প্রয়াত (Passes Away) সঙ্গীত শিল্পী (Singer) কেকে (KK)। কলকাতায় অনুষ্ঠানে এসে অসুস্থ বোধ করেন তিনি। হোটেলেও ফিরে যান তিনি। তারপর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
কলকাতায় অনুষ্ঠানে এসে প্রয়াত প্রখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী কেকে। নজরুল মঞ্চে উল্টোডাঙার গুরুদাস মহাবিদ্য়ালয়ের কলেজের ফেস্টে এসেছিলেন তিনি। অনুষ্ঠান চলাকালীন অসুস্থ বোধ করেন তিনি। ব্যাক স্টেডে বিশ্রাম নিয়ে অনুষ্ঠান করেন কেকে। জীবনের শেষ দিনেও নিজের গানের জাদুতে সকলকে মাতিয়ে তোলেন তিনি। অনুষ্ঠান শেষে শহরের এক পাঁচতারা হোটেলে যান যেখানে তিনি উঠেছিলে। সেখানে নেকেই তাঁর সঙ্গে ছবি তুলতে চাইছিলেন। কিন্তু ছবি তুলতে চাননি সংগীত শিল্পী। এরপর অসুস্থ হয়ে পড়েন সংগীত শিল্পী কেকে। এরপর তাঁকে কলকাতার সিএমআরআই হাসপাতালে নিয়ে গেলে, মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকরা মনে করছেন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই প্রয়াত হয়েছেন কেকে। আগামি কাল তার দেহের ময়না তদন্ত হবে। মৃত্যুকালে ৫৩ বছর বয়স হয়েছিল কৃষ্ণকুমার কুননাথ ওরফে কেকের।
কেকেআর এমন আকস্মিক প্রয়াণে শোকস্তব্ধ সকলেই। সুরকার জিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় জানিয়েছেন, জিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, '২৭ বছরের বন্ধু। আমার প্রথম ছবি থেকে গান গেয়েছেন। আমি বিশ্বাস করতে পারছি না। আমার খুব কাছের বন্ধু।' কথা বলতে বলতে চোখে জল চলে আসে জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। তিনি বারবার বলতে থাকেন, 'আমার খুব কাছের বন্ধু।'
সঙ্গীত শিল্পী বাবুল সুপ্রিয়ও কেকে-র প্রয়াণো শোকস্কব্ধ। হাসপাতালেও যান তিনি। বাবুল সুপ্রিয় বলেন, একইসঙ্গে কেরিয়ার শুরু করেছিলাম আমরা। আমার থেকে বয়সে একটু বড় হলেও খুব ভালো বন্ধু ছিলাম। কোনও ঝামেলায় থাকত না, গসিপে থাকত না। কাজ নিয়ে থাকতে ভালোবাসত। মুম্বইতে কাজ করতে আসত হয়ে গেলে তারপর ছুটিকতে চলে যেত। দুজনের একসঙ্গে অনেক স্মৃতি রয়েছে। কয়েক মাস আগে শেষবার কথা হয়েছিল। মেনে নেওয়া যাচ্ছে না।
সঙ্গীতশিল্পী কে কে-র মৃত্যুর খবরে ভেঙে পড়েছেন সঙ্গীতিশিল্পী সুরজিৎ চট্টোপাধ্যায়। ভারত বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পীর মৃত্যুর খবর শুনে বিশ্বাসই করতে পারছেন না। তিনি বলেছেন, 'আমি শকড বললেও কম বলা হয়। ফেসবুকে পোস্ট দেখলাম। এরপর এবিপি আনন্দ চালিয়ে দেখলাম এই ঘটনা। আমি নিজে কে. কের ভীষণ ফ্যান। বরাবর ওঁর গলা আমার খুব পছন্দের। কালিকার পর কেকের খবর শুনে একইভাবে আঘাত পেলাম। কেকের সঙ্গে আলাপ ছিল না। কিন্তু ওঁর অনুষ্ঠান দেখেছিলাম। কিছু বলতে পারছি না।'
সঙ্গীত শিল্পী তথা সুরকার অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন,আমি নিজে কেকের গানের খুব বড় ফ্যান। আমি শোনার পর থেকে বিশ্বাসই করতে পারছি না। কয়েক দিন আে আমার একটি ছবিতে গান গাওয়ার জন্য যোগাযোগ করেছিলাম। কিন্তু এমন হবে ভাবতেও পারিনি।
গায়ক অভিজিৎও শোকস্তব্ধ কেকেক প্রয়াণের খবরে। তিনি জানিয়েছেন, তার আওয়াজে আলাদা জাদু ছিল। কখনও কোনও রিয়েলিটি শো তে জাননি। কাজ ছাড়া কিছুই জানতেন না। আমি নিজে তার বড় ফ্যান। কেকেআর মৃত্যুর খবর মেনে নিতে পারছি না।
তবলা বাদক বিক্রম ঘোষ জানিয়েছেন, কেমন বিধির বিধান জানিনা। ভাবতেই পারছি না। কয়েক দিন আগেই দেখা হয়েছিল। বেশ কিছু সময় কথা হয়েছিল। কিছু বলার নেই। মেনে নেওয়াটা খুব কঠিন।
রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানিয়েছেন, কেকেআর প্রয়াণে আমি শোকাহত। ওনার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। বুধবার সকালে ওনার স্ত্রী , পুত্র ও কন্য়া আসার কথা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর দেহ তুলে হবে পরিজনদের হাতে। এমনভাবে বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পীর প্রয়াণ মেনে নেওয়া যায়না।