কোটি কোটি টাকা নিয়েও ছবির শ্যুটিং শেষ করেননি। ৪২০ ধারায় মামলা দায়ের আমিশা প্যাটেলের বিরুদ্ধে। বন্ধুর বিরুদ্ধে জারি গ্রেফতারি পরোয়ানা।
হৃত্বিক রোশনের নায়িকা হিসেবেই বড় পর্দায় আত্মপ্রকাশ করেছিলেন আমিশা প্যাটেল। বর্তমানে রুপলি পর্দা থেকে কিছুটা দূরে রয়েছে। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি যথেষ্ট সক্রিয়। বিকিনি পরা পোশাকে রীতিমত মাতিয়ে রাখেন তাঁর অনুগামীদের। কহো না প্যার হ্যায় অভিনেত্রী এখনও রীতিমত সাহসী ক্যামেরার সামনে। সেই আমিশা প্যাটেলই বর্তমানে রীতিমত বিপাকে। রাঁচির একটি আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই মামলা দায়ের হয়েছে। বড় রকমের বিপদের সম্মুখীন অভিনেত্রী।
বৃহস্পতিবার রাঁচীর আদালতে আমিশা প্যাটেলের বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও চেক বাউবন্সের মামলা দায়ের করা হয়েছে। ত তাঁর ব্যবসায়িক অংশীদার ক্রুনালের বুরুদ্ধেও একটি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। সিআরপিসির ৪২০ ও ১২০ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। রাঁচীর হারমুরের বাসিন্দা অজয় কুমার সিং আমিশা ও তাঁর ব্যবসায়িক অংশীদারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার সূত্রপাত দেশী ম্যাজিক নামে একটি ছবিকে কেন্দ্র করে। পুলিশ সূত্রের খবর এই ছবিতে অর্থ বিনিয়োগ করেছিলেন অজয় কুমার সিং। আর সেই কারমে আমিশার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ২.৫ কোটি টাকা স্থানান্তর করেছিলেব। ২০১৩ সালে ছবিটির শ্যুটিং শুরু হয়েছিল। কিন্তু ছবিটি শেষ হয়নি।
আর এই বিষয়ে অজয় অভিনেত্রীর সঙ্গে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করেছিলেন। তিনি টাকা ফিরত চেয়েছিলেন। কিন্তু প্রথম দিকে আমিশা চেক দিতে দেরি করেছিলেন। পরে ২০১৮ সালের অক্টোবরে দুটি চেক তাদের দেয়। একটি আড়াই কোটির। অন্যটি ৫০ লক্ষের। কিন্তু দুটি চেকই বাউন্স হয়েছে। তারপরই আইনের দ্বারস্থ হন। কিন্তু আমিশা বা তাঁর আইনজীবী কেউই আদালতে উপস্থিত হয়ে নিজেদের পক্ষ নিয়ে সওয়াল করেননি। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৫ এপ্রিল।
২০২১ সালের নভেম্বর মাসে আমিশা এই একই কারণে সংবদা শিরোনামে ছিলেন। ইউটিএফ টেলিফিল্মসে তাঁর ৩২.২৫ লক্ষ টাকার চেক বাউন্স হয়েছিল। ভোপালের আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে জামিনযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল।
বর্তমানে আমিশার হাতে রয়েছে গদর -২। সানি দেওলের বিপরীতে দেখা যাবে। ২০০১ সালে এই ছবির প্রথম পার্ট যথেষ্ট জনপ্রিয় হয়েছিল। ২০২৩ সালে মুক্তি পাওয়ার কথা। এছাড়া আর তেমন বড় কোনও প্রজেক্ট নেই আমিশার হাতে।