পুদিনা পাতা খুবই উপকারী। এই পাতা রোজ যদি খাওয়া যায় তাহলে অনেক উপকার পাবেন।
পুদিনা পাতা- খাবার বা সরবতে স্বাদ আর সুগন্ধ বাড়াতে পারে। কিন্তু এটি শুধু খাবারের জন্য নয়। এই পাতা ওষুধ তৈরিতেও কাজ করে। পাতার গুণ অনেক। আর এই পাতা যদি গরমকালে প্রতিদিন একটু করে খেতে পারেন তাহলে ফল পাবেন দ্রুত।
বিশেষজ্ঞদের কথায় পুদিনা পাতার পনিফেনল থাকা- যা পেটের গোলমাল সারিয়ে দেয়। অন্যদিকে এই পাতা থাকে ক্যালরি, প্রোটিন আর ফ্যাট কমাতে পারে দ্রুত। পুদিনা পাতাতে ভিটামিন এ, সি আর বি থাকে। যা আপনার ত্বক থেকে চুলের যত্নের জন্য অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। পুদিনা পাতায় আয়রন ও খনিজ লবণ থাকে যা হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়। একই সঙ্গে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
পুদিনা পাতার উপকারিতা-
হজমের সহায়ক-
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট , মেন্থল আর ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট থাকা। এগুলি হজমের জন্য প্রয়োজনীয় এনজাইম তৈরি করে। পুদিনা পাতা পাকস্থলি ঠান্ডা করতে সাহায্য করে।
হাঁপানি কমায়- পুদিনা পাতা যদি নিত্যদিন খাওয়া যায় তাহলে সর্দিকাশি কম হয়। এই পাতা ফুসফুসে আটকে থাকা মিউকাস সারাতে পারে। শ্বাসকষ্টের সমস্যা অনেকটাই সারিয়ে দিতে পারে।
মাথা ব্যাথা- পুদিনা পাতা পেশি শিথিল করে। পাতার নির্যাস থেকে তৈরি মলম মাথা যন্ত্রণা সারাতে সাহায্য করে। মলম ব্যবহার করতে না চাইলে পুদিনা পাতার রস মাথায় মাথায় মেখে নিয়ে সুফল পাবেন।
স্বস্তি আনে- পুদিনা পাতার সুগন্ধ মানসিক চাপ কমাতে পারে। যা মানসিক চাপ কমাতে পারে। রক্টের কর্টিসেল হরমোনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনে। পুদিনা পাতার এসেন্সিয়াল অয়েলের ঘ্রাণ রক্তে সেরোটনিন হরমোন নিঃসরণ করতে পারে। এটি মানসিক অস্থিরতা কমিয়ে দেয়।
ত্বকের যত্ন- ত্বকে জ্বালা আর জাবাণু নাশ করতে পুদিনা পাতা অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই পাতা বেটে মুখে মাখলে ব্রণ ফুঁসকুড়ি আর জ্বালা থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
দাঁত আর মাড়ির যত্ন- পুদিনা পাতা মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে পারে। পুদিনা পাতার নির্যাস মাউথ ফ্রেসনারের কাজ করে। পাশাপাশি জীবাণু ধ্বংস করতে পারে। মাড়ি শক্তি করে।
স্মৃতি শক্তি বাড়ায়- পুদিনা পাতার মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে পারে। রোজ দুটি করে পুদিনা পাতা খেলে স্মৃতি শক্তি বাড়ে।
ওজন কমায়- পুদিনা পাতার এসেন্সিয়াল অয়েল হজম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এই পাতা ওজন নিয়ন্ত্রণে আনে। আর পুষ্টির চাহিদা পুরণ করে।
এছাড়াও পুদিনা সর্দিকাশি, নাক বন্ধ, এজাতীয় সিজিনাল রোগও সারিয়ে দিতে পারে।