
কসবাকাণ্ডের প্রতিবাদে গড়িয়াহাট থেকে হাজরা পর্যন্ত মিছিল ছিল অভয়া মঞ্চের। গড়িয়াহাট থেকে মিছিল শুরু হয়েছিল সুষ্ঠুভাবেই। তবে, মিছিল লেক মলের সামনে পৌঁছাতেই বাঁধল সমস্যা। মিছিল আটকে দিল পুলিশ। পুলিশের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, তাঁদের রাছে অনুমতি ছিল না মিছিল এগোতে দেওয়ার।
আর এই মিছিলেই পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ায় শ্রীলেখা মিত্র। এদিন মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বিনোদন জগতের একাধিক তারকা। ছিলেন বাদশা মৈত্র, চন্দন সেন, দেবদূত ঘোষের সঙ্গে মিছিলে হাঁটলে দেখা যায় শ্রীলেখা মিত্রকে।
মিছিলে পুলিশের সঙ্গে বচসা বাঁধে শ্রীলেখার। শ্রীলেখা বলেন, যাদের প্রিজন ভ্যানে তোলার তাদের তো পারছে না। আমাদের তুলবে, তুলুক। যারা বিচার চাইছে কাদের প্রিজনে তুলবে। পুলিশ কার থেকে ইন্সট্রাকশন পেয়েছ? আমাদের তো পকেটে বোমা নেই। আমরা কি ঠুঁটো জগন্নাথ হয়ে থাকব? হাজরা মোড় তো ওদের রাজত্ব। কেউ যেতে পারবে না।
জানা গিয়েছে, মিছিল আটকে দিলে শ্রীলেখা পুলিশের কাছে জানতে চান, কেন তাঁদের আটকানো হচ্ছে? তাঁদের কাছে এই মিছিলে তো বোমা নেই? তাহলে এক ভয় কীসের? অভিনেত্রী পুলিশের উদ্দেশ্যে বলেন, যদি আপনাদের বাড়িতে, কাজের জায়গায় এমন ঘটনা ঘটত, তাহলে বিচার চাইতেন না?
আরও বলেন,…আমরা বেআইনি কী করেছি যে আমাদের আটকে দেওয়া হবে? আটকে দেওয়ার মানেটা কী? হীরক রাজার দেশ। রানিমা হুকুম দিয়েছেন। মাস মাইনেটা তো ওখান থেকে আসে। শিরদাঁড়া আছে নাকি এদের। বিকিয়ে দিয়েছে তো। পুলিশ আমাদের সুরক্ষা দেবে? অপরাধী, খুনি ধর্ষকদের সুরক্ষা দেবে। টিকি বাঁধা তো কোথাও। আপনার আমার বাড়ির মেয়ে মরুক। সবার মুখে কুলুপ আঁটা। চাকরির ভয়।
এদিকে অভিযোগ, গত ২৫ মে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে ১০টা ৫০ মিনিট, প্রায় ৩ ঘন্টা ২০ মিনিট ধরে কলেজের গার্ডস রুমে অকথ্য নির্যাতন চলে আইনের ছাত্রীদের ওপর। নির্যাতিতা শাসকদলের ছাত্র সংগঠনে কর্মী। পুলিশকে দেওয়া অভিযোগপত্রে তিনি লিখেছেন, কলেজের প্রাক্তনী তথা প্রভাবশালী নেতার প্রেম তথা বিয়ের প্রস্তাব নাকচ করে দেওয়ার অপরাধে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে। অভিযুক্তকে সহায়তা করেছেন আরও দুজন।