একদিকে ২১ জুলাই উপলক্ষ্যে ভার্চুয়াল সভা থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দাগছেন রাজ্যর মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে বিজেপির জামানত বাজেয়াপ্ত করার হুঙ্কার দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। বরাবরের মতই বিজেপির নামের সঙ্গে জুড়ে দিচ্ছেন সাম্প্রদায়িক তকমা। ঠিক তখনই হয়তো পরিকল্পনা মাফিক মাস্টার স্ট্রোকটা দিল রাজ্য বিজেপি। বিজেপির বিরুদ্ধে ধর্মের নামে রাজনীতির যে অভিযোগ ভার্চুয়াল সভা থেকে করছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাকে হাতেগরম জবাব দিতে দুপুরেই বিজেপিতে যোগ দান করলেন প্রাক্তন ফুটবলার মেহতাব হোসেন।
আরও পড়ুনঃঅ্যাবরড মেরিনার্সদের অভিনব উদ্যোগ, ২৫ জুলাই অনলাইনে মোহনবাগানের আইলিগ জয়ের সেলিব্রেশন
করোনা আবহে রাজ্যের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে মেহতাবের পদ্মশিবিরে যোগ দান বড় চমক বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। মঙ্গলবার ষষ্ঠী দুলের সঙ্গে বিজেপি অফিস পৌঁছান মেহতাব। যিনি নিজেও বিজেপির হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। সেখানেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ মেহতাবকে গেরুয়া শিবিরে স্বাগত জানান। উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারও। প্রাক্তন ফুটবলার বলেন,'অনেকদিন ধরেই সাধারণ মানুষের জন্য কিছু করতে চাইছিলাম। কিন্তু তার জন্য যে রাজনীতিতে যোগ দেওয়াটা জরুরি, সেটা অনুভব করি। সেই জন্যই এই ময়দানে পা রাখলাম।' মেহতাব ছাড়াও এদিন বিজেপিতে যোগ দেন সমাজের বিভিন্ন স্তরের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
আরও পড়ুনঃআইপিএল নিয়ে ফের নয়া সমস্যায় পড়ল বিসিসিআই
আরও পড়ুনঃ৭ টি পিচিচি ট্রফি জিতে অনন্য নজির মেসির, জেনে নিন প্রত্যেকটির বিস্তারিত
বিজেপির ধর্মের নামে রাজনীতি করার অভিযোগও খন্ডন করেছেন মেহতাব হোসেন। তিনি বলেছেন,'আমার মনে হয় না ধর্মের নামে বিজেপি রাজনীতি করে। তাহলে তো ওরা আমাকে দলে স্বাগতই জানাত না। আমার মতে বিজেপি ধর্মনিরপেক্ষ দল। তাই এই দলে যোগ দিতে পেরে ভালই লাগছে।' আপাতত নিজের এলাকা বারুইপুর থেকেই মানুষের জন্য কাজ করতে চান মেহতাব হোসেন। নিজের ফুটবল কেরিয়ারে ইষ্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান দুই দলেই খেলেছেন মেহতাব। সামলেছেন অধিনায়কের দায়িত্বও। দেশের হয়েও প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। ফুটবলের ময়দানে নিজের দক্ষতার মাধ্যমে মানুষের মন জয় করেছেন মেহতাব। এবার রাজনীতির আঙিনাতেও মানুষের সেবা করে নিজেকে প্রমাণ করতে মরিয়া প্রাক্তন ফুটবল তারকা।