আবারও বইয়ের পাতায় ফিরছেন বলিউডের চাঁদনি। তিনি আজ বেঁচে না থাকলেও সবার মনে বেঁচে রয়েছেন শ্রীদেবী। বুধবার প্রযোজক বনি কাপুর জানিয়েছেন, শ্রীদেবী-দ্য লাইফ অফ আ লেজেন্ড-এ প্রকাশিত হতে চলেছে শ্রীদেবীর বায়োগ্রাফি।
ওয়েস্টল্যান্ড বুকস থেকে প্রকাশিত হবে শ্রীদেবীর এই বায়োগ্রাফি। এই বিশেষ বইটির জন্য কলম ধরেছেন গবেষক, লেখক, কলামিস্ট ধীরজ কুমার। এই বইতে অভিনেত্রীর জীবনের উত্থান-পতন সবটা তুলে ধরা হবে।
সালটা ২০১৮, ২৪ ফেব্রুয়ারি। শ্রীদেবীর মৃত্যুর খবরে তোলপাড় হয়েছিল গোটা বিশ্ব। তার মৃ্ত্যুর পর এতগুলো বছর পার হয়ে গেলেও শ্রী-র মৃত্যুর কারণ নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়ে গেছে। অভিনেত্রীর রহস্যমৃত্য যে এখন সকলের মনে নান প্রশ্ন তৈরি করে, তার সবটাই বায়োগ্রাফিতে থাকবে।
শ্রীদেবীর স্বামী তথা প্রযোজক বনি কাপুর জানিয়েছেন, শ্রীদেবী ছিলেন তার প্রাকৃতিক শক্তি। তার শিল্পকলা পর্দায় ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করতে পেরে ধন্য। ধীরজ কুমার এমন একজন যাকে ও পরিবারের সদস্য বলে মনে করত।
বনি কাপুর আরও জানান, আমরা ভীষণ ভাবে খুশি যে তিনি এমন একটি বই লিখছেন যা ওর অসাধারণ জীবনের জন্য উপযুক্ত। প্রকাশকদের মতে, বইটি শ্রীদেবীর একটি ৩৬০ ডিগ্রি প্রতিকৃতি এবং এটি পাঠকদের আইকনিক অভিনেত্রী সম্পর্ক পুনরায় আবিস্কার করতে সাহায্য করবে। পর্দায় চাঁদনি র ছবি দেখলে আজও চোখের কোণটা ভিজে যায় অনেকেরই। তার স্মৃতি আজও অমলিন হয়ে রয়েছে সকলের মনে।
অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত জীবনটাই যেন রূপোলি পর্দার মতো। একাধিক অভিনেতার সঙ্গেই সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলেন শ্রীদেবী। তবে বলিউডের হাজার পুরুষের ড্রিম গার্ল হয়েও দুই সন্তানের বাবার গলায় শেষমেষ মালাটা পরিয়েছিলেন অভিনেত্রী। বলিউডের অন্যতম বিতর্কিত প্রেমকাহিনির মধ্যে একটি হল বনি-শ্রীদেবীর সম্পর্ক।
বলিউডের চাঁদনি শ্রীদেবীর প্রেমে পড়ার আগেই বিবাহিত ছিলেন বলি পরিচালক বনি কাপুর। তবে শুধু বিবাহিতই নন, দুই সন্তান অর্জুন কাপুর ও অনুষা কাপুরের বাবাও ছিলেন বনি। শ্রীদেবী পাওয়ার জন্য মোনা কাপুরকে ছেড়ে দিয়েছিলেন বনি। শুধু তাই নয়, দুই সন্তান সহ স্ত্রীকে ছেড়ে শ্রী এর সঙ্গে ঘর শুরু করেছিলেন বনি কাপুর।
বলিউডের চাঁদনি শ্রীদেবীর প্রেমে পড়ার আগেই বিবাহিত ছিলেন বলি পরিচালক বনি কাপুর। তবে শুধু বিবাহিতই নন, দুই সন্তান অর্জুন কাপুর ও অনুষা কাপুরের বাবাও ছিলেন বনি। শ্রীদেবী পাওয়ার জন্য মোনা কাপুরকে ছেড়ে দিয়েছিলেন বনি। শুধু তাই নয়, দুই সন্তান সহ স্ত্রীকে ছেড়ে শ্রী এর সঙ্গে ঘর শুরু করেছিলেন বনি কাপুর।
সূত্র থেকে জানা গেছে, শ্রীদেবী প্রথমে বনির প্রেমে পড়েন নি। কিন্তু শ্রী-কে আকর্ষিত করতেই তার কাছাকাছি যেতে চেয়েছিলেন বনি। আশ্চর্য বিষয় হল বনি কাপুরের স্ত্রী মোনা কাপুরের খুব ভাল বন্ধু ছিলেন শ্রী। আর সেই বন্ধুত্বের খাতিরে মাঝেমধ্যেই বনির বাড়িতেও যাতায়াত ছিল শ্রীদেবীর। একবার শ্রীদেবীর মা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। এবং সেই সময় পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থও শ্রীদেবীর কাছে ছিল না। সেই সুযোগকেই কাজে লাগিয়েছিলেন বনি। সবরকম ভাবেই আর্থিক সহায়তা থেকে শ্রী-এর মাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান বনি। তারপরেই তাদের সম্পর্ক আরও গভীরে পৌঁছেছিল।
১৯৯৩ সালে বনি শ্রী-কে প্রোপোজ করেছিল। এবং প্রোপোজ করার সময়ও ভীষণ চিন্তিত ছিল। একটি সাক্ষাৎকারে বনি জানিয়েছিলেন, শ্রী-কে প্রথম ভালবাসার কথা বলা সময় ভীষণ রেগেছিলেন অভিনেত্রী। এবং প্রায় ৮ মাস কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। ১৯৯৩ সালে মুম্বই হামলার সময় শ্রী একটি হোটেলে ছিলেন। তখন অভিনেত্রীর মাকে বলে শ্রীকে বনির বাড়িতে পাঠানোর জন্য রাজি করান। মোনা যেহেতু শ্রী-এর ভাল বন্ধু ছিল সেক্ষেত্রে রূপ কি রানি চোরো কা রাজা ছবির সময়টাকে ১ মাস বনির বাড়িতে ছিলেন শ্রী।
সালটা ১৯৯৬। অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছিলেন শ্রী। ঠিক তারপরেই মোনা ও সন্তানদের ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বনি কাপুর। এবং শ্রীদেবীর সঙ্গেই সংসার করতে শুরু করেছিলেন। তারপর থেকেই শ্রী-কে হোম-ব্রেকারও বলা হত। এমনকী মোনা-অর্জুন-অংশুলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করারও দায় উঠেছিল তার উপরেই ।১৯৯৬ সালে জাহ্নবী কাপুরের জন্ম হয়েছিল। তখনও মোনার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে ছিলেন বনি। তারপর ২০১২ সালে মাল্টিপল অর্গান ফেলিওর হয়ে মারা যান মোনা।
একটি সাক্ষাৎকারে শ্রীদেবী জানিয়েছিলেন, যখন আমি তার সত্যিটা জেনেছিলাম তখনই প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম বনির। যদিও এটা খুবই কঠিন ও বেদনাদায়ক ছিল তবে শেষ পর্যন্ত বনির সঙ্গেই থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু তা মেনে নিতে অনেক বছর সময় লেগেছিল।