দিনের পর দিন দেশ জুড়ে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ যেভাবে বাড়ছে তাতে আগামী মরসুমে আইএসএল কবে থেকে শুরু হবে তা নিয়ে প্রশ্ন চিহ্ন তৈরি হয়েছে। যদিও দর্শকশূন্য মাঠে আইএস এল করার সব রকম চেষ্টা চালানো হচ্ছে। আইএস শুরু দিনক্ষণ নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকলেও,আগামী মরসুমে আইএসলের জন্য একাধিক নতুন নিয়মের কথা ঘোষণা করে দিল এফএসডিএল। বিদেশি কমানোর পাশাপাশি একাধিক নতুন নিয়ম লাগু করা হয়েছে।ভারতীয় ফুটবলের উন্নতির লক্ষ্যে প্রতিযোগিতার নিয়ম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইন্ডিয়ান সুপার লিগ কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুনঃ২০ তারিখ ফিরছে সিঁরি আ,চিনে নিন ইতালিয়ান লিগের ইতিহাসের সেরা ১০ গোলকিপারদের
আই লিগে আগেই বিদেশি ফুটবলার কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন। গত মরসুমে আইএসএল চলাকালীনই ভারতীয় ফুটবল দলের কোচ ইগর স্তিমাচ প্রস্তাব দিয়েছিলেন, বিদেশি ফুটবলারের সংখ্যা কমানোর। এ ছাড়া দলে এশিয়ার ফুটবলার নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। আইএসএলের নতুন নিয়ম অনুযায়ী আগামী মরসুমে দলগুলো ন্যূনতম পাঁচ ও সর্বাধিক সাত জন বিদেশি সই করাতে পারবে। পাশাপাশি, বাধ্যতামূলকভাবে এক জন এশিয়ার ফুটবলার সই করাতেই হবে। আইএসএলের দশটা ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে আলোচনার পর এফএসডিএল ই সিদ্ধান্তে আসায় অনেকে মনে করছেন, এফএফসির আইনকেই স্বীকৃতি দিচ্ছে আইএসএল।
আরও পড়ুনঃকোপা ইটালিয়ার ফাইনালে নাপোলির কাছে হার জুভেন্টাসের,ফের ব্যর্থ রোনাল্ডো
এছাড়াও বুধবার নতুন মরশুমের আইএসএল নিয়ে আরও একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে এফএসডিএল। যেমন, ঠিক হয়ে গেল এবার থেকে আইএসএলে চিফ কোচ অথবা সহকারি কোচ যেই হোন না কেন, তাঁকে এএফসি ‘প্রো লাইসেন্স’ অথবা তার সমতু্ল্য কোনও ডিগ্রিধারী হতেই হবে। এখন থেকে প্রথম আঠারো জনের দলে একজন অনূর্ধ্ব-২১ ফুটবলার রাখতেই হবে। গত মরসুমের মতো এ বারও ফুটবলারদের বেতন বাবদ ১৬.৫ কোটি টাকার বেশি খরচ করতে পারবে না ক্লাবগুলো। তবে মার্কি ফুটবলারের বেতন এর মধ্যে ধরা হবে না। অর্থাৎ, কোনও ক্লাব যদি চায় তা হলে শুধু মার্কি ফুটবলারকেই ২০ কোটি টাকা দিতে পারে। বাকি ফুটবলারদের বেতন হিসেবে ১৬.৫ কোটির বেশি খরচ করা যাবে না। ফুটবলারদের সই করানোর সংখ্যা ২৫ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।