অ্যানা স্টেপানোভা। রাশিয়ান গার্ল। রাশিয়ার ঠিক কোথায় অ্যানা থাকে তা অবশ্য জানা যায়নি। কিন্তু এই রাশিয়ান কন্যার বাঙালি প্রেম সম্বন্ধে উঠে এসেছে নানান চমকপ্রদ তথ্য। ছোটবেলা থেকেই রাজপুত্রকে নিয়ে স্বপ্ন দেখত অ্যানা । কিছুই বুঝুক বা নাই বুঝুক ভারতীয় সিনেমার প্রতি তার ভালবাসা ছিল ছোট থেকেই । তবে ভারতীয় সিনেমার সবথেকে আকর্ষণীয় জিনিস যা তার মন কেড়েছিল তিনি হলেন মিঠুন চক্রবর্তী। রুশ কন্যার মনের মানুষ কীভাবে হয়ে উঠেছিলেন ডিস্কো ডান্সার তা জানলে সকলেই অবাক হবেন।
আরও পড়ুন-ছোট থেকেই মিঠুনের প্রেমে 'বোল্ড' এই রুশ সুন্দরী, থাকতে না পেরে চলেই এসেছেন ভারতে...
মিঠুনকে নিয়ে ভালবাসার লোকের অভাব নেই। কিন্তু সাত সমুদ্র তেরো নদী পেরিয়ে রাশিয়ান গার্লের স্বপ্নের পুরুষ হওয়া কিন্তু মুখের কথা নয়। মিঠুনের বিখ্যাত সিনেমা 'ডিস্কো ডান্সার' এর 'জিমি জিমি' গান শুনলেই তার মনের ভিতরের ভালবাসা যেন জেগে ওঠত। প্রথম যদিও তখন অ্যানা ছোট। কিন্তু বড় বড় সঙ্গে সঙ্গেও কোথায় যেন সেই জিমির প্রতি ভালবাসাটা আর দ্বিগুণ বেড়ে গিয়েছিল রুশ কন্যার। তার প্রেমে এতটাই পাগল ছিল আন্না যে তার ভালবাসার জন্য ভারতে ছুটে এসেছিল অ্যানা । তিনি এও জানিয়েছিলেন 'এমন পুরুষের ছবি দেখব, অথচ তার প্রেম পড়ব না'। ছবি দেখেই নিজেকে আর স্থির রাখতে পারেননি অ্যানা। মিঠুনের প্রেমের মায়াজালে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেছিলেন এই রুশ কন্যা।
আরও পড়ুন-লকডাউনে শ্রাবন্তীর ডায়েরি, কীভাবে সময় কাটাচ্ছেন অভিনেত্রী...
তবে অ্যানা একা নন, অ্যানার মায়েরও ক্রাশ ছিলেন ডিস্কো ডান্সার। তিনিও হিন্দি ছবি দেখতে ভীষণ পছন্দ করতেন। আর মায়ের হাত ধরেই মিঠুনেপ প্রেমে পড়েন অ্যানা। রাশিয়ায় যখন ডিস্কো ডান্সার মুক্তি পায় তখন অ্যানার জন্মও হয়নি। তখন তার মা যুবতী ছিলেন । আর তখন থেকেই তার মা পাগলপারা ছিলেন মিঠুনের প্রেমে। কিন্তু জন্মের পর থেকেই মিঠুনের জিমি জিমি গানেই তার মনে জায়গা করে নেন মিঠুন। ২০১৮ সালে প্রথম মিঠুনকে নিয়ে তার আবেদ প্রকাশ্যে আনেন অ্যানা। কোরা নামের একটি সাইটে তিনি প্রথম জানান তার মনের কথা। কেন মিঠুন চক্রবর্তী রাশিয়াতে এত বিখ্যাত, মিঠুনের উপর তার মায়ের ক্রাশ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য,এবং পারিবারিক উত্তরাধিকারসূত্রেই অ্যানা যে মিঠুন প্রেমিক হয়ে উঠেছে, সেই সমস্ত কথা তিনি তুলে ধরেছিলেন। তবে এখানেই শেষ নয়, অ্যানা আরও জানিয়েছিলেন রাশিয়াতে ভারতীয় সিনেমায় আন্তর্জাতিক ফ্রেম পেয়েছিলেন আরও একজন। তিনি হলেন রাজ কাপুর। এখনও পর্যন্ত রাশিয়ায় সর্বাধিক দেখা বিদেশী চলচ্চিত্রের তালিকায় অষ্টম স্থানে রয়েছে মিঠুনের 'ডিস্কো ড্যান্সার' সিনেমাটি।
বর্তমানে অ্যানার বয়স ৩২- ৩৫ এর মধ্যে। এখনও মিঠুনের প্রেমে হাবুডবু খাচ্ছেন এই রুশ সুন্দরী। এভাবেই মিঠুনের প্রতি ভালবাসা থেকেই ভারতে পাড়ি অ্যানার। তারপর এখানকার বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চপাঠ নেওয়া। মিঠুনের প্রতি ভালবাসা থেকে নিজেকে ভারতীয় বলে দাবিও করেছেন অ্যানা। তার ইনস্টাপোস্ট দেখলেই প্রমাণ মেলে তিনি সত্যিই নিজেকে ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে কতটা মিশিয়ে দিয়েছেন। এবং বাঙালি সংস্কৃতি ও সাহিত্যের খুব কাছাকাছি ছিলেন অ্যানা। অ্যানার ইনস্টা পোস্ট খুললেই নজরে পড়ে বাংলা সাহিত্যের দুই দুর্দান্ত সাহিত্যিক লীলা মজুমদার এবং সুকুমার রায়কে। উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী কন্যা, যিনি শিশুসাহিত্য, ভ্রমণকাহিনী, সামাজিক গল্প লেখার জন্য পরিচিত এবং বিশ্বসাহিত্যের ইতিহাসে দুর্দান্ত ব্যঙ্গ লেখক সুকুমার রায়কেও দেখা গিয়েছে তার ইন্সটা পোস্টে। তাদের লেখা পড়তে পড়তেই তিনি নিজেকে মনের দিক থেকে ভারতীয় বলে ভাবতেও শুরু করেন।
আরও পড়ুন-করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৩২৮, ৯হাজার তাবলিগী জামাত চিহ্নিত, পাঠান হল কোয়ারেন্টাইনে...
আরও পড়ুন-করোনা যুদ্ধ জিততে দেশবাসীকে উপহার ভারত সরকারের, অ্যাপ দিয়েই এবার খোঁজ মিলবে আক্রান্তের...