
কসবাকাণ্ডের প্রতিবাদে গড়িয়াহাট থেকে হাজরা পর্যন্ত মিছিল ছিল অভয়া মঞ্চের। গড়িয়াহাট থেকে মিছিল শুরু হয়েছিল সুষ্ঠুভাবেই। তবে, মিছিল লেক মলের সামনে পৌঁছাতেই বাঁধল সমস্যা। মিছিল আটকে দিল পুলিশ। পুলিশের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, তাঁদের রাছে অনুমতি ছিল না মিছিল এগোতে দেওয়ার। এদিন মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বিনোদন জগতের একাধিক তারকা। ছিলেন বাদশা মৈত্র, চন্দন সেন, দেবদূত ঘোষের সঙ্গে মিছিলে হাঁটলে দেখা যায় শ্রীলেখা মিত্রকে।
কসবা কলেজের ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, যদি নিয়ন্ত্রণে আসার হতো, তাহলে পার্কস্ট্রিট, কামদুনিতেই হতে পারত। সেখান থেকে এদের নেত্রী পরিষ্কার বলে দিয়েছেন, কিচ্ছু হবে না, তোরা যা পারিস কর এবং সেটারই ফল এটা। নিয়ন্ত্রণ কী করে আসবে সেটাকে যদি সেটাকে প্রশ্রয় দেওয়া হয়? যদি কেউ দেখে যে অপরাধ করলে শাস্তি হচ্ছে না, তাহলে কেন সে নিয়ন্ত্রিত হবে, সে আবার করবে। আমি জানিয়ে রাখলাম, অলরেডি তো দেখতে পাচ্ছেন, দিনে দুপুরে গুলি করছে একে অপরকে বখরার ভাগ নিয়ে। এবার দেখবেন দিনে দুপুরে কলেজে গুলি করবে, বখরার ভাগ নিয়ে।
বাদশা মৈত্র ছিলেন মিছিলে। তিনি বলেন, এই যে ছেলেটি, সে ঘটনা ঘটানোর পর, বাড়ি চলে গিয়েছিল। সে খুব নিরুত্তাপ ছিল। আমার ধারণা এবং কাগজে এখন যা বেরোচ্ছে, যে এরম ঘটনা আগেও সে ঘটিয়েছে। সে ভেবেছিল, যা যা করেছিল, কার ভয়ে মেয়েটি প্রকাশ ররবে না। কনফিডেন্ট ছিল সে যে, ঘটনা প্রকাশ্যে আসবে না। তার মানে এই সরকার, এই প্রশাসন, রাজনৈতিক দল তারা বিভিন্ন পদে এই সব মানুষদের বসিয়ে রেখেছে যারা আসলে একটা লময়ে এক একটা সমাজ বিরোধী। তো সমাজবিরোধীদের যদি ক্ষমতায় বসানো হয়, কলেজে চাকরি দেওয়া হয়, কলেজের ভর্তি যদি সে নিয়ন্ত্রণ করে, তার বিরুদ্ধে একধিক এফআইআর থাকার পরেও যদি পুলিশ তার টিকিটি ছুঁতে না পারে, তাহলে কি সে মেয়েদের খুব সম্মান করবে বলে মনে হয়? আমার মনে হয় না। এটা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়।