ব্যালন ডিঅর (Ballon Dor) না পাওয়ায় হতাশ হয়েছিলেন রবার্ট লেওয়নডস্কি (Robert Lewandowski)। এবার ফিফার (Fifa)বর্ষসেরা ফুটবলার বায়ার্ন মিউনিখ (Bayern Munich)। মেসিকে (Mesi)পেছোনে ফেলে এই অ্যাওয়ার্ড পাওয়ায় উচ্ছ্বসিত পোলিশ স্ট্রাইকার।
২০২১ মরসুমে অনবদ্য পারফরম্যান্সের পর ব্যালন ডিঅর (Ballon Dor) জিতবেন বলে আশা করেছিলেন পোলিশ স্ট্রাইকার রবার্ট লেওনডস্কি (Robert Lewandowski)। কিন্তু ফরাসী সংস্থার পক্ষ থেকে সপ্তমবারের জন্য সেই পুরষ্কার তুলে দেওয়া হয় আর্জেন্টাইন তারকা ও বর্তমানে ফরাসী ক্লাব পিএসজি তারকা লিওনেল মেসির (Lionel Messi)হাতে। যা নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি। বেশির ভাগ ফুটবল বিশেষজ্ঞরাই মনে করেছিলেন এবারের ব্যালনের যোগ্য ব্যক্তি ছিলেন বায়ার্ন মিউনিখ (Bayern Munich) তারকা। ব্যালন না পাওয়ায় কিছুটা হতাশও হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু অবশেষে সেই ক্ষতে পড়ল প্রলেপ। ২০২১ মরসুমের ফিফার সেরা ফুটবলার (Fifa Best Player Of The Year) নির্বাচিত হলেন রবার্ট লেওনডস্কি। ফিফার তরফ থেকে এই সম্মান পেয়ে উচ্ছ্বসিত পোলিশ স্ট্রাইকার।
এবার ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলার হওয়ার দৌড়ে রবার্ট লেওনডস্কির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় ছিলেন লিওনেল মেসি ও মহম্মদ সালহা। অবশেষে মেসিকে পেছনে সেই শিরোপা জিতে স্বপ্নপূরণ করলেন লেওনডস্কি। তার নাম ঘোষণার পর আবেগে ভেসে যান বায়ার্ন মিউনিখ স্ট্রাইকার। ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলার হওয়ার পর রবার্ট লেওনডস্কি বলেছেন, 'এটা আমার কাছে স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে। প্রথমেই ধন্যবাদ জানাতে চাই পোলান্ড জাতীয় দলের সমস্ত সতীর্থকে, যারা না থাকলে আমি এই উচ্চতায় পৌঁছতে পারতাম না। তার পরে ধন্যবাদ জানাব বায়ার্ন মিউনিখ দলের ফুটবলার এবং সাপোর্ট স্টাফকে, যাঁরা আমাকে আরও ক্ষুরধার করে তুলেছেন।'ব.স খুব শীঘ্রই ৩৭ হলেও আগামী দিনেও এমন ক্ষিপ্রতার সঙ্গে গোল করতে ও ফর্ম ধরে রাখার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী লেওনডস্কি।
ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলার ছাড়াও এদিনের অনুষ্ঠানে আরও একাধিক পুরষ্কার দেওয়া হয়েছে। মহিলা বিভাগে বর্ষসেরা হলেন বার্সেলোনার আলেক্সিয়া পুতেয়াস, যিনি ব্যালন ডি'ওর-ও পেয়েছেন। বিশেষ ট্রফি দেওয়া হয়েছে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে। ফিফার বর্ষসেরা পুরুষ গোলরক্ষক হয়েছে এডুয়ার্ড মেন্ডি। বর্ষসেরা মহিলা গোলরক্ষক হয়েছেন ক্রিস্টিয়ান এন্ডলার। বছরের সেরা ম্যানেজারের পুরস্কার পেয়েছেন চেলসির থমাস টুচেল। ফিফার বর্ষসেরা সেরা মহিলা কোচের তকমা দেওয়া হয়েছে এমা হায়েসকে। ফিফার ফেয়ার প্লে অ্য়াওয়ার্ড পেয়েছে ডেনমার্কের জাতীয় ফুটবল দল। এছাড়া ফিফার তরফ থেকে পুস্কাস অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে এরিক লামেলাকে।