
প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৪-১ গোলে হারতে হয়েছিল বেলজিয়ামকে। উয়েফা নেশনস লিগের শুরুতেই জোর ধাক্কা খেতে হয়েছিল রবের্তো মার্টিনেজের দলকে। ম্যাচ হারের পর বেলজিয়াম কোচ বলেছিলেন 'এটাই দরকার ছিল'। যা নিয়ে বিতর্কও হয়। কিন্তু কেন তিনি এই কথা বলেছিলেন তা প্রমাণ হয়ে গেল পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্য়াচে। ডাচদের বিরুদ্ধে হার থেকে শিক্ষা নিয়ে ঘুড়ে দাঁড়িয়ে পোল্যান্ডকে গোলের মালা পড়াল বেলজিয়াম। লেওনডস্কির দলকে হাফ ডজন গো দিল কেভিন ডি ব্রুইনরা। খেলার প্রথমে লেওনডস্কির গোলে এগিয়ে গিয়েছিল পোল্যান্ড। তারপর গোটা ম্যাচ জুড়েই শুধু বেলজিয়াম ঝড়। ম্যাচে জোড়া গোল করলেন লিন্ড্রো ট্রোসার্ড। একটি করে গোল দেন অ্যাক্সেল উইটসেল, কেভিন ডি ব্রুইন, লিন্ডার ডেনডনকার, লইস ওপেন্ডা।
এদিন ম্য়াচে ৩-৪-৩ ছকে দল সাজিয়েছিলেন বেলজিয়াম কোচ রবের্তো মার্টিনেজ। অপরদিকে ৪-৫-১ ছকে দল সাজিয়েছিলেন পোল্যান্ড কোচ চেসলো মেহনিউজ। ফলে ফর্মেশন দেখেই প্রামণিত আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলার পরিকল্পনা নিয়েই দল সাজিয়েছিলেন মার্টিনেজ। ম্য়াচের শুরু থেকেই একের পর এক আক্রমণ গড়ে তোলে বেলজিয়াম মাঝমাঠ ও অ্যাটাকিং লাইন। যা সামলাতে পোল্যান্ড রক্ষণকে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়। পোল্যান্ড গোলরক্ষক ড্র্যাগোস্কি শুরু থেকেই একের পর এক সেভ করেন। কবে ম্যাচের ২৮ মিনিটে একটি কাউন্টার অ্যাটাক থেকে গোলের মুখ খুলে ফেলে পোল্যান্ড। লেওনডস্কি গোল করে এগিয়ে দেন দলকে। গোল হজম করে আক্রমণের ঝড় তোলে বেলজিয়াম। যার ফল মেলে ম্যাচের ৪২ মিনিটে। উইটসেল একটি দূর পাল্লার বুলেট গতির শট করে বল জালে জড়েয়ি দেন। ১-১ সমতাতেই শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।
দ্বিতীয়ার্ধে আরও বেশি সংগঠিতভাবেআক্রমণ শুরু করে বেলজিয়াম। ম্যাচে ফেরার আর কোনও সুযোগই দেয়নি পোল্যান্ড। দ্বিতীয়ার্ধে ৫ গোল করে রবের্তো মার্টিনেজের দল। ম্য়াচের ৫৯ মিনিটে গোল করে দলকে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন কেভিন ডি ব্রুইন। এরপর ম্য়াচের ৭৩ ও ৮০ মিনিটে পরপর দুটি গোল করেন লিন্ড্রো ট্রোসার্ড। যার মধ্যে দ্বিতীয় গোলটি বিশ্বমানের। তার ঠিক ৩ মিনিটের মধ্যেই আরও একটি গোল পায় বেলজিয়াম। দূরপাল্লার শট থেকে দূরন্ত গোল করে দলের ব্যবধান ৫-১ করেন লিন্ডার ডেনডনকার। এরপর ম্য়াচের নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষে ইনজুরি টাইমের ৯৩ মিনিট খেলা চলাকালীন বেলজিয়ামের কফিনে শেষ পেরেকটি পোতেন লইস ওপেন্ডা। ৬-১ ব্যববধানে জয়ের ফলে লিগ টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল বেলজিয়াম।