরিচালক, প্রযোজক ও অভিনেতা। এমনই অভিযোগ করেছেন পরিচালক গিল্ডের সদস্যরা। নিজেদের কাজ বজায় রাখতে তাঁদের মধ্যে ১৩ জন পরিচালক হাই কোর্টের দ্বারস্থও হয়েছেন। এর জেরে তাঁদের কাজ পেতে আরও অসুবিধা হচ্ছে। এমন দাবি করেছেন তারা। এবার এক অভিনেতা পরিচালকের নাম না করে বিঁধলেন শ্রীলেখা।
তিনি বলেন, আমি তো বছরের পর বছর কাজ পাই না। কই, তা নিয়ে তো কারও কোনও মাথাব্যথা নেই! রাজ্য সরকার-বিরোধী কথা বলায় আমার হাতে আসা বিজ্ঞাপনী ছবির কাজ কেড়ে নেওয়া হয়। ছবি পরিচালনা করব। কোনও প্রযোজক পাচ্ছি না।
এরই সঙ্গে শ্রীলেখা জানান, টলিউডে কাজ নেই। বাংলায় তাই তাঁর থাকার ইচ্ছাও নেই। মুম্বইয়ে থাকা প্রচন্ড খরচসাপেক্ষা। তাই ওখানে থিতু হতে পাচ্ছেন না।
এদিকে নানান বিতর্ক নিয়ে বারে বারে খবরে আসেন শ্রীলেখা। শেষবার কসবা কাণ্ড নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন নায়িকা। সেবার পুলিশকে কটু কথা শোনান।
কসবাকাণ্ডের প্রতিবাদে গড়িয়াহাট থেকে হাজরা পর্যন্ত মিছিল ছিল অভয়া মঞ্চের। এই মিছিলেই পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ায় শ্রীলেখা মিত্র। শ্রীলেখা বলেছিলেন, যাদের প্রিজন ভ্যানে তোলার তাদের তো পারছে না। আমাদের তুলবে, তুলুক। যারা বিচার চাইছে কাদের প্রিজনে তুলবে। পুলিশ কার থেকে ইন্সট্রাকশন পেয়েছ? আমাদের তো পকেটে বোমা নেই। আমরা কি ঠুঁটো জগন্নাথ হয়ে থাকব? হাজরা মোড় তো ওদের রাজত্ব। কেউ যেতে পারবে না।
পরে জানা যায়, মিছিল আটকে দিলে শ্রীলেখা পুলিশের কাছে জানতে চান, কেন তাঁদের আটকানো হচ্ছে? তাঁদের কাছে এই মিছিলে তো বোমা নেই? তাহলে এক ভয় কীসের? অভিনেত্রী পুলিশের উদ্দেশ্যে বলেন, যদি আপনাদের বাড়িতে, কাজের জায়গায় এমন ঘটনা ঘটত, তাহলে বিচার চাইতেন না?
আরও বলেন,…আমরা বেআইনি কী করেছি যে আমাদের আটকে দেওয়া হবে? আটকে দেওয়ার মানেটা কী? হীরক রাজার দেশ। রানিমা হুকুম দিয়েছেন। মাস মাইনেটা তো ওখান থেকে আসে। শিরদাঁড়া আছে নাকি এদের। বিকিয়ে দিয়েছে তো। পুলিশ আমাদের সুরক্ষা দেবে? অপরাধী, খুনি ধর্ষকদের সুরক্ষা দেবে। টিকি বাঁধা তো কোথাও। আপনার আমার বাড়ির মেয়ে মরুক। সবার মুখে কুলুপ আঁটা। চাকরির ভয়।