১৮ বছরের বিবাহিত জীবন। তারপর বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিলেন দক্ষিণী সুপার স্টার (South Super star) ধনুষ (Dhanus)। রজনীকান্তের (Rajinikanth) কন্যার ঐশ্বর্যের (Aishwarya) সঙ্গে সেপারেশনের ঘোষণা করলেন ধনুষ। সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media)পোস্ট করে ঘোষণা।
ফের দক্ষিণী ছবিতে খারাপ খবর। দক্ষিণী ফ্লিম ইন্ডাস্ট্রিতে এখন শুধুই বিচ্ছেদের পালা। সম্প্রতি বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটেছে সুপারস্টার নাগা চৈতন্য ও সামান্থার। যেই খবর সামনে আসার হতবাক হয়েছিল অভিনয় জগত। এবার সেই রেশ কাটতে না কাটতেই আরও একটি বিবাহ বিচ্ছেদ। এবার নিজের বিবাহ বিবাহ বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করলেন দক্ষিণী সুপার স্টার (South Super star) ধনুষ (Dhanus)। দক্ষিণের সবথেকে বড় সুপার স্টার রজনীকান্তের (Rajinikanth) মেয়ে ঐশ্বর্যের (Aishwarya) সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করলেন ধনুষ। সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) পোস্ট করে নিজেদেল আলাদা হওয়ার খবর জানান তিনি। ১৮ বছর ধরে বিবাহত জীবনে থাকার পর আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ধনুষ ও ঐশ্বর্য।
ট্যুইটারে ধনুষের পোস্ট মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। সকলকেই অবাক করে ঘনুষ-ঐশ্বর্যের বিবাহ বিচ্ছেদে খবর। আলাদা হওয় জানানোর পাশাপাশি পোস্টের ধনুষ লিখেছেন,'৮ বছর ধরে বন্ধু, দম্পতি, অভিভাবক ও পরস্পরের শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে থেকেছি আমরা। বোঝাপড়া, এগিয়ে চলা এবং মানিয়ে নেওয়ার যাত্রাপথ পার করেছি। আজ আমরা যে জায়গায় দাঁড়িয়ে সেখান থেকে পথ আলাদা হয়ে গিয়েছে। ঐশ্বর্যা ও আমি বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আলাদা থেকে সময় নিয়ে নিজেদের চিনতে চাই আমাদের সিদ্ধান্তকে সম্মান দিন। ব্যক্তিগত পরিসরেই ব্যাপারটা নিয়ে ভাবতে চাই। ওম নমঃশিবায়।'তাদের মধ্যে কোনও সমস্যা ছিল কিনা সেই বিষয়ে কোনও উল্লেখ করেননি ধনুষ।
১৮ নভেম্বর ২০০৪ সালে রজনীতৃকান্তের কন্যা ঐশ্বর্যের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন ধনুষ। রজনীতকান্তের জামাই হওয়ার পর দক্ষিণী ছবির জগতে আলাদাই উচ্চতা পেয়েছিলেন ধনুষ। ঐশ্বর্য বিনোদন দুনিয়ার সঙ্গেই যুক্ত। একধারে তিনি গায়িতা একইসঙ্গে পরিচালনার কাজও করেন তিনি। প্রথম দিকে দাম্পত্য জীবনে সুখীই ছিলেন দুজনে। কিন্তু ১৮ বছর দাম্পত্য জীবনের পর এমন কী হল যে তারাল আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন সেই বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। রজনীকান্তও এই বিষয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। এই খবরে হতাশ ধনুষ ও ঐশ্বর্যের ফ্যানেরাও। তারপরও দুজনকে আগামি জীবনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ফ্যানেরা।