বিশ্ব জুড়ে ব্যাপক জনপ্রিয় বিচ ফুটবল (Beach Football) বা বিচ সকার (Beach Soccer)। ফিফা (Fifa)প্রতি ২ বছর অন্তর আয়োজন করে বিচ সকার বিশ্বকাপও (World Cup)। এবার আইএফএ-র (IFA) উদ্যোগে বাংলার (Bengal)হতে চলেছে বিচ ফুটবল।
বাংলার হারিয়ে যাওয়া ফুটবল গৌরব পুনরুদ্ধারের প্রয়াসে একাধিক নিত্য় নতুন পদক্ষেপ নিচ্ছে আইএফএ (IFA)। শহর থেকে গ্রাম, পাহাড় থেকে জঙ্গল ফুটবলের (Football) প্রসারে ও নতুন প্রতিভা সন্ধানে শুরু হয়েছে একাধিক প্রতিযোগিতা। পাহাড়ে ফুটবলের উন্নতির জন্য শুরু হয়েছে উত্তরবঙ্গ কাপ। যা ইতিমধ্যেই অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এছাড়া রয়েছে জঙ্গলমহল কাপ, আন্তঃ জেলা লিগ,কন্যাশ্রী কাপ সহ একাধিক প্রতিযোগিতা। যা খোঁজ দিচ্ছে একাধিক প্রতিভার। এবার ফুটবলকে সমুদ্র সৈকতে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে আইএফএ। হ্যা,সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে এবার সমুদ্রে সৈকতে দেখা যাবে শৈল্পিক ফুটবল। যার নাম বিচ ফুটবল (Beach Football)। ইতিমধ্যেই কাজও শুরু করে দিয়েছে বাংলার ফুটবল সংস্থা। আইএফএ-র উদ্যোগে বাংলায় বিচ ফুটবলের প্রচলন করতে পারলে তা এক অভিনব পদক্ষেপ হবে বলেই মনে করছেন ফুটবল বিশেষজ্ঞরা।
ফুটবলের এই নতুন ফর্ম্যাটের নিয়মাবলী, মাঠের আকার, রেফারির সঙ্গে আলোচনা, কোথায় করা হবে এই প্রতিযোগিতা এছাড়াও একাধিক বিষয় নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করে দিয়েছে বাংলার ফুটবল সংস্থা। প্রাথমিকভাবে আইএফএ সূত্রে যা খবর, বকখালিকেই প্রতিযোগিতা ভেন্যু হিসেবে ঠিক করা হয়েছে। বকখালি দিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু হলেও, পরের দিকে দিঘা, তাজপুর সহ একাধিক সমুদ্র সৈকতে এই প্রতিযোগিতা প্রসার করাপ ইচ্ছ রয়েছে আইএফএর। প্রতিযোগিতার ফর্ম্যাট বা দল নিয়ে এখনও সেইভাবে কোনও কাজ শুরু না হলেও, প্রাথমিকভাব ভাবা হয়েছে স্থানীয় ফুটবলারদের প্রাধান্য দেওয়া হবে প্লেয়ার হিসেবে। তবে কিছু চমক রাখার ইচ্ছেও রয়েছে বাংলার ফুটবল সংস্থার। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে নতুন বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে আয়োজন করা হবে বাংলায় বিচ ফুটবলের প্রথম প্রতিযোগিতার।
প্রসঙ্গত, বাংলা তথা ভারতে সমুদ্র সৈকতে ফুটবল অর্থাৎ বিচ ফুটবলের খুব একটা প্রচলন বা জনপ্রিয়তা নেই। তবে বিশ্ব জুড়ে বিচ ফুটবলের জনপ্রিয়তা ব্যাপক। বিশ্বের বিভিন্ন নামী প্রাক্তন ফুটবলাররাও খেলেন বিচ ফুটবল। বিশ্ব জুড়ে এই বিচ ফুটবল বেশি জনপ্রিয় বিচ সকার (Beach Soccer) হিসেবে। ইতিমধ্যেই ১৭০টি দেশ এই বিচ সকার খেলে থাকে। ফিফার (Fifa) তরফ থেকে প্রতি ২ বছর অন্তর আয়োজন করা বিচ সকার বিশ্বকাপও। সমুদ্র তীরে, বালিতে মনোরম পরিবেশে ফুটবলের এই আধুনিক রূপের মজাই আলাদ। এবার সেই জনপ্রিয়তাই বাংলার বুকে বাড়াতে উদ্যোগ নিয়েছে আইএফএ। বাংলার ফুটবলের উন্নয়নের স্বার্থে বাংলার ফুটবল সংস্থার এই নতুন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন ফুটবল বিশেষজ্ঞরা।