এফ.এ কাপের সেমিতে ঘটলো অঘটন। কয়েকদিন আগেও যেই আর্সেনাল লিগে ফর্ম হাতড়ে বেড়াচ্ছিল তারাই প্রথম সেমিফাইনালে হারিয়ে দিল গতবারের চ্যাম্পিয়নদের। ৮০০-এরও বেশি দিন পর ঘরোয়া কাপ প্রতিযোগিতায় কোনও ম্যাচ হারলো পেপ গুয়ার্দিওয়ালার ম্যানচেস্টার সিটি। চলতি মরশুম-টা এমনিতেও ভালো যাচ্ছে না সিটির। গত মরশুমে ইংলিশ ফুটবলে রাজত্ব করা ম্যান সিটি এখনও অবধি এই মরশুমে কেবলমাত্র একটি ট্রফি জিতেছে। যদিও এখনও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দৌড়ে রয়েছে তারা।
আরও পড়ুনঃএক অন্য করোনা যোদ্ধার কাহিনি তুলে ধরলেন ভিভিএস লক্ষ্মণ
এই মরশুমটা একেবারেই ভালো যাচ্ছিল না আর্সেনালের। নতুন ম্যানেজার মিখায়েল আর্তাতে আসার পর কিছুটা আশার আলো দেখলেও ধারাবাহিকতা দেখাতে ব্যর্থ হয়েছিল আর্সেনাল। গোল করার ক্ষেত্রে একা আউবামইয়ংয়ের মুখাপেক্ষী হয়ে বসে থাকতে হচ্ছিল তাদের। ডিফেন্সে একেবারেই ছন্দে ছিল না দাভিদ লুইজ, মুস্তাফি-রা। সেই জায়গা থেকে ২ সপ্তাহ আগে উলভস এবং গত সপ্তাহে লিভারপুলের মতো দলকে হারিয়েছিল তারা। যদিও তা সত্ত্বেও কোন আর্সেনাল ভক্ত হয়তো স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি যে কয়েকদিন আগে যে দলের কাছে ৩-০ গোলে হারতে হয়েছিল তাদেরকে ২-০ গোলে হারিয়ে এফ.এ কাপ ফাইনালে উঠবে গানার্স-রা।
আরও পড়ুনঃমেসির সঙ্গে দূরত্বের কথা মানছেন না বার্সা কোচ, রটনা বলে উড়িয়ে দিলেন কিকে
ম্যাচের শুরু থেকে প্রত্যাশামতোই বলের দখল ছিল গুয়ার্দিওয়ালার দলের। বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করেও গোল করতে ব্যর্থ হন তারা। প্রথমার্ধে গোল লক্ষ্য করে মোট ৭ টি শট নিয়েছিল সিটি। কিন্তু একটি শটেও লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি তারা। উল্টে নিকোলাস পেপে-র অসাধারণ পাস থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন আউবামইয়ং। দ্বিতীয়ার্ধে চাপ বাড়ায় সিটি। মুহুর্মুহু আক্রমণে আর্সেনাল রক্ষণে হানা দিতে থাকে। কিন্তু নিজেদের যাবতীয় ব্যর্থতার স্মৃতি ভুলিয়ে অসাধারণ পারফরম্যান্স করেন আর্সেনালের লুইজ-মুস্তাফি সেন্টার ব্যাক জুটি। সেই সঙ্গে বাঁ-দিক দিয়ে মেইটল্যান্ড নেইলস-এর নেতৃত্বে প্রতিআক্রমণ বার বার কাঁপিয়ে দিয়ে যেতে থাকে সিটিকে। ৭১ মিনিটে কিয়ারেন তীর্নেই-এর অসাধারণ বাড়ানো বল থেকে গোল করে ব্যাবধান বাড়িয়ে যান সেই আউবামইয়ং-ই। এরপর অনেক চেষ্টা করেও ম্যাচে ফিরতে পারেনি ম্যান সিটি। কেভিন দি ব্রুইন ছাড়া ম্যান সিটি আক্রমণভাগে সবাই ছিল নিষ্ক্রিয়।