বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে চলছে ইস্টবেঙ্গল ও এটিকে মোহনবাগানের ম্যাচ। শুরু থেকেই দেখা যাচ্ছে দুর্দান্ত লড়াই।
আইএসএল-এ কলকাতা ডার্বির প্রথমার্ধের খেলা শেষ হল গোলশূন্যভাবে। ম্যাচের শুরু থেকে সবুজ-মেরুনের আক্রমণই বেশি ছিল। লিস্টন কোলাসো, শুভাশিস বসুরা লাল-হলুদ রক্ষণে একের পর এক আক্রমণ তুলে আনছিলেন। ৫ মিনিটে দিমিত্রিওস পেট্রাটোসের মাইনাস থেকে শুভাশিসের শট অল্পের জন্য বাইরে চলে যায়। মাঝমাঠে সবুজ-মেরুন ব্রিগেডেরই দাপট ছিল। ইস্টবেঙ্গল দলটা গুটিয়েছিল। ক্লেটন সিলভা, ভি পি সুহেররা আক্রমণে যাচ্ছিলেন না। প্রীতম কোটাল, জনি কাউকোদের অনেক বেশি উজ্জীবিত লাগছিল। সুহের, সার্থকরা মাঝেমধ্যে কাউন্টার অ্যাটাকে যাচ্ছিলেন বটে কিন্তু তাঁদের আক্রমণে ভেদশক্তির অভাব ছিল স্পষ্ট। ১৫ মিনিটে প্রথম কর্নার পায় ইস্টবেঙ্গল। কর্নারে কিছু করতে না পারলেও, সেই আক্রমণ থেকেই নাওরেম মহেশের ক্রসে দুরন্ত হেড করেন সেম্বোই হাওকিপ। সেই হেড সেভ করে দেন বাগান গোলকিপার বিশাল কাইথ। এই প্রথম বলার মতো আক্রমণ করে ইস্টবেঙ্গল। এরপরেই ক্লেটনের জন্য বক্সে মাইনাস করেন মহেশ। কিন্তু ক্লেটন সেই বল ধরার আগেই এগিয়ে এসে বল ধরে নেন বিশাল।
এই সময় থেকে জমে ওঠে খেলা। একদিকে লিস্টন, অন্যদিকে মহেশ দুই উইংয়ে ঝড় তুলতে শুরু করেন। ২১ মিনিটে রাইট উইংয়ে একটি ক্রস হাত দিয়ে নামিয়ে নেন মনবীর সিং। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে হলুদ কার্ড দেখাননি রেফারি। ২১ মিনিটে বক্সের মধ্যে ধাক্কা মেরে জর্ডান ও'ডোহার্টিকে ফেলে দেন আশিস রাই। কিন্তু রেফারি পেনাল্টির আবেদনে সাড়া দেননি। ২৫ মিনিটে কাউকোকে ফাউল করার জন্য কিরিয়াকুকে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি। ২১ মিনিটে লাল-হলুদ রক্ষণের ভুলে গোলের সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন হুগো বুমোস। কিন্তু কোনওরকমে সেই আক্রমণ সামাল দেন সার্থক। তিনি ঠিক সময়ে ব্লক করতে না পারলে হয়তো গোল পেয়ে যেতেন বুমোস। হ্যামিল লেফট উইংয়ে ক্লেটনকে ফাউল করায় ৩২ মিনিটে ফ্রি কিক পায় ইস্টবেঙ্গল। মহেশের ফ্রি কিক থেকে পাল্টা আক্রমণে আসেন হ্যামিল ও লিস্টন। সেই সময় লাল-হলুদ রক্ষণে ছিলেন একা সার্থক। গোলের সুবর্ণ সুযোগ। কিন্তু লিস্টনের টাচ বড় হয়ে যাওয়ায় বল বিপদমুক্ত করে দিতে সক্ষম হন সার্থক।
খেলা ভাল হচ্ছে, কিন্তু রেফারি সি আর শ্রীকৃষ্ণর কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। তিনি কি বড় ম্যাচের চাপ সামাল দিতে পারছেন না? পেনাল্টি না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ ইস্টবেঙ্গল শিবির। লাল-হলুদ জনতার অভিযোগ, এটিকে মোহনবাগানের পক্ষেই সব সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন রেফারি। দ্বিতীয়ার্ধেও শ্রীকৃষ্ণ একইরকম সিদ্ধান্ত নিলে রেফারিং নিয়ে বড় বিতর্ক হবে।
আরও পড়ুন-