যুবভারতীরে ম্যাচ যেন মনে করিয়ে দিচ্ছিল গত মাসের ভারত কাতার ম্যাচকে। কঠিন প্রতিপক্ষকে অধৈর্য করে বাজি মাতের চেষ্টা করেছিল ইগর স্টিমাচের ভারত। মঙ্গলবার যুবভারতীতে ঠিক যেন সেটাই করল বাংলাদেশ। খেলার শুরু থেকে ভারতীয় মাঝমাঠকে ছন্দে আসার সুযোগ দিল না বাংলাদেশ। মাঝ মাঠে একাধিক ডিফেন্সিভ ব্লকার রেখে সুনীলদের বিরক্ত করে গেলে বাংলাদশের। প্রথম গোল করার চেষ্ঠার মাঝেই গোল হজম করতে হল ভারতকে। তবে ম্যাচের শেষ দিকে আদিল খান মান বাঁচালেন।
আরও পড়ুন - শহরে ফিরলেন মহারাজ, আবেগে, ভালোবাসায় সৌরভকে স্বাগত জানাল কলকাতা
কলকাতার মাঠের সঙ্গে গুরপ্রীত সিং সান্ধুর সম্পর্কটা একই রকম রয়ে গেল। যুবভারতীতে এদিনও গুরপ্রীতের দোষেই গোল হজম করতে হল ভারতীয় ডিফেন্সকে। সাদ উদ্দীন প্রথমার্ধের শেষ দিকে খেলার গতির বিরুদ্ধেই গোল করল বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ার্ধে সেই গোল শোধ করতে মরিয়া হয়ে ওঠেন সুনীলরা। সেই সুযোগে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করে বাংলাদেশও। কিন্তু আদিল খানের নেতৃত্বে ভারতীয় ডিফেন্স সেই ঝড় সামাল দেয়। আর শেষ মুহূর্তে এসে জাতীয় দলের জার্সিতে আদিল খানের প্রথম গোলে মান বাঁচল ব্লু টাইগার্সদের।
আরও পড়ুন - বোর্ড সভাপতি সৌরভ, প্রাক্তন অধিনায়ককে শুভেচ্ছা লক্ষণ শেহওয়াগের
কলকাতা ভারতীয় ফুটবলের মক্কা। মঙ্গলবারের ম্যাচে হাউস ফুল যুবভারতী দেখতে চেয়েছিলেন ভারতীয় দলের কোচ ইগর স্টিমাচ। সবে পুজোর উন্মাদনা থেকে বেড়িয়ে আসা কলকাতা স্টিমাচের ইচ্ছে পূরণ করল। কিন্তু কলকাতা যে ভারতীয় দলের কাছে একটা জয় দেখতে চয়েছিল। সেটা যে হল না। খেলা শেষে ইগর মেনে নিলেন, সব তাঁদের পক্ষে ছিল, কিন্তু খেলার ফলটাই শুধু পক্ষে এল না। বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে তিনটে ম্যাচ খেলা হয়ে গেল ব্লু টাইগার্সদের। একটি হার, দুটি ড্র। তিন ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপে তৃতীয় স্থানে ভারত।
আরও পড়ুন - পাকিস্তানে যেতে চান না তাঁরা, খেলোয়াড়দের চিঠি দেশের টেনিস সংস্থাকে