
বিষয়টা পুরো ভয়ঙ্কর স্বপ্নের মতো। ভাবলেও ভয় হবে। ঘটনাটি ঘটেছে জনপ্রিয় অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্যর সঙ্গে। সদ্য সামনে এল এক ভয়ঙ্কর দিনের কথা। নিজেই জানালেন নিজের অভিজ্ঞতার কথা। যা শুনলে মনে হবে তা যেন সিনেমা।
ঘটনাটি বর্ষাকালের। বৃষ্টি সবে থেমেছে তখন। পাড়ার ছেলেদের কথা না মানতেই আচমকা কাদায় ফেলে অপরাজিতাকে একের পর এক লাথি মারা শুরু করল তারা। ব্যথায় কাতরাতে থাকেন অভিনেত্রী। তা সত্ত্বেও চুপ থাকেননি।
না এটা কোনও সিনেমার দৃশ্য নয়। বরং বাস্তবে এমনটাই ঘটেছিল নায়িকার সঙ্গে। একটি চ্যাট শো-তে এসে তিনি এমনই জানান। কয়েকবছর আগে এক বেসরকারি চ্যানেলে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলাপচারিতায় এমন কথা জানান নায়িকা। ছোট থেকে তিনি ডানপিটে ছিলেন। ছিলেন মারকুটেও। তার কর্মকাণ্ডে অতিষ্ট হয়ে গিয়েছিল পাড়ার লোকজন। বন্ধুদের সঙ্গে মিলিত হয়ে নানান খারাপ কাজ করতেন।
ছোট থেকেই নাচের প্রতি টান ছিল। তাই তো ১৩ বছর বয়সেই পাড়ার এক নাচের স্কুলে নাচ শেখাতেন তিনি। ঠিক সেই সময়ই নিজের নাচের দলকে নিয়ে পাড়ার এক অনুষ্ঠানে নৃত্যনাট্য করার প্ল্যান করেন অপরাজিতা। শুরু হয় মহড়া। সেই অনুষ্ঠানে পাড়ার ছেলেরা করেছিল নাটক। কিন্তু, অনুষ্ঠানের দিন ঘটে বিপত্তি। তুমুল বৃষ্টি হয়। বৃষ্টি যখন থামে তখন রাত ৮টা। এত রাতে পুরো অনুষ্ঠান করা সম্ভব নয়। তাই পাড়ার ছেলেরা অপরাজিতার নাচের গ্রুপের অনুষ্ঠান বাদ দিয়ে দেয়। এই নিয়ে শুরু হয় বচসা। তারপর হয় হাতাহাতি। মারপিট বাড়তে থাকে। তারাই অপরাজিতাকে কাদায় ফলে লাথি মারতে থাকে।
তারপর সেদিন তারা প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে এই নাচের দল একদিন এত নাম করবে, এত বড় হবে যে পাড়ার ছেলেরা লজ্জা পাবে। বাস্তবে হয়েছিলও তাই। এই দিনের কথা জানান নায়িকা নিজেই। ছোটবেলায় একবার অপরাজিতা আঢ্যকে কাদায় ফেলে লাথি মারা হয়। পাড়ার ছেলেদের সঙ্গে এতই বচসা বাঁধে যে হাতাহাতি হয়। তারপর তাকে মারধর করা হয়।