২৯ জানুয়ারি আইএসএলে (ISL) মরসুমের দ্বিতীয় ডার্বি (Derby)। এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan) ও এসসি ইস্টবেঙ্গলের (SC East Bengal) ম্য়াচ ঘিরে চড়ছে উন্মাদনার পারদ। ডার্বির আগে আত্মবিশ্বাসী সবুজ-মেরুণ ব্রিগেডের ৩ মিডফিল্ডার হুগো বুমোস (Hugo Boumous), প্রীতম কোটাল (Pritam Kotal) ও শুভাশিস বোস (Subhasish Bose)।
আগামি ২৯ জানুয়ারি আইএসএল (ISL) মরসুমের দ্বিতীয় ডার্বিতে (Derby) মুখোমুখি হতে চলেছে এটিকে মোহনবাগান ও এসসি ইস্টবেঙ্গল (ATK Mohun Bagan vs SC East Bengal)। বড় ম্য়াচের আগে দুই দলই জোর কদমে চালাচ্ছে অনুশীলন। কারণ সময়টা দুই দলের ক্ষেত্রে খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। একদিকে দলে করোনার থাবা ও পরপর ৩টি ম্য়াচ বাতিলের পর প্রায় ৩ সপ্তাহের মাঠে নামলেও জয় অধরা থেকে গিয়েছে সবুজ-মেরুণ ব্রিগেডের। ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে শেষ ম্য়াচ গোলশূন্য ড্র হয়েছে। অপরদিকে, এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে মরসুমের প্রথম জয় পাওয়ার পরই হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে শেষ ম্য়াচে ৪-০ গোলে লজ্জার হারের সম্মুখীন হতে হয়েছে মারিও রিভেরার দলকে। তবে মরসুমের দ্বিতীয় ডার্বির আগে কতটা প্রস্তুত এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan), প্রতিপক্ষকে নিয়ে কী ভাবছে জুয়ান ফেরান্দোর দল, জানালেন দলের মাঝ মাঠের তিন স্তম্ভ হুগো বুমোস (Hugo Boumous), প্রীতম কোটাল (Pritam Kotal) ও শুভাশিস বসু (Subhasish Bose)।
হুগো বুমোস-
এসসি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে প্রথম ডার্বিতে সহজ জয় পেলেও দ্বিতীয় ডার্বিতে নামার আগে পরিস্থিতি যে সম্পূর্ণ আলাদা তা মেনে নিয়েছেল দলের তারকা ডিফেন্ডার হুগো বুমোস। তবে পরিস্থিতি যাই থাক ডার্বি জয়ের লক্ষ্যে দল যে আত্মনবিশ্বাসী তাও জানিয়েছেন সবুজ-মেরুণ ডিফেন্ডার। তিনি বলেছেন, 'এটা সত্যি যে অন্যবারের চেয়ে এবার পরিস্থিতি আলাদা। ফুটবলের পাশাপাশি অন্য অনেকদিকেই ফোকাস রাখতে হচ্ছ। ২ সপ্তাহের বেশি সময় অনুশীলন করতে পারিনি আমরা। তাই কঠোর অনুশীলনের মাধ্যনে নিজেদের সেরা জায়গায় পৌছলেন চেষ্টা চলছে। তবে ডার্বির গুরুত্ব সবসময়ই আলাদা। বাড়তি মোটিভেশন নিয়ে ম্য়াচটা খেলতে হয়। এই ম্য়াচটা জিতব আমরা ও আমিও আত্মবিশ্বাসী।'
প্রীতম কোটাল-
বাংলার ফুটবলারদের কাছে ডার্বির গুরুত্ব ও আবেগ কতটা আলাদা তা মনে করিয়ে দিয়েছেন প্রীতম কোটাল। দল যে ম্য়াচটা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী সেই সুরও শোনা গিয়েছে প্রীতমের গলায়। বলেছেন,'ইন্ডিয়ান সুপার লিগে এসসি ইস্টবেঙ্গল একবারও হারাতে পারেনি আমাদের। সে ধারাবাহিকতা ধরে রাখাই চ্য়ালেঞ্জ। তবে এই ম্য়াচের কোনও ভবিষ্যদ্বাণী হয় না। ডার্বি সবসময়ই স্পেশাল। বিশেষ করা আমরা যারা বাংলার ছেলে তাদের কাছে এই ম্য়াচের আবেগই আলাদা। লিগ চ্যাম্পিয়ন হলেও, ডার্বি না জিতলে কথা শুনতে হয়। নতুন কোচের অধীনে তার ফুটবল দর্শনকে কাজে লাগাতে একটু সময় লাগব। তবে এই ম্য়াচটি জেতার বিষয়ে আমরা আত্মবিশ্বাসী। রক্ষণ অক্ষত রেখে খেলতে পারলে গোল ঠিক আসবেই।'
শুভাশিস বসু-
ডার্বির আবেগের পাশাপাশি লিগ টেবিলের অঙ্কটাও মাথায় রাখার কথা বলছেন শুভাশিস বসু। তিনি বলেছেন, আমাদের কাছে ডার্বির গুরুত্ব অন্য রকম। যখনই এই ম্য়াচটা খেলতে নামি একটা আলাদা আবেগ কাজ করে। লিগ টেবিলের যা পরিস্থিতি তাতে এই ম্য়াচটা জিততে পারলে শেষ চারে পৌছে যাবে দল। তাই আবেগের পাশাপাশি লিগের অঙ্কটাও মাথায় রাখতে হবে। আমরা অন্যদের তুলনায় কম ম্য়াচ খেলেছি এটা আমাদের পক্ষে সুবিধা। সেই সুযোগটা নিতে হবে। তবে এই ম্য়াচে আত্মতুষ্টির কোনও জায়গাই নেই।'