
শীতকাল প্রায় সবাই পছন্দ করে। খাবার থেকে পানীয় পর্যন্ত ভ্রমণের জন্য শীতকালকে সেরা বলে মনে করা হয়। এই মৌসুমে যেখানে অলসতা থাকে সেখানে খাবারের চাহিদাও অনেক বেড়ে যায়। শীতের মৌসুমে আমরা প্রায় সবাই অল্প বিস্তর ভাজা জিনিস খেতে পছন্দ করি। তবে প্রায়শই এমন হয় যে ঠান্ডা ঋতুতে অতিরিক্ত খাওয়া স্বাস্থ্যের সমস্যার সৃষ্টি করে, যার মধ্যে পেট সম্পর্কিত অনেক সমস্যাও দেখা দেয়।
এর কারণও বেশি তেলযুক্ত জিনিস খাওয়া, অতিরিক্ত তেল খাওয়া স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি করতে পারে, তাই সবাই কম তেল খাওয়ার পরামর্শ দেন। অতিরিক্ত তেল খাওয়া হার্টসহ অনেক রোগের জন্য বিপজ্জনক। এই কারণেই সব সময় বুদ্ধিমানের সঙ্গে রান্নার তেল বেছে নিন। এমন পরিস্থিতিতে, আজ আমরা আপনাকে সেই রান্নার তেলগুলি সম্পর্কে বলব যা আপনার খাবারে ব্যবহার করা উচিত-
এই রান্নার তেলগুলি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী বলে মনে করা হয়:
১) অলিভ অয়েল
অলিভ অয়েল স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। এই তেলে ভিটামিন-ই, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট ইত্যাদির গুণাগুণ পাওয়া যায়, যা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়া এই তেল খেলে চর্বিও কম বাড়ে।
২) সরিষার তেল
ভারতীয় রান্নাঘরে বহু বছর ধরে সরিষার তেল ব্যবহৃত হয়ে আসছে। গ্রাম হোক বা শহর, খাঁটি সরিষার তেল খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। সরিষার তেলে অনেক উপকারী উপাদান পাওয়া যায় যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী।আসুন আপনাদের জানাই যে সরিষার তেলের প্রভাব গরম, তাই শীতকালে এর ব্যবহার উপকারী।
৩) তিলের তেল
তিলের তেল খেতেও স্বাস্থ্যকর। তবে এই তেল শুধুমাত্র শীত মৌসুমেই খাবার রান্নায় ব্যবহার করা হয়। তিলের তেলের অনেক ধরনের রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতাও রয়েছে। রক্তশূন্যতার সমস্যা প্রতিরোধে এই তেল ব্যবহার করা যায়।
৪) তিসির তেল
ফ্ল্যাক্সসিড তেলও অনেক পুষ্টিগুণে ভরপুর। আসল তেলে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। এই খাঁটি তেলকে খাবারে অন্তর্ভুক্ত করলে আপনি নিজেই নানাভাবে উপকৃত হতে পারেন।
৫) সূর্যমুখী তেল
সূর্যমুখী তেল স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী।আহারে সূর্যমুখী তেল অন্তর্ভুক্ত করলে ব্লাড সুগার, কোলেস্টেরল ও স্থূলতার মতো সমস্যা নিজে থেকেই দূর হতে পারে। এই তেলে ক্যালরির পরিমাণ খুবই কম পাওয়া যায়, যা ওজন কমাতে সহায়ক।
আরও পড়ুন: দীর্ঘদিন ধরে চলা কাশির সমস্যা হতে পারে হাঁপানির লক্ষণ, জেনে নিন রোগের উপসর্গ