গঙ্গার ঘাটে ভিক্ষা করে 'একুশ শতক'-এর মা! বিজয়ায় কি তাঁর বোধন হবে?

নচিকেতা চক্রবর্তীর বৃদ্ধাশ্রম গানে ‘খোকা’ তার মাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়েছিল। শৈলেশ, সমরেশের ‘ভাগের মা’ মাথার উপরের ছাদ হারিয়ে আচমকাই গায়েব!

Mukherjee Upali | Published : Nov 23, 2022 2:23 PM IST

এ বছরের শীত শারদীয়ার আমেজে মাখামাখি! বড় পর্দায় দুর্গাপুজোর অকাল উদযাপন। নেপথ্য যুক্তি, মাকে ভালবাসতে কোনও তিথি-নক্ষত্র দেখতে হয় না। উৎসবের আবহ ফিরে পেতেও দিনক্ষণ লাগে না। এই বিশ্বাস আঁকড়ে ধরে পরিচালক সঞ্জয়-সুমনা আনছেন তাঁদের আগামি ছবি ‘অনন্য শারদীয়া’। বলা ভাল, দুই পরিচালকের হাত ধরে বহু দিন পরে বিদেশ থেকে দেশের পুরনো বাড়িতে ফিরছে সমরেশ। যে বাড়িতে পা রেখেই সে দেখবে, তার মা নেই! হারিয়ে গিয়েছে। নচিকেতা চক্রবর্তীর বৃদ্ধাশ্রম গানে ‘খোকা’ তার মাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়েছিল। শৈলেশ, সমরেশের ‘ভাগের মা’ মাথার উপরের ছাদ হারিয়ে আচমকাই গায়েব! দাদাকে মায়ের সম্বন্ধে প্রশ্ন করতেই সপাট জবাব, ‘মারা গিয়েছে’! কেউ কি দেখেছে তাঁর মৃত্যু?

সত্যিই মারা গিয়েছেন শৈলেশ-সমরেশের মা? উৎসব বাড়ির আনাচ কানাচ ঢুঁ মারতে মারতে বারেবারে প্রশ্ন জেগেছে ছোট ছেলের মনে। একই সঙ্গে বাড়ির প্রতিটি কোণ মনে পড়িয়ে দিয়েছে তার ফেলে আসা স্মৃতি। তার পুরনো প্রেম, প্রেমিকাকে। পুজোর প্রতিটি দিন আনন্দের মধ্যে কাটাতে কাটাতেও সমরেশ তাই ডুবেছে বিষাদে, স্মৃতির মায়াজালে। দিন গড়াতে গড়াতে বিজয়া দশমী। বিসর্জনের দিন সমরেশের স্ত্রী কৃষ্ণার চোখে পড়ে, প্রতিমার গায়ের গয়না চুরি গিয়েছে। সমরেশ এ বার প্রশাসনের সাহায্য নিতে বাধ্য হয়। গ্রেফতার হয় তার দাদা এবং পিসি। আর তখনই সে আবিষ্কার করে হারিয়ে যাওয়া মাকে। যিনি মারা যাননি। বড় ছেলে মাথার ছাদ কেড়ে নেওয়ায় তিনি বাধ্য হয়ে আশ্রয় নিয়েছেন গঙ্গার ঘাটে। ভিক্ষাবৃত্তি করে দিন কাটে তাঁর! বিস্ময়ে অভিভূত সমরেশ কি তার মাকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাবে? নাকি সে মাকে চিনতেই পারবে না?

 

কী হবে তার পর? এই প্রশ্ন জিইয়ে রেখেই ছবির ট্রেলারে দাঁড়ি। পরিচালকজুটির দাবি, এই প্রশ্নের টানেই দর্শকেরা প্রেক্ষাগৃহে দেখতে ছুটবেন ‘অনন্য শারদীয়া’। ছবিতে হারিয়ে যাওয়া মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন চৈতালি চক্রবর্তী। তাঁর দুই ছেলে ঈশান মজুমদার, অভিষেক সিং। এ ছাড়াও আছেন পার্থসারথি দেব, রূপসা মুখোপাধ্যায়, গৌতম চক্রবর্তী, তপতী মুন্সী প্রমুখ। ছবিতে গানের দায়িত্ব সামলেছেন রাঘব চট্টোপাধ্যায়, ড. রতম সমাদ্দার। কণ্ঠে রাঘব, মেখলা দাশগুপ্ত, আহিরী এবং আনন্দি চট্টোপাধ্যায়। ছবির গল্প, চিত্রনাট্যও পরিচালকজুটির। প্রযোজনায় সেবটস এন্টারটেনমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড। সহযোগিতায় এসজিএস এন্টারটেনমেন্ট।

আরও পড়ুন

আজ বানতলা-জ্যোতি বসু, আগামিতে মমতা-টেট কেলেঙ্কারির ‘রেড ফাইলস’ খুলব: কিংশুক দে

‘মমতা দিদিই ঠিক, চপ-মুড়ি বিক্রি লজ্জার নয়!’ কলকাতার রাস্তায় চা-ওমলেট বেচে বুঝলেন সীমা বিশ্বাস

প্রযোজক থেকে ‘বিহারীবাবু’ ‘নটী বিনোদিনী’র অরিত্র! বিয়ে করলেন বিমানসেবিকাকে, দেখুন বিয়ের ছবি

 

 

 

Share this article
click me!