তার পাস থেকে করা মারিও গোৎজের গোলেই বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন ভেঙে খানখান হয়েছিল লিও মেসির। ২০১৪ বিশ্বকাপ ফাইনালে অতিরিক্ত সময়ের খেলায় তার ঠিকানা লেখা ক্রসের জন্যই কেঁদেছিলেন বিশ্ব জুড়ে আর্জেন্টিনা ভক্তরা। ফাইনালে জার্মানির জয়ের প্রথম নায়ক যদি মারিও গোৎজে হয়,তাহলে দ্বিতীয় নায়কের নাম আন্দ্রে শুরলে। ক্লাব ফুটবলেও দাপটের সঙ্গে খেলেছেন শুরলে। কিন্তু মাত্র ২৯ বছর বয়সেই ফুটবলকে বিদায় জানালেন জার্মান তারকা। শুরলের বুট জোরা তুলে রাখার খবরে হতবাক ফুটবল বিশ্ব।
আরও পড়ুনঃমেসির সঙ্গে দূরত্বের কথা মানছেন না বার্সা কোচ, রটনা বলে উড়িয়ে দিলেন কিকে
২০১৪ বিশ্বকাপে শুধু আর্জেন্টিনাকে কাঁদিয়েছিলেন শুরলে তা নয়। অপর লাতিন আমেরিকান শক্তি ও ২০১৪ বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ ব্রাজিল বধেরও অন্যতম কাণ্ডারি ছিলেন আন্দ্রে শুরলে। সেমি ফাইনালে ব্রাজিলকে যে ৭-১ গোলের লজ্জার হার উপহার দিয়েছিল জার্মানি, তাতে ২টি গোল করেছিলেন শুরলে। কিন্তু সকলের প্রশ্ন মাত্র ২৯ বছর বয়সে কেন অবসর ঘোষণা করলেন শুরলে? ২৯ বছর মানে একজন ফুটবলারের কেরিয়ারের সেরা সময়। জানা গিয়েছে, দীর্ঘ দিন ধরে চোট আঘাতে ভুগছিলেন শুরলে। কোনওভাবই চোট সমস্য থেকে বেরিয়ে আসতে পারছিলেন না এই জার্মান উইঙ্গার। ফলে একপ্রকার বাধ্য হয়েই এই কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আন্দ্রে শুরলে।
আরও পড়ুনঃক্রমশ উজ্জ্বল হচ্ছে সম্ভাবনা, আইপিএলের প্রস্তুতি শুরু করে দিল ফ্র্যাঞ্চাইজি দলগুলি
আরও পড়ুনঃআর ফাঁকা মাঠ নয়,আগামী সপ্তাহ থেকেই মাঠে বসে খেলা দেখবেন দর্শকরা
জার্মানির হয়ে ৫৭ ম্যাচে ২২ গোল করেছেন। ক্লাব ফুটবলে বায়ার্ন লেবারকুসেন, চেলসি ও বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের মতো দলে খেলেছেন। চেলসির হয়ে ২০১৫ মরশুমে তিনি লিগ শিরোপাও জিতেছেন। ডর্টমুন্ডের সঙ্গে তাঁর আরও এক বছরের চুক্তি ছিল। কিন্তু সেটা দুপক্ষের সমঝোতায় বাতিল হয়েছে। ইউরোপের শীর্ষ লিগে ২৮৮টি ম্যাচ খেলেছেন শুরলে। তার গোল সংখ্যা ৬৯টি। আগামি বিশ্বকাপেও শুরলেকে দেখবেন ভেবেছিলেন সকলে। শুরলের ফুটবলকে বিদায় জানানোয় হতাশ জার্মান সমর্থকরা। হতাশ বিশ্ব জুড়ে ফুটবল প্রেমিরাও। তার আগামি জীবন সুখের হোক বলে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন সকলে।