শ্রীলেখার অনুরোধ, ‘আর হ্যাঁ, আপনাদের বলি, দয়া করে আর RIP লিখবেন না আমার শোকে। আমি আনন্দে যাব। শান্তিতে বিশ্রাম নেব। অযথা আমায় নিয়ে বিষণ্ণ হবেন না।’
ঐন্দ্রিলা শর্মার জন্য প্রার্থনা জানালেন শ্রীলেখা মিত্রও! এবং ফেসবুকেই কায়মনোবাক্যে ঈশ্বরের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা করলেন। এখানেও তিনি সবার থেকে ভিন্ন। সবাই ঐন্দ্রিলা শর্মা-সব্যসাচী চৌধুরীর লড়াইকে কুর্নিশ করেছেন। তাঁদের ভালবাসা অন্যের মনে ইতিবাচক ভাবনা ছড়িয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কেউ নিজের প্রাণের বিনিময়ে ঐন্দ্রিলার প্রাণভিক্ষা করেননি সর্বশক্তিমানের কাছে। শ্রীলেখা সেটাই করলেন। শুক্রবার তিনি উপরওয়ালাকে খোলা চিঠি দিলেন। সেখানেই তাঁর প্রার্থনা, ‘সওদা করতে চাই ওপরওয়ালার সঙ্গে.... যাদের এখনও অনেকটা পথ চলা বাকি তাদের রেখো সুস্থ করে... পরিবর্তে যদি ইচ্ছে হয়... আমি প্রস্তুত।’ এর আগে ‘দাদাগিরি’র মঞ্চে এ রকমই শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও। ঐন্দ্রিলাকে সস্নেহে বলেছিলেন, ‘আমাদের সবার সবার আয়ু যেন তোমার লাগে।’
শ্রীলেখার কথাতেও এ দিন স্নেহের সুর। নিজস্ব ভঙ্গিতে তিনি লিখেছেন, ‘অনেক তো বয়স হল। জীবনও কিছু কম দেখলাম না। মা-বাবা নেই। মেয়েটাও বড় বেশি স্বাধীন প্রকৃতির। এক দিকে ভাল। আমাদের মতো বুড়ো বয়স অবধি মা-বাবার ল্যাজ ধরা নয়।’ জীবনের থেকে আর কি কিছুই পাওয়ার নেই তাঁর? সেই উত্তরও দিয়েছেন তিনি। শ্রীলেখার যুক্তি, কিছু কাজ বাকি তাঁর। সেগুলো তাড়াতাড়ি করে যেতে চান। বাকি নিজের মতো করে জীবন কাটিয়ে ফেলেছেন। এবং তাঁর আর কোনও অনুশোচনা নেই। কোনও অভিযোগও নেই আর। তাই তিনি মৃত্যুকেও ভয় করেন না। বরং ওটা এখন তাঁর কাছে চ্যালেঞ্জের, দুঃসাহসিকতার। এত ভারী কথার পরে হাল্কা রসিকতা করতেও ছাড়েননি। শ্রীলেখা একটি বিশেষ প্রসাধনী সংস্থার লিপস্টিক দিতে ভালবাসেন। সংগ্রহে প্রচুর লিপস্টিক রয়েওছে। সেগুলো কাউকে প্রাণে ধরে দিতে পারবেন বলে মনে হয় না! অভিনেত্রী নিশ্চিত, চারপেয়ে সারমেয় সন্তানদের তাঁর অবর্তমানে মেয়ে মাইয়্যাই সামলে নিতে পারবে।
এর পরেই তাঁর কথায় পুরনো ঝাঁঝ। সরাসরি ঈশ্বরের কাছে আবেদন। এবং অনুরাগীদের অনুরোধ, ‘আর হ্যাঁ, আপনাদের বলি, দয়া করে আর RIP লিখবেন না আমার শোকে। আমি আনন্দে যাব। শান্তিতে বিশ্রাম নেব। অযথা আমায় নিয়ে বিষণ্ণ হবেন না। তার চেয়ে অনলাইন ডেটিং আর শপিং করুন!’ শ্রীলেখার এ রকম প্রার্থনায় যদিও খুশি নন তাঁর অনুরাগীরা। তাঁদের প্রবল প্রতিবাদ মন্তব্য হয়ে উপচে পড়েছে মন্তব্য বিভাগে। বহু জন তাঁকে নাকি পোস্ট সরিয়ে নেওয়ারও অনুরোধ জানিয়েছেন। তাই প্রার্থনার পোস্ট মুছতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। সে কথাও ফেসবুকে জানিয়েছেন প্রযোজক-পরিচালক-অভিনেত্রী।
আরও পড়ুন
ঐন্দ্রিলার চিকিৎসার জন্য আর্থিক সাহায্যের আর্জি অনিন্দ্যর, ‘এক্ষুণি প্রয়োজন নেই’, মত সব্যসাচীর
প্রকাশ্যে বিক্রমের গালে চুমু মধুমিতার! এ বার ছোট পর্দায় ‘কুলের আচার’ জুটি?
‘চিকু’র ১০ বছরের জন্মদিন, ছেলের বন্ধুদের সঙ্গে মজা, হুল্লোড়ে মাতলেন মিমি চক্রবর্তী