কেকে-র অস্বাভাবিক মৃত্যু জুড়ে উঠে আসা একাধিক ইস্যুকে নস্যাৎ করলেন শিল্পী শুভালক্ষী দে। নজরুল মঞ্চে কেকে-র শোয়ের দিন অনুষ্ঠান ছিল শুভালক্ষী দে-র। মঙ্গলবার আদতে নজরুল মঞ্চের ভিতরে পরিস্থিতি কেমন ছিল, তা জানিয়েছেন শুভালক্ষী দে।
কেকে-র অস্বাভাবিক মৃত্যু জুড়ে উঠে আসা একাধিক ইস্যুকে নস্যাৎ করলেন শিল্পী শুভালক্ষী দে। নজরুল মঞ্চে কেকে-র শোয়ের দিন অনুষ্ঠান ছিল শুভালক্ষী দে-র। জানা গিয়েছে, শুভালক্ষী-র মোটামুটি দুপুর ২ টা নাগাদ এবং কেকে-র সন্ধ্যা ৭ টা নাগাদ স্টেজ পাওয়ার কথা ছিল। মঙ্গলবার আদতে নজরুল মঞ্চের ভিতরে পরিস্থিতি কেমন ছিল, তা জানিয়েছেন শুভালক্ষী দে।
' নজরুল মঞ্চে অতিরিক্ত মানুষ ঢোকেনি'
তিনি বলেছেন, 'স্বাভাবিকভাবে ভিতরে যেমন থাকে কলেজ শো-তে, তেমনই ভিড় ছিল। প্রচন্ডই উৎসাহিত ছিল সবাই। কারণ অনেকদিন আগে থেকেই প্রচার হয়েছে, যে কেকে আসছে। এবং আমার কাছেও প্রচুর মানুষ পাস চেয়েছেন। কিন্তু আমি কোনওভাবে সেটা অ্য়ালাউ করিনি। কারণ আমি জানি যে, গুরুদাশ কলেজের প্রচুর ছেলেমেয়ে এবং প্রাক্তনী যারা রয়েছে তারাও আসবে। তো সেখানে ভিড় ছিলই। কিন্তু এরকমভাবে অতিরিক্ত মানুষ ওখানে ঢোকেননি, যার ফলে ওখানে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমার এটাই মনে হয়েছে, কারণ আমি কিন্তু পুরো অনুষ্ঠানেই ছিলাম।'
'ওনাকে দেখে আমার একটুও মনে হয়নি, উনি অসুস্থ, ঘাম হওয়া মানেই এসি বন্ধ নয়'
তিনি আরও বলেন, আমার শো শুরু হয়েছে, পৌনে তিনটে নাগাদ। আমার পরে সতীস গেয়েছেন, তারপর কেকে গেয়েছেন। আমার শোয়ের পর যখন সতীস গাইল, তারপর সাড়ে ৫ টা নাগাদ কেকে স্যার ঢুকলেন। তবে গাড়িতে বসে থাকাকালীনই কেকে স্যার বলছিলেন, ক্রাউড যদি না সরে আমি কিন্তু ঢুকবো না। কারণ কিছু ছেলেমেয়ে কিন্তু বাইরে প্রচন্ড ভীড় করেছিল। যাদেরকে কোনওভাবে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছিল না। ফুল প্রোটেকশন কলেজ এবং পুলিশ উভয় তরফেই নেওয়া হয়েছে। শারীরিক অসুস্থতা বা অস্বস্থি যদি উনি বোধ করতেন, তবে শোয়ে-র আগেই উনি গাইবেন না, সেটা জানাতেন। সেটা উনি করেননি। ওনাকে দেখে আমার একটুও মনে হয়নি। এমনকি ওনার একটা ধামাকাদার ইন্ট্রো হয়েছে। তো যখন আমরা অতো লাইটের সামনে থাকি, তখন প্রচন্ড তাপে ঘামতে থাকি।এবং উনিও ঘামতে ঘামতে সমানে ঘাম মুছছিলেন।এবং জলও খাচ্ছিলেন। কিন্তু ঘাম হওয়া মানে এই নয় যে, এসি চলছিল না। এসি কিন্তু চলছিল। আসলে গ্র্যান্ড হোটেলে ফিরে যাওয়ার পরে ঘটনাটা ঠিক কি ঘটেছিল, এবং উনি যে পড়ে গিয়েছিলেন, এটা আমি কলেজ মারফৎ জানতে পারি।
'একটা জিনিস ঘটেছে কিন্তু, সবারই বিষয়টি নিয়ে একটু ভাবা উচিত'
অপরদিকে, শুভালক্ষী দে বলেন,' একটা জিনিস ঘটেছে কিন্তু, অনেকেই কেকে-র শো শেষ হওয়ার পরেই হোটেলে গিয়েছেন। হোটেলে গিয়ে ওনার সঙ্গে সেলফি তোলা, ওনার সঙ্গে ছবি তোলা চলেছে। তো অত বড় একটা স্টেজ শোয়ের পরে, তখন কারওই ইচ্ছে করে না এগুলি করতে।' হেসে বলেন,' আমরা খুই ক্ষুদ্র শিল্পী। আমাদেরও শো করে আসার পরে ইচ্ছে করে না যে, ১০০ জনের সঙ্গে কথা বলি বা ১০০ টা সেলফি তুলি। তাহলে ওনার বা কীকরে ভালো লাগবে, উনি ব্য়াকটু ব্যাক দুদিন কলেজ শো করেছেন। তাই সেই সব দিক মিলিয়ে আমাদের সবারই বিষয়টি নিয়ে একটু ভাবা উচিত।'
আরও পড়ুন, 'পেয়ার কে পল'-সহ মোট ২০ টি গান, নজরুল মঞ্চে শেষ গানের কথা মিলিয়েই চিরঘুমের দেশে কেকে